Inqilab Logo

শক্রবার ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ কার্তিক ১৪৩১, ০৬ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অটিস্টিকদের সাধারণ শিক্ষায় একীভূত করতে হবে : প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশের সময় : ৩ এপ্রিল, ২০১৭, ১২:০০ এএম | আপডেট : ১২:০৫ এএম, ৩ এপ্রিল, ২০১৭

বিশেষ সংবাদদাতা : অটিস্টিক শিশুদের সুপ্ত মেধার বিকাশ ঘটাতে তাদেরকে সাধারণ শিক্ষা ব্যবস্থায় একীভূত করার ওপর জোর দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, শিক্ষাটা একীভূত হতে হবে। কেউ প্রতিবন্ধী বা অটিস্টিক হলেই তাদেরকে আর সাধারণ স্কুলে ভর্তি করতে চায় না- এটা যেন না হয়। এই মানসিকতা দূর করতে হবে।
তিনি বলেন, অটিজম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন সকল শিশু সাধারণ বিদ্যালয়ে পড়াশুনা করবে। ফলে এ ধরনের শিশুরা নিজ পরিবার থেকে বাড়ির নিকটবর্তী বিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পাবে। অন্যদিকে সাধারণ শিশুরা বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের সাথে মিশে মানুষের ভিন্নতা সম্পর্কে জানবে এবং ভিন্নতাকে মেনে নেয়ার শিক্ষা পাবে। স্বাভাবিক ছেলেমেয়েদের সাথে এরা মিশতে পারলে; একটু চিকিৎসা বা একটু কাউন্সিলিংয়ে ভালো হবে।
তিনি গতকাল রোববার রাজধানীর ওসমানী মিলনায়তনে দশম বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস উপলক্ষে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে একথা বলেন।
অটিস্টিক শিশুদের অভিভাবকদের সাহস জুগিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, সব সময় মনোবল রাখতে হবে। বিশেষ করে বাবা-মা ও অভিভাবক অনেক সময় অনেক অভিভাবক অসহায় বোধ করেন। ভবিষ্যতে যেন কষ্ট পেতে না হয়; এমন কিছু আমরা করবো। সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম এবং সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক বক্তব্য রাখেন। এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সমাজকল্যাণ সচিব জিল্লার রহমান।
অটিজমসহ সকল ধরনের প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের উন্নয়ন নিশ্চিত করতে এবং পরিবারে ও সমাজে তাদের মর্যাদা বৃদ্ধি করতে কর্মসংস্থানের বিকল্প নেই উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কাজের প্রতি এসব বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন ব্যক্তিদের একাগ্রতা থাকে অনেক বেশি এবং কর্মক্ষেত্রে তাদের উপস্থিতিও অন্যদের তুলনায় সন্তোষজনক। তিনি বলেন, অটিজম একটি স্বাভাবিক অবস্থা, এটি শিশুর শৈশব থেকেই দেখা দিতে পারে।
তিনি বলেন, প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নিয়োগ দিতে তাদের উপযোগী কর্মক্ষেত্র চিহ্নিত করার কাজ চলছে। এ ছাড়াও বিসিএসসহ সকল শ্রেণীর সরকারি চাকরিতে অটিজমসহ সকল প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য কোটা সংরক্ষিত রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী অটিজমসহ সকল ধরনের প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের নিয়োগের জন্য সকল বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও উদ্যোক্তাদের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান। তিনি বলেন, বিশ্ববিখ্যাত বিজ্ঞানী আলবার্ট আইনস্টাইন, ডারউইন, নিউটন তারা কিন্তু এক সময় অটিজমে ভুগেছে। মেধা বিকাশের সুযোগ পেয়েছিলেন বলেই বিশ্বের কত বড় উপকার তারা করে দিয়েছেন। সাহিত্যে নোবেল বিজয়ী উইলিয়াম বাটলার ইয়টস্, ড্যানিশ কবি হ্যানস্ এন্ডারসন, সুরস্রষ্টা বিথোভেন, মোজার্ট প্রতিবন্ধী ছিলেন। বিখ্যাত পদার্থ বিজ্ঞানী স্টিফেন হকিংস্ আজীবন প্রতিবন্ধী থেকেও তার আবিষ্কার থেমে থাকেনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, কয়েক বছর আগেও বাংলাদেশে অটিজম সম্পর্কে মানুষের তেমন কোন ধারণা ছিল না। আমার কন্যা সায়মা ওয়াজেদ-এর নিরলস প্রচেষ্টায় জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে অটিজমের গুরুত্ব ও সচেতনতা বৃদ্ধি পেয়েছে। সে এখন বাংলাদেশে অটিজম বিষয়ক জাতীয় উপদেষ্টা কমিটির চেয়ারপারসন। তার উদ্যোগে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ‘অটিজম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন শিশু ও তাদের পরিবারের জন্য স্বাস্থ্যসেবা এবং আর্থ-সামাজিক সহায়তা বৃদ্ধি’ শীর্ষক প্রস্তাব গৃহীত হয়।
তিনি বলেন, আমরা ২০০৯ সালে সরকার গঠনের পর সায়মা ওয়াজেদ-এর পরামর্শে অটিজম বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টি ও তাদের কল্যাণে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করে বাস্তবায়ন শুরু করি। তার সরকার অটিজম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন ব্যক্তিদের স্বার্থ রক্ষার জন্য ‘নিউরো-ডেভেলপমেন্টাল প্রতিবন্ধী সুরক্ষা ট্রাস্ট আইন, ২০১৩’ পাস করেছে এবং এই আইনের বিধিমালা প্রণয়ন করেছে। আমরা তাদের ভবিষ্যত জীবনের কথা বিবেচনায় নিয়ে এই আইনের আওতায় একটি নিউরো-ডেভেলপমেন্টাল প্রতিবন্ধী সুরক্ষা ট্রাস্ট গঠন করেছি। ট্রাস্টের কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য ইতোমধ্যে আমরা ৪১ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ দিয়েছি। আমি চাই, সমাজের বিত্তবানরা এখানে সহায়তা করবেন।
শেখ হাসিনা বলেন, মানসিক স্বাস্থ্য নীতি প্রণয়নের কাজ চলছে। প্রতিবন্ধীদের উন্নয়ন নিশ্চিত করতে ‘ডিজ্যাবিলিটি ইনফরমেশন সিস্টেম’ সফটওয়্যার চালু করা হয়েছে। এতে দেশব্যাপী ‘প্রতিবন্ধী শনাক্তকরণ জরিপ’ কর্মসূচির মাধ্যমে ১৫ লাখ ১০ হাজার ৮শ’ প্রতিবন্ধীর ডাটাবেজ তৈরি করা হয়েছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আওতায় ‘ন্যাশনাল একাডেমী ফর অটিজম এন্ড নিউরো-ডেভেলপমেন্টাল ডিজএ্যাবিলিটিস’ স্থাপনের কাজ চলছে। এখানে বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন সকল শিশুদের একীভূত শিক্ষা কার্যক্রম স¤প্রসারণের সুযোগ সৃষ্টি হবে। এসকল শিশুদের বিদ্যালয়ের শ্রেণীকক্ষে প্রবেশের সুবিধার্থে ক্রমান্বয়ে সকল বিদ্যালয়ে র‌্যাম্প নির্মাণ করা হচ্ছে। অটিজম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন, মূক ও বধির শিশুদের সুষ্ঠুভাবে পাঠদানের লক্ষ্যে শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে বলে প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন।
প্রধানমন্ত্রী বছরের প্রথম দিনে তার সরকারের উদ্যোগে চালু করা বই উৎসব প্রসঙ্গে বলেন, নতুন বছরের প্রথম দিন আমাদের শিশুরা বই উৎসব পালন করে। একই দিনে দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের হাতেও আমরা ব্রেইল বই তুলে দিচ্ছি। নিবিড় শিক্ষা গ্রহণের জন্য দেশের ৭০ হাজার বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিক্ষার্থীদের ৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে উপবৃত্তি প্রদান করা হচ্ছে। দৃষ্টি-প্রতিবন্ধীদের জন্য বাংলা একাডেমি বাংলা সাহিত্য ও ইতিহাসসমৃদ্ধ ব্রেইল বই প্রকাশ করছে।
অটিজম বৈশিষ্ট্য সম্পন্নদের জন্য সরকারের সুযোগ-সুবিধা প্রদান প্রসঙ্গে তিনি বলেন, অটিজম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন শিশু ও ব্যক্তিদের বিনামূল্যে সেবা প্রদানের লক্ষ্যে ঢাকার মিরপুরে জাতীয় প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশন ক্যাম্পাসে অটিজম রিসোর্স সেন্টার ও একটি ‘স্পেশাল স্কুল ফর চিলড্রেন ও উইথ অটিজম’ স্থাপন করা হয়েছে। এখানে প্রায় ৮২ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রতিবন্ধী উন্নয়ন কমপ্লেক্স নির্মিত হচ্ছে। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে অটিজমসহ অন্যান্য প্রতিবন্ধিতায় আক্রান্ত শিশু শনাক্তকরণসহ বিনামূল্যে সেবা প্রদানের লক্ষ্যে ৩২টি মোবাইল থেরাপি ভ্যান চালু রয়েছে।
অটিস্টিক শিশুদের বিদ্যালয়ের শ্রেণীকক্ষে প্রবেশের সুবিধার্থে ক্রমান্বয়ে সকল বিদ্যালয়ে র‌্যাম্প নির্মাণ করা করার কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, আমি আবারও বলছি, যারাই যে প্রতিষ্ঠান তৈরি করেন না কেন; সেখানে আমাদের প্রতিবন্ধীদের ব্যবহারের জন্য বিশেষ র‌্যাম্প ও টয়লেটের ব্যবস্থা যেন অবশ্যই থাকে। এটা গুরুত্বের সাথে করতে হবে।
তিনি বলেন, ২০১১ সাল থেকে ঢাকা শিশু হাসপাতাল এবং ১৫টি সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ ২২টি সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে শিশু বিকাশ কেন্দ্র স্থাপন করে অটিজম ও নিউরো-ডেভেলপমেন্টাল সমস্যাজনিত শিশুদের চিকিৎসা প্রদান করা হচ্ছে। আগামীতে এ কার্যক্রম আরও স¤প্রসারণ করার পরিকল্পনা আমাদের রয়েছে। প্রতিবন্ধীবান্ধব সফটওয়্যার, অডিও-ভিডিও শিক্ষা উপকরণ, অবকাঠামো, প্রযুক্তি উদ্ভাবনসহ তথ্যকেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করতে সকল প্রতিষ্ঠানের প্রতিও আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী এ সময় তাঁর সরকারের উদ্যোগে জাতীয় প্রতিবন্ধী ক্রীড়া কমপ্লেক্স নির্মাণের তথ্য তুলে ধরে বলেন, আপনারা প্যারা অলিম্পিক ও স্পেশাল অলিম্পিকে স্বর্ণপদক জিতে বাংলাদেশের ভাবমর্যাদা উজ্জ্বল করেছেন। তাই আমরা অটিজম বৈশিষ্ট্য-সম্পন্ন ও প্রতিবন্ধী ক্রীড়াবিদদের জন্য ঢাকার অদূরে সাভারে ১২ একর জমিতে ৩১৭ কোটি টাকা ব্যয়ে ‘জাতীয় প্রতিবন্ধী ক্রীড়া কমপ্লেক্স’ নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আসুন আমরা অটিজম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন শিশু ও ব্যক্তিদের পাশে দাঁড়াই। তারা আমাদেরই আপনজন।
শেখ হাসিনা বলেন, আমি বিশ্বাস করি, সকলের সমন্বিত উদ্যোগ ও উপযোগী পরিবেশ পেলে অটিজম বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন ব্যক্তিরা স্বাবলম্বী হয়ে গড়ে উঠে আমাদের জন্য অপার সম্ভাবনা বয়ে আনবে। অনুষ্ঠানের আলোচনা পর্ব শেষে অটিজম বৈশিষ্ট্যের অধিকারী শিল্পীদের অংশগ্রহণে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করেন প্রধানমন্ত্রী।



 

Show all comments
  • আরমান ৩ এপ্রিল, ২০১৭, ১:৩৬ পিএম says : 0
    এ ব্যাপারে আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে একমত পোষণ করছি।
    Total Reply(0) Reply
  • সাজ্জাদ খান ৩ এপ্রিল, ২০১৭, ১:৩৭ পিএম says : 0
    এদেরকে দেশের বোঝা হিসেবে চিন্তা না করে সম্পদ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।
    Total Reply(0) Reply
  • সালমান ৩ এপ্রিল, ২০১৭, ১:৩৭ পিএম says : 0
    এই মহতী উদ্যোগের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী স্বাগত জানাই।
    Total Reply(0) Reply
  • ফারুক আহমেদ পাটোয়ারী ৩ এপ্রিল, ২০১৭, ২:৪৬ পিএম says : 0
    এই মহতী উদ্যোগের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী স্বাগত জানাই। মহান রাববুল আলামিনের নিকট আপনার দীরঘায়ু কামনা করি
    Total Reply(0) Reply
  • Mohammed Shah Alam Khan ৩ এপ্রিল, ২০১৭, ৬:৫০ পিএম says : 0
    প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেয়া এই উদ্যোগ প্রশংসা যোগ্য আমি তাকে লাল সবুজের সালাম জানাই। বাংলাদেশে হাসিনার সরকারই প্রথম অটিজম ও প্রতিবন্ধীদের শিক্ষিত করা এবং সমাজে সুপ্রতিষ্ঠত করার উদ্যোগ নেয়। তিনি এবার অটিজম ও প্রতিবন্ধীদের জন্য যে সিদ্ধান্ত নিলেন এটা আমাদের সমাজে বিশেষ ভাবে প্রয়োজন ছিল কিন্তু ২০০৯ সালের আগে কোন সরকারই এদিকে নজর দেয়নি। আমাদের দেশে সমাজ এদেরকে আলাদা করে রেখেছিল এবং এরা সারাটা জীবন পিতা মাতার উপর নির্ভরশীল হয়ে থাকত। অনেক পিতা মাতা এদেরকে ভাল ভাবে গ্রহণ করত আবার অনেকে তাচ্ছিলের সাথে এদেরকে দেখত। এদের জন্য পিতামাতেকে সমাজের কাছে নিচ হয়ে এমনকি কুটু কথাও শুনতে হয় মনে হয় অটিজম ও প্রতিবন্ধীদের জন্ম দিয়ে পিতামাতা মহা এক অন্যায় করে ফেলেছে। আমরা এদেরকে সমাজ থেকে সম্পূর্ন আলাদা করে রেখেছি; এদের সাথে স্বাভাবিক দেরকে মিশতে দেয়া হয়না এতে মনে হত এরা সমাজের একটা কীট। আমি আশাকরব সমাজের সর্বস্তরের লোকজন প্রধানমন্ত্রীর এই নির্দেশ অক্ষরে অক্ষরে পালন করে চলবে এবং অটিজম ও প্রতিবন্ধীদের সমাজের সাথে মিশিয়ে নিবে। আমীন
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: প্রধানমন্ত্রী


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ