পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
খুলনা ব্যুরো : খুলনায় শিশু রাকিব হত্যা মামলায় আসামিদের শাস্তি কমিয়ে হাইকোর্টের রায়ে হতাশা ব্যক্ত করেছেন নিহতের পিতা নুরুল আলম ও মা লাকী বেগম। ডেথ রেফারেন্স ও আসামিদের আপিলের শুনানি শেষে গতকাল মঙ্গলবার সর্বোচ্চ মৃত্যুদন্ডের সাজা কমিয়ে দুই আসামি মো. শরীফ ও মিন্টুর যাবজ্জীবন দন্ডাদেশের খবর পেয়ে হতাশা প্রকাশ করেন তারা।
এদিকে এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চাদালতে রিভিউ আবেদন করা হবে বলে জানিয়েছেন রাকিব হত্যা মামলার আইনজীবী মোমিনুল ইসলাম। তিনি জানান, উচ্চাদালতের বিচারপতিদের অবজারভেশন নোটে উল্লেখ করা হয়েছে- শিশু রাকিব হত্যাকান্ড বিগত একশ’ বছরের ইতিহাসে একটি লোমহর্ষক হত্যাকান্ড। এই মামলায় আসামিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া উচিত। কিন্তু নিম্ন আদালতের দেয়া ফাঁসির রায় কমিয়ে দেয়া হয়েছে যাবজ্জীবন। উচ্চাদালতের এ রায় অবজারভেশনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক বলে মনে করেন তিনি।
রায় ঘোষণার পর খুলনা মহানগরীর টুটপাড়া সেন্ট্রাল রোডে বসবাসকারী রাকিবের পিতা মো. নুরুল আলম বলেন, নিম্ন আদালত দুই আসামির মৃত্যুদন্ড দেয়। কিন্তু হাইকোর্ট সে সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছে। এ রায়ে আমরা সন্তুষ্ট না।
রাকিবের মা লাকী বেগম বলেন, আমাদের আশা ছিল নিম্ন আদালতের রায় হাইকোর্টে বহাল থাকবে। কিন্তু তা হলো না। আমরা এ রায়ে সন্তুষ্ট নই। কারণ আমরা তো আর ছেলেকে ফেরত পাবো না। তাই ছেলের হত্যাকারীদের ফাঁসি চাই। উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের ৩ আগস্ট খুলনার টুটপাড়ায় শরীফ মোটরস নামে এক মোটরসাইকেলের গ্যারেজে নির্যাতন করে শিশু রাকিবকে হত্যা করা হয়। পরদিন রাকিবের বাবা নুরুল আলম বাদী হয়ে শরীফ, শরীফের সহযোগী মিন্টু খান ও মা বিউটি বেগমের বিরুদ্ধে মামলা করেন। একই বছরের ৮ নভেম্বর মূল আসামি মো. শরীফ ও তার সহযোগী মিন্টুকে ফাঁসির আদেশ দেয় খুলনার একটি আদালত।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।