Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জনস্বার্থে সরকার ধর্মীয় স্থাপনা অধিগ্রহণ করতে পারবে

মন্ত্রিসভায় আইনের খসড়া অনুমোদন

| প্রকাশের সময় : ৪ এপ্রিল, ২০১৭, ১২:০০ এএম

বিশেষ সংবাদদাতা : জনস্বার্থে সরকার একান্ত অপরিহার্য মনে করলে মসজিদসহ ধর্মীয় উপাসনালয়, মন্দির, প্যাগোডা, কবরস্থান ইত্যাদি অধিগ্রহণ করতে পারবে। সে ক্ষেত্রে ওইসব ধর্মীয় স্থাপনা স্থানান্তর করে পুনঃনির্মাণ করে দিতে হবে। এমন বিধান যুক্ত করে ‘স্থাবর সম্পত্তি অধিগ্রহণ ও হুকুম দখল আইন ২০১৭’-এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। গতকাল সোমবার সচিবালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। বৈঠক শেষে প্রেস বিফ্রিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম এ তথ্য জানান।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, সাধারণ বিধান অনুসারে আগের মতো ধর্মীয় উপাসনালয় অধিগ্রহণ করা যাবে না। তবে সরকার জনস্বার্থে একান্ত অপরিহার্য মনে করলে যেন তা অধিগ্রহণ করতে পারে, সে জন্য প্রস্তাবিত আইনে এ বিধান যুক্ত করতে বলা হয়েছে। প্রস্তাবিত আইনের ৪(১৩) ধারায় পুনঃনির্মাণ সাপেক্ষে এসব স্থাপনার জমি অধিগ্রহণ করা যাবে।  এ ক্ষেত্রে উদাহরণ তুলে ধরে তিনি বলেন, যদি কোনো একটি মসজিদ না সরালে সড়কে চলাচল ও কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হচ্ছে বলে মনে করা হয়, তাহলে সেই মসজিদ সেখান থেকে অন্যত্র সরিয়ে নেয়া যাবে। সামরিক শাসনের সময় জারি করা ১৯৮২ সালের একটি অধ্যাদেশ উচ্চ আদালতের নির্দেশে বাংলা করে নতুন করে এই আইন করা হচ্ছে বলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান। সেই আইনে ধর্মীয় উপাসনালয়, কবর বা শ্মশানের জমি অধিগ্রহণের কোনো সুযোগ ছিল না। নতুন আইন জাতীয় সংসদে পাস হলে কার্যকর হবে।
প্রস্তাবিত আইনে যে কোনো স্থাবর সম্পত্তি সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে অধিগ্রহণের ক্ষেত্রে ক্ষতি পূরণের পরিমাণ ২০০ থেকে ৩০০ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
সচিব বলেন, প্রস্তাবিত আইনে সরকারি  পর্যায়ে স্থাবর সম্পত্তি অধিগ্রহণে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিকে বাজারদরের তুলনায় ২০০ শতাংশ বেশি ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। অধিগ্রহণ করা জমির বাজারমূল্য এক কোটি টাকা হলে ২০০ শতাংশ বেশি হিসাবে আরও দুই কোটি টাকা যুক্ত করে মোট তিন কোটি টাকা ক্ষতিগ্রস্তকে দিতে হবে। আর কোনো প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তি এই মূল্যের জমি অধিগ্রহণ করলে ৩০০ শতাংশ হিসাবে ক্ষতিগ্রস্তকে চার কোটি টাকা দিতে হবে।
বেসরকারি প্রতিষ্ঠানও জনস্বার্থে ‘কখনও কখনও’ ভূমি অধিগ্রহণ করতে পারে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, কোথাও স্কুল হবে, কোনো একটা প্রতিষ্ঠান হবে, সেজন্য বেসরকারি প্রতিষ্ঠান অধিগ্রহণ করতে পারে। কিন্তু ক্ষতিপূরণ বেশি দিতে হবে। বেসরকারি কোনো প্রতিষ্ঠান ভূমি অধিগ্রহণ করলে অতিরিক্ত আরও ৩০০ গুণ দিতে হবে। এর মানে ক্ষতিপূরণ ৪০০ গুণ হবে। ক্ষতিপূরণ দেয়ার সময় ১২ মাসের জমি কেনাবেচার দলিলের গড় বিবেচনায় নিয়ে জমির দাম নির্ধারণ করা হবে। জমি অধিগ্রহণের ক্ষতিপূরণ জেলা প্রশাসনে পৌঁছাতে ৬০ দিন থেকে ১২০ দিন সময় বাড়ানো হয়েছে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, আগে অতিরিক্ত জেলা বা দায়রা জজ পর্যায়ের কর্মকর্তাকে আরবিট্রেটর নিয়োগ দেয়া হতো। প্রস্তাবিত আইনে যুগ্ম-জেলা জজ বা সাব-জজ পর্যায়ের কর্মকর্তাকে ওই পদে নিয়োগ দেয়া হবে। তবে আপিলে থাকবেন জেলা জজ পর্যায়ের কর্মকর্তা।
মন্ত্রিসভা এর আগে গত বছরের ৫ ডিসেম্বর স্থাবর সম্পত্তি অধিগ্রহণ ও হুকুম দখল আইনের খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দেয়।
ভূমি সংক্রান্ত ও জটিল হওয়ায় আইনটিকে আরও বিস্তারিত পর্যালোচনার জন্য মন্ত্রিসভা আইনমন্ত্রীকে আহ্বায়ক করে একটি কমিটি গঠন করে দিয়েছিল। একই সঙ্গে এ বিষয়ে আদালতের পর্যবেক্ষণ বিবেচনায় নিয়ে ওই কমিটি যাচাই-বাছাই করে খসড়াটি প্রস্তুতের পর তা চূড়ান্ত অনুমোদন দিল মন্ত্রিসভা।
চলচ্চিত্রে ধর্ষণের দৃশ্য দেখানো যাবে না   
 ‘জাতীয় চলচ্চিত্র নীতিমালা-২০১৭’ খসড়ার অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। নীতিমালা অনুযায়ী, চলচ্চিত্রে সরাসরি কোনো ধর্ষণের দৃশ্য দেখানো যাবে না। এছাড়া অপরাধীদের কার্যকলাপের কৌশল প্রদর্শন যা অপরাধের ক্ষেত্রে নতুন পদ্ধতির প্রবর্তন ও মাত্রা আনতে সহায়ক হতে পারে এমন দৃশ্য পরিহার করতে হবে।
বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, সুস্থধারার চলচ্চিত্র সম্প্রসারিত ও উৎসাহিত করতে জাতীয় চলচ্চিত্র দিবসে মন্ত্রিসভা চলচ্চিত্র নীতিমালা পাস করল।
নীতিমালার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস, আদর্শ ও চেতনা, সামাজিক মূল্যবোধ এবং রাষ্ট্রীয় নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে চলচ্চিত্র নির্মাণ, বিতরণ ও প্রদর্শন নিশ্চিত করা। সুস্থ, শিক্ষামূলক ও বিনোদনধর্মী চলচ্চিত্র নির্মাণ বিতরণ ও প্রদর্শন করতে সরকার এবং বেরকারি পর্যায়ে নীতিগত ও অবকাঠামোগত ও কারিগরি সহায়তা দিতে করণীয় বিষয়াদি সুনির্দিষ্ট করা। নীতিমালা অনুযায়ী অনুসরণীয় মানদন্ড হবে- চলচ্চিত্রে পরিবেশিত তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা, পেশাগত নৈতিকতা ও নিরপেক্ষতা, চলচ্চিত্র নির্মাণ বিতরণ ও প্রদর্শনে দায়িত্বশীলতা।
নীতিমালা অনুযায়ী চলচ্চিত্রে মুক্তিযুদ্ধ, ইতিহাস ও তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা সমুন্নত রাখতে হবে জানিয়ে শফিউল আলম বলেন, কোনো চলচ্চিত্রে কোনোভাবেই রাষ্ট্র ও জনস্বার্থবিরোধী বক্তব্য প্রচার করা যাবে না। চলচ্চিত্রে বিভ্রান্তিকর ও অসত্য তথ্য পরিবেশন করা যাবে না। চলচ্চিত্রে দেশীয় সংস্কৃতি, ঐতিহ্য ও ভাবধারার সুষ্ঠু প্রতিফলন এবং এর সঙ্গে জনগণের নিবিড় যোগসূত্র স্থাপন ও সাংস্কৃতিক ধারাকে দেশপ্রেমের আদর্শে অনুপ্রাণিত করার প্রয়াস অব্যাহত রাখতে হবে।
চলচ্চিত্রে ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠীর সংস্কৃতি, ঐতিহ্য ও ভাবধারার সুষ্ঠু প্রতিফলন ঘটাতে হবে। সকল ধর্মীয় অনুভূতির প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করতে হবে এবং ধর্মীয় সহিংসতারোধে জনগণকে উজ্জীবিত করতে হবে। এ জাতীয় অনেকগুলো বিষয় রয়েছে নীতিমালায় বলেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
তিনি বলেন, নীতিমালায় বলা হয়েছে-চলচ্চিত্রে শিশু বা নারী কিংবা উভয়ের প্রতি সহিংসতা বা বৈষম্যমূলক আচরণ বা হয়রানিমূলক কর্মকান্ডকে উদ্বুদ্ধ করে এমন কোনো ঘটনা ও দৃশ্য চলচ্চিত্রে প্রদর্শন করা যাবে না। কোনো অশোভন উক্তি, আচরণ এবং অপরাধীদের কার্যকলাপের কৌশল প্রদর্শন যা অপরাধ সংগঠনের ক্ষেত্রে নতুন পদ্ধতির প্রবর্তন ও মাত্রা আনতে সহায়ক হতে পারে এমন দৃশ্য পরিহার করতে হবে। চলচ্চিত্রের সংলাপে অশ্লীল ও কুরুচিপূর্ণ ভাষা পরিহার করতে হবে।
শফিউল আলম বলেন, সেন্সর শব্দটি একটু নেতিবাচক, নেগেটিভ ইমপ্যাক্ট বহন করে। এজন্য বিভিন্ন দেশে সেন্সরের ক্ষেত্রে সার্টিফিকেশন শব্দটি ব্যবহার করা হয়। আমাদের দেশেও পর্যায়েক্রমে সেন্সর সিস্টেম বাদ দিয়ে সার্টিফিকেশন সিস্টেম প্রবর্তন করা হবে। চলচ্চিত্রের সৃজনশীলতা বজায় রাখতে কপিরাইট ও অন্যান্য মেধাস্বত্ব সংরক্ষণে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশনা রয়েছে নীতিমালায়।
চলচ্চিত্রে দুই দেশের যৌথ বিনিয়োগের কথাও নীতিমালায় বলা হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের মানোন্নয়ন ও উৎকর্ষ সাধনে যৌথ বিনিয়োগ উৎসাহিত ও বাজার স¤প্রসারণে সংশ্লিষ্ট দেশের চলচ্চিত্রের প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান, প্রযোজক সমন্বয়ে যৌথ প্রযোজনার চলচ্চিত্রের নির্মাণ উৎসাহিত করা হবে।
চলচ্চিত্র নীতিমালা অনুমোদন দেয়ার সময় চলচ্চিত্রের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে জানিয়ে শফিউল আলম বলেন, চলচ্চিত্রের জন্য বড় সমস্যা হচ্ছে প্রেক্ষাগৃহ। প্রেক্ষগৃহগুলো বাণিজ্যিক ভবন হয়ে যাচ্ছে, দোকানপাট হয়ে যাচ্ছে। এজন্য সরকার পৃষ্ঠপোষকতা করছে।
তিনি বলেন, ৬৪ জেলায় ৬৪টি সরকারি তথ্য ভবন হবে। এ ভবনে একটি করে সিনেপ্লেক্স থাকবে। সরকারি অনুদান দিয়েও বিভিন্ন জেলায় ডিজিটাল সিনেপ্লেক্স করা হবে।
সচিব বলেন, নীতিমালা অনুযায়ী চলচ্চিত্র আমদানি ও রফতানির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে তথ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিবের নেতৃত্বে ১১ সদস্যের একটি কমিটি থাকবে। এই কমিটি কোনো চলচ্চিত্র আমদানি বা রফতানির সুপারিশ করবে। এছাড়া তথ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে ১৫ সদস্যের জাতীয় চলচ্চিত্র বিষয়ক জাতীয় পরামর্শক কমিটি থাকবে। এই কমিটি নীতিমালার আলোকে চলচ্চিত্র শিল্পের উন্নয়নে বিভিন্ন সুপারিশ দেবে।
সড়কপথে খুলনা-কলকাতা  নতুন রুটের চুক্তি অনুমোদন
বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, রাজধানী ঢাকা থেকে সড়কপথে খুলনা হয়ে কলকাতা বাস আসা-যাওয়া করতে ভারতের সঙ্গে একটি চুক্তি করতে অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। ‘অ্যাগ্রিমেন্ট বিটুইন দ্য গর্ভনমেন্ট অব দ্য পিপলস রিপাবলিক অব বাংলাদেশ অ্যান্ড দ্য গর্ভনমেন্ট অব দ্য রিপাবলিক অব ইন্ডিয়া ফর দ্য রেগুলেশন অব মটর ভেহিক্যাল প্যাসেঞ্জার ট্রাফিক বিটুইন দ্য টু কান্ট্রিজ’ এবং প্রোটোকল অন অপারেশন অব প্যাসেঞ্জার বাস সার্ভিস বিটুইন ঢাকা ইন বাংলাদেশ অ্যান্ড কলকাতা ইন ইন্ডিয়া ভায়া খুলনা ইন টার্মস অব দ্য অ্যাফোরমেনশনড অ্যাগ্রিমেন্ট- শীর্ষক চুক্তি অনুমোদন দেয় মন্ত্রিসভা।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, বর্তমানে বঙ্গবন্ধু সেতু, সিরাজগঞ্জের হাটিকুমরুল ও যশোরের মধ্য দিয়ে ঢাকা-কলকাতা রুটে বাস চলাচল করছে। তবে নতুন সম্মতিপত্র যখন কার্যকর হবে তখন ঢাকা-খুলনা রুটে আরেকটি বাস সার্ভিস চালু হবে বলেও তিনি জানান। নতুন বাস সার্ভিস মাওয়া, গোপালগঞ্জ, খুলনা ও যশোর রুটে চালু হলে বর্তমান রুটের চেয়ে ৯৬ কিলোমিটার দূরত্ব কমে যাবে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, ঢাকা-কলকাতা রুটের নতুন বাস সার্ভিস বাংলাদেশ ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উদ্বোধন করবেন।
তিনি বলেন, এখন যদি এ রকম হয় যে, মাওয়া হয়ে গোপালগঞ্জ, বাগেরহাট, রূপসা নদী পার হয়ে খুলনা থেকে যশোর হয়ে যাওয়া গেলে রাস্তার দূরত্ব কমে যাবে। আগের রুটের পাশাপাশি এটা দ্বিতীয় অপশন হিসাবে চলতে পারে বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সচিব। তিনি বলেন, এটা অলটারনেটিভ রুট, নতুন রুট।
প্রধানমন্ত্রীর সফরের সময়ে চুক্তি হবে কিনা এ বিষয়ে তিনি বলেন, আগে-পরে হতে পারে, পরে হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে দুই দেশ থেকে দু’টি গাড়ি রওনা হয়ে যাবে। একটা ঢাকা থেকে আর একটা কলকাতা থেকে। এতে ৯৬ কিলোমিটার দূরত্ব কমে যাবে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সচিব বলেন, ভাড়াটা এ পর্যায়ে বলতে পারছি না।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সচিব বলেন, আমাদের দেশের মোটর ভেহিক্যাল অর্ডিন্যান্স এবং ভারতের মোটর ভেহিক্যাল অ্যাক্টের আওতায় চুক্তি হয়।
বৈঠকে অটিজম এন্ড নিউরো ডেভেলপমেন্ট ডিসঅর্ডারস সংক্রান্ত বাংলাদেশ জাতীয় পরামর্শক কমিটির চেয়ারপার্সন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কন্যা সায়মা ওয়াজেদ হোসেন দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার ‘ডব্লিউএইচও চ্যাম্পিয়ন ফর অটিজম’-এ ভূষিত হওয়ায় তাকে অভিনন্দন জানিয়ে ধন্যবাদ প্রস্তাব উত্থাপন ও গ্রহণ করা হয়। গত ২ এপ্রিল বিশ্ব অটিজম দিবস উপলক্ষে ভারতের নয়াদিল্লিতে অবস্থিত দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ডব্লিউএইচএ-এর আঞ্চলিক কার্যালয়ে এই ঘোষণা দেয়া হয়।
২৩ জুলাই জাতীয় পাবলিক সার্ভিস দিবস
সরকার ২৩ জুলাই ‘জাতীয় পাবলিক সার্ভিস দিবস’ হিসেবে পালনের ঘোষণা দিয়েছে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, মন্ত্রিসভা এ দিনটিকে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এ সংক্রান্ত পরিপত্রের ‘খ’ ক্রমিকে অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব অনুমোদন করেছে।
আর্থিক খরচের উপর দিবসের শ্রেণি করা হয় জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘খ’ শ্রেণিতে সরকারি উৎস থেকে ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়, ওই গ্রুপে এটাকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। অন্যদেশেও এ দিবস রয়েছে জানিয়ে শফিউল আলম বলেন, বিভিন্ন দেশ বিভিন্নভাবে দিবসটি পালন করে। আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে ২৩ জুন পালন করা হয়। আমাদের দেশে ২৩ জুন অনেক গুরুত্বপূর্ণ দিবস আছে। দ্বৈততা পরিহারের জন্য এটা ২৩ জুলাই করা  হলো।
বাংলাদেশে পাবলিক সার্ভিস দিবস ২৩ জুলাই কেন নির্ধারিত হলো- এমন প্রশ্নে শফিউল বলেন, ২৩ জুলাই প্রধানমন্ত্রী প্রথমবারের মতো ফরমালি জনপ্রশাসন পদক দেন।







 

Show all comments
  • কাসেম ৪ এপ্রিল, ২০১৭, ৪:০২ এএম says : 0
    চলচ্চিত্র নীতিমালা আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে।
    Total Reply(0) Reply
  • কাজল ৪ এপ্রিল, ২০১৭, ৪:০৪ এএম says : 0
    ধর্মীয় স্থাপনা অধিগ্রহণ বিষয়টি কেমন জানি লাগছে।
    Total Reply(0) Reply
  • ইব্রাহিম ৪ এপ্রিল, ২০১৭, ৪:০৫ এএম says : 0
    সকল আইনই ভালোর জন্য করা হয়। কিন্তু দেখতে হবে সেটার যেন অপব্যবহার করা না হয়।
    Total Reply(0) Reply
  • Zakir Hossain sorkar ৪ এপ্রিল, ২০১৭, ১১:৪৬ এএম says : 0
    sob e parbe
    Total Reply(0) Reply
  • Delowar hossine ৪ এপ্রিল, ২০১৭, ২:৩৩ পিএম says : 0
    মসজিদ স্থানান্তর ঠিক হবে বলে মনে হয় না।
    Total Reply(0) Reply
  • Tofayel ৪ এপ্রিল, ২০১৭, ১১:৪৭ পিএম says : 0
    নিছক দুনিয়াদারীর প্রয়োজনে কখনই ধর্মীয় স্থাপনায় আঘাত আনা যাবে না।এমনকি ঠিকও হবেনা।কারন ধর্ম খুবি sensitive বিষয়।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: প্রধানমন্ত্রী


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ