পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বগুড়া অফিস : বগুড়া শহরের ৩টি বৃহত্তম বাজারের ইজারা দেয়াকে কেন্দ্র করে পৌর মেয়র অ্যাডভোকেট মাহবুবর রহমানকে মারধর ও লাঞ্ছিত করেছে যুবলীগ নেতা মতিন সরকার ও তার দু’জন সহযোগী ব্যবসায়ী। গতকাল সোমবার বেলা সাড়ে ১১টায় শহরের জলেশ^রীতলায় মেয়রের বাসভবনেই এ ঘটনা ঘটেছে। ঘটনার পরপরই সেখানে পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
স্ত্রী লাভলী বেগম এবং কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান, মেয়র কয়েকদিন যাবত অসুস্থ থাকায় পৌরসভায় যেতে পারেননি। তিনি বাসায় বিশ্রাম নেয়ার সময় সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে যুবলীগ নেতা মতিন সরকার, ব্যবসায়ী আব্দুল মান্নান ও হাটবাজার ইজারাদার ময়না জয়সোয়াল তাদের ১০/১২ জন সহযোগী একসাথে এসে মেয়রকে ডাকেন। মেয়র দরজা খুলে দিলে তারা ড্রইংরুমে বসেন। বগুড়ার রাজা বাজার, ফতেহ আলী বাজার ও চাষী বাজারের ইজারা সংক্রান্ত বিষয়ে কথাবার্তা বলার এক পর্যায়ে তারা উত্তেজিত হয়ে মেয়রের উপর চড়াও হন। তাকে গালিগালাজ করা ছাড়াও প্রাণনাশের হুমকি দেন এবং চরমভাবে লাঞ্ছিত করেন। ঘটনার আকস্মিকতায় হতভম্ব মেয়রের বাসার লোকজন পরে থানায় খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে নাজেহালকারীরা ঘটনাস্থল ছেড়ে চলে যায়।
ঘটনার পরপরই পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারী ও কাউন্সিলর এবং বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ মেয়রের বাসভবনে উপস্থিত হয়ে তাকে সান্ত¦না দেন এবং এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানান।
বগুড়া পৌরসভার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি সূত্রে জানা গেছে, শহরের অন্যতম ব্যবসা বহুল রাজা বাজার ও ফতেহ আলী বাজার এবং চাষী বাজারের ইজারা দেয়াকে কেন্দ্র করে মেয়রের সঙ্গে ওই তিন ব্যক্তির বিরোধ চলে আসছিল। বাজার তিনটি প্রায় এক কোটি টাকায় যুবলীগ নেতা আব্দুল মতিন সরকারের নামে ওই তিনজন ব্যবসায়ী ইজারা নেন। প্রতি বছরের মতো এ বছরও ইজারা দেয়ার প্রক্রিয়া চলাকালে উল্লেখিত ইজারাদাররা গত বছর ইজারা নিয়ে আর্থিক ক্ষতি হয়েছে মর্মে আবেদন জানিয়ে আগের মতোই মতিন সরকারের নামে ইজারা বহাল রাখার জন্য নতুন করে ইজারা প্রদান প্রক্রিয়া বন্ধ রাখতে হাইকোর্টে রিট পিটিশন করেন। এদিকে পৌরসভার পক্ষে থেকে ওই রিটের আবেদন নামঞ্জুর করে নতুন করে ইজারা দেয়ার অনুমতি প্রার্থনা করলে হাইকোর্ট ইজারাদারদের রিট খারিজ করে দেন। এতেই মেয়রের উপর রুষ্ট হন ইজারাদাররা। মূলত সেই ক্ষোভ থেকেই সোমবার ওই ইজারাদার সিন্ডিকেট ও তাদের লোকজন বাসায় গিয়ে মেয়রকে মারধর ও লাঞ্ছিত করে।
মেয়র মাহবুর রহমান এ প্রসঙ্গে বলেন, আদালতের আশ্রয় নিয়ে হেরে গিয়ে মতিন সরকার, আব্দুল মান্নান ও ময়না জয়সোয়াল তার বাসায় আসে এবং নাজেহাল করে। তিনি তাদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করবেন বলেও জানান।
তবে ইজারাদারদের পক্ষে আব্দুল মান্নান মারধরের কথা অস্বীকার করে বলেন, তারা মূলত মেয়রের নিকট হাইকোর্টে যে তাদের রিট খারিজ হয়েছে তার কপি দেখতে চাইলে তিনি তা দেখাতে পারেননি। এই বিষয় নিয়ে মেয়রের সাথে শুধু ‘হট টক’ (উচ্চবাচ্য) হয়েছে অন্যকিছু নয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।