Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার, ০৬ জুন ২০২৪, ২৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ২৮ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

মেয়র আরিফুল, বুলবুল ও গউস আবারও বরখাস্ত

| প্রকাশের সময় : ৩ এপ্রিল, ২০১৭, ১২:০০ এএম

বিশেষ সংবাদদাতা : সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল ও হবিগঞ্জ পৌরসভার মেয়র জি কে গউসকে আবারও সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। গতকাল রোববার স্থানীয় সরকার বিভাগ পৃথক পৃথক প্রজ্ঞাপন জারি করে এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে। আরিফুল, বুলবুল ও গউস তিনজনই বিএনপির নেতা।
বরখাস্তের আদেশে বলা হয়, বুলবুলের বিরুদ্ধে একটি মামলার অভিযোগপত্র রাজশাহী মহানগর বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-১ এ গৃহীত হয়েছে। আর সিলেটের মেয়র আরিফুলের বিরুদ্ধে দায়ের করা একটি  ফৌজদারি মামলার সম্পূরক অভিযোগপত্র গত ২২ মার্চ সুনামগঞ্জের বিশেষ ট্রাইব্যুনালে গৃহীত হয়েছে। ফৌজদারি মামলার অভিযোগপত্র আদালতে গৃহীত হওয়ায় স্থানীয় সরকার (সিটি কপোরেশন) আইন অনুযায়ী তাদের সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে।
রাজশাহীর বোয়ালিয়া থানায় বুলবুলের বিরুদ্ধে নাশকতার ওই মামলা দায়ের হয়েছিল ২০১৫ সালের ৮ ফেব্রæয়ারি। চলতি বছর  ফেব্রæয়ারিতে পুলিশ অভিযোগপত্র দেয়ার পর আদালত তা আমলে  নেয়। আর সুনামগঞ্জে ২০০৪ সালের ২১ জুন আওয়ামী লীগ নেতা সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের জনসভায় বোমা হামলার ঘটনায় করা এক মামলায় গত বছর কারাবন্দী আরিফুলকে গ্রেফতার দেখানো হয়। পরে ওই মামলায় পুলিশ সম্পূরক অভিযোগপত্র দিলে তাতে আরিফুলের নাম যোগ করা হয়।
প্রথমবার সাময়িক বরখাস্ত হওয়ার প্রায় দুই বছর পর উচ্চ আদালতের নির্দেশে আরিফুল ও বুলবুল আজ মেয়রের দায়িত্ব নিতে নিজ নিজ নগর ভবনে যান। মেয়রের চেয়ারে বসতে না বসতেই তারা ফের সাময়িকভাবে বরখাস্ত হলেন।
এদিকে দায়িত্ব নেয়ার ১১ দিনের মাথায় ফের সাময়িক বরখাস্ত হলেন হবিগঞ্জ পৌরসভার মেয়র জি কে গউছ। গতকাল রোববার বিকেলে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে তার বরখাস্তের আদেশের কপি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে এসে পৌঁছায়। সুনামগঞ্জে সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের জনসভায় বোমা হামলা মামলার অভিযোগপত্র আদালতে গৃহীত হওয়ায় তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
 হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের সিটি করপোরেশন অ্যাক্ট উপসচিব মো: মাহমুদুল আলমের স্বাক্ষর করা ফ্যাক্স বার্তায় গউছকে বরখাস্ত করা হয়। ওই বার্তায় বলা হয়েছে, জি  কে গউছের বিরুদ্ধে বিশেষ ট্রাইব্যুনাল মামলা-৪/২০০৯-এর সম্পূরক অভিযোগপত্র গত ২২ মার্চ আদালতে গৃহীত হয়েছে। আর এটিকেই গউছকে সাময়িক বরখাস্তের কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়।
সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এ এম এস কিবরিয়া হত্যা মামলায় ২০১৪ সালে দেয়া সর্বশেষ সম্পূরক অভিযোগপত্রে মেয়র জি কে গউছকে অভিযুক্ত করা হয়। একই বছর ২৮ ডিসেম্বর তিনি আদালতে আত্মসমর্পণ করলে তাকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়। প্রায় দুই বছর কারাভোগের পর স¤প্রতি তিনি উচ্চ আদালত থেকে জামিনে মুক্তি পান। এরপর ২৩ মার্চ মেয়র হিসেবে হবিগঞ্জ পৌরসভার দায়িত্ব  নেন।
সুনামগঞ্জের সাবেক সংসদ সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের জনসভায়  বোমা হামলা মামলায়ও তাকে আসামি করা হয়। ওই মামলার অভিযোগপত্র আদালতে গৃহীত হওয়ার পর স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় তাকে বরখাস্ত করে।
নগর ভবনে নানা নাটকীয় ঘটনা
রাজশাহী ব্যুরো জানায়, দিনভর নানা নাটকীয় ঘটনার মধ্যদিয়ে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচিত মেয়র সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশনায় নগর ভবনের চেয়ারে বসার কিছুক্ষণের মধ্যে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের আদেশে ফের বরখাস্ত হলেন মেয়র মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল।
২০১৫ সালের ৭ মে মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনে বরখাস্ত হবার পর এতদিন আইনী লড়াই চালিয়ে সর্বোচ্চ আদালত থেকে তার বরখাস্তের আদেশ অবৈধ এমন রায় পান। এরপর চেয়ারে স্বপদে ফিরবার জন্য অপেক্ষার ছিল আদালতের নির্দেশনা মোতাবেক পদে ফিরবার। এনিয়ে ছিল স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের গড়িমসি। বিভিন্ন গণমাধ্যমে বিষয়টা নিয়ে লেখালেখি হওয়ায় অবশেষে পত্র আসে। সে মোতাবেক বুলবুল নগরভবনে যাবার প্রস্তুতি নেন। জানান দেন রোববার দায়িত্বভার নেবেন। ঘোষণা মোতাবেক সকাল সোয়া দশটার দিকে শুভাকাক্সক্ষী দলীয় নেতাকর্মী সমর্থকদের সাথে নিয়ে নগরভবনের প্রধান ফটক দিয়ে প্রবেশ করেন। এসময় তাকে জানানো হয় ফুলেল শুভেচ্ছা। এরপর নগর ভবনের মেয়র কক্ষের সামনে যাবার পর ঘটে বিপত্তি। দরজায় ঝুলছে নতুন তালা। কে তালা লাগিয়েছে জবাব নেই সংশ্লিষ্ট অফিস স্টাফদের। খবর ছড়িয়ে পড়লে বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে তার সাথে আসা কর্মী সমর্থকরা। বুলবুল সোজা যান প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার কক্ষে। তিনি তালার ব্যাপারে কিছু বলতে অপরাগতা প্রকাশ করেন। এরপর সচিবের কক্ষে। দুই কর্মকর্তাকে নিয়ে বসেন বৈঠকে। তালা খুলে তাকে দায়িত্ব বুঝিয়ে দেবার জন্য বলেন। এনিয়ে চলে সময় ক্ষেপণ। নগরভবনে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পিএ কক্ষ ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। সকাল থেকে বাইরে অবস্থান নেয়া পুলিশ চলে আসে ভবনের ভেতরে। ধাওয়া করে বাইরে থেকে আসা সমর্থকদের ভবনের বাইরে তাড়িয়ে দেয়। নগরভবনে বিভিন্ন কাজে আসারাও পড়ে বিপাকে। গণমাধ্যমকর্মী আর নগরভবনের কর্মীরা নিজ নিজ কক্ষে অবস্থান নিতে হয়। দুপুরের দিকে নগরভবনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও পুলিশের উপস্থিতিতে তালা ভাঙ্গা হয়। তালা ষড়যন্ত্রের জন্য শোনা যায় নানা কটূক্তি আর মন্তব্য। এজন্য দায়ী করা হয় আওয়ামী লীগপন্থী দু’জন ও একজন বিএনপি পন্থী কাউন্সিলরকে। দুপুরের মধ্যে কিছু একটা হবে এমন আশ্বাস তাদের কাছে ছিল বলে তালা খুলতে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত সময় ক্ষেপণ করা হয়। আলোচনায় ছিল গত ৩০ মার্চ শেষদিন ধরে বিভিন্ন ফান্ড হতে প্রায় দেড়কোটি টাকা চেক ছাড়া হয়েছে। দুপুরের মধ্যে এসব চেক যাতে নগদায়ন করা যায় তার সুযোগ করে দিতে এমন তালা ষড়যন্ত্র। অবশেষে দুপুর তিনটায় মেয়র বুলবুল নগরভবনের মেয়রের কক্ষে প্রবেশ করেন। এরমধ্যে চলে আসে মন্ত্রণালয়ের আরেক বরখাস্তের আদেশ। মেয়র বুলবুল তার কক্ষে বসে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন। তিনি বলেন, আমি সর্বোচ্চ আদালতের রায়ে বর্তমানে বৈধ মেয়র। শুনেছি ফের বরখাস্তের কথা। যা সর্বোচ্চ আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে যায়। এসরকার অনির্বাচিত অগণতান্ত্রিক অবৈধ সরকার বলে বারবার সব অগণতান্ত্রিক স্বৈরাচারমূলক পদক্ষেপ নিয়ে জনগণের প্রতিনিধিদের হয়রানী করছে। আমাকে অসম্মান করার মানে হলো পুরো নগরবাসীকে অসম্মান। যারা আমাকে ভোট দিয়ে তাদের সেবা করার জন্য নগরভবনে পাঠিয়েছে। কিন্তু সরকার রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার জন্য বার বার হীন সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। তিনি ভবনের দু’জন আমলা কর্মকর্তার প্রতি ইঙ্গিত করে বলেন আমার দায়িত্ব গ্রহণ নিয়ে যে নাটক হলো তার দায় আপনারাও এড়াতে পারবেন না। এরপর তিনি গণমাধ্যম কর্মীদের নিয়ে তার কক্ষ থেকে বেরিয়ে আসেন। গণমাধ্যম কর্মীদের এক প্রশ্নের জবাবে বলেন আমি নির্বাচিত এবং সর্বোচ্চ আদালতের রায়ও আমার পক্ষে। অতএব, আমি আগামীকাল থেকে নগরভবনে নিয়মিত আসব। মেয়র বুলবুল নগরভবন ত্যাগ করার পর কর্মকর্তারা পরবর্তী করনীয় নিয়ে বিকেলে বৈঠক করেন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
উল্লেখ্য, গত ২৮ মার্চ দৈনিক ইনকিলাবে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বুলবুলকে নগরভবনে প্রবেশ বাধা, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি ও ফের মামলা দিয়ে বরখাস্ত করার শঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছিল। যা গতকাল সত্য বলে প্রমাণিত হলো।
মামুনুর রশীদ মামুন, সিলেট থেকে জানান,
আইনী লড়াইয়ে নিজের পদ ফিরে পেয়েছিলেন সিলেট সিটি কর্পোরেশনের আরিফুল হক চৌধুরী। গতকাল রোববার সকালে শোডাউন করে নগর ভবনে বসেন মেয়রের চেয়ারে। এসময় সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর ও কর্মকর্তা-কর্মচারী ছাড়াও বিভিন্ন পেশার মানুষ মেয়রকে ফুলেল অভর্থ্যনা জানান। দায়িত্ব গ্রহণ উপলক্ষে নগর ভবনে সৃষ্টি হয় উৎসবমুখর পরিবেশ। তবে সোয়া ১১টা থেকে বেলা ২টা, এই তিন ঘণ্টা সময় মেয়র পদে থাকার পর ফের বরখাস্ত হলেন আরিফ।
কিন্তু চেয়ারে বসার মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ‘দুঃসংবাদ’ এসেছে আরিফের জন্য। ফের মেয়রের পদ থেকে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়।
এর আগে ২০১৫ সালের ৭ জানুয়ারি মেয়র পদ থেকে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। তবে মামলার জালে আটকা পড়ে এ চেয়ারে বসা হয়নি অন্য কারো। দু’বছরই শূন্য ছিল মেয়রের চেয়ার।
সূত্র জানিয়েছে, স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের সিটি কর্পোরেশন অ্যাক্ট উপ-সচিব মো. মাহমুদুল আলম কর্তৃক সিলেট সিটি কর্পোরেশনে একটি ফ্যাক্স বার্তা প্রেরণ করা হয়েছে।
ওই বার্তায় বলা হয়েছে, আরিফুল হক চৌধুরীর বিরুদ্ধে বিশেষ ট্রাইব্যুনাল মামলা-৪/২০০৯-এর সম্পূরক অভিযোগপত্র গত ২২ মার্চ আদালতে গৃহিত হয়েছে। সেহেতু সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীকে স্থানীয় সরকার বিভাগ আইন ২০০৯-এর ১২ উপধারা প্রদত্ত ক্ষমতাবলে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো।
বিশেষ ট্রাইব্যুনাল মামলাটি হচ্ছে প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতা সুরঞ্জিত সেন গুপ্তের জীবদ্দশায় দিরাইয়ে একটি জনসভায় বোমা হামলার মামলা।
২০০৪ সালের ২১ জুন দুপুরে সুনামগঞ্জের দিরাই বাজারে একটি জনসভায় বোমা হামলার ঘটনা ঘটে। সভায় প্রধান অথিতি ছিলেন সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত। এ বোমা হামলায় এক যুবলীগ কর্মী নিহত হয় ও ২৯ জন আহত হয়। পরদিন পুলিশ বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে মামলা করে। ২০১৬ সালের ২০ জুলাই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির হবিগঞ্জ জোনের তৎকালীন সহকারী পুলিশ সুপার বসু দত্ত চাকমা আদালতে আরিফুল হক ও হবিগঞ্জ পৌর মেয়র জি কে গউছকে গ্রেফতারের আবেদন জানান ।
১৫ সেপ্টেম্বর আদালতে মামলার দাখিলকৃত চার্জশিটে আরিফ-গউছসহ ১৩ জনকে অভিযুক্ত করা হয়। আরিফ ও গউছকে ২৭ নভেম্বর ওই মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয় এবং চলতি বছরের ২২ মার্চ মামলার চার্জশিট আদালতে গৃহিত হয়।
২০১৩ সালের ১৫ জুন নির্বাচনে মেয়র পদে বিজয়ী হন বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী আরিফুল হক চৌধুরী। নির্বাচনের দেড় বছরের মাথায় তিনি জড়িয়ে পড়েন সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়া হত্যা মামলায়। ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে সিআইডির সম্পূরক চার্জশিটে ওই মামলায় আসামি করা হয় তাকে। ওই বছরের ৩০ ডিসেম্বর হবিগঞ্জ আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন প্রার্থনা করলে আদালত তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন।
কিবরিয়া হত্যা ও সুরঞ্জিত সেনের জনসভায় বোমা হামলার ঘটনায় দায়েরকৃত ৪টি মামলায় পর্যায়ক্রমে উচ্চ আদালত থেকে জামিন লাভ করেন আরিফ। ২ বছর ৪ দিন পর চলতি বছরের ৩ জানুয়ারি সবকয়টি মামলায় জামিনে মুক্ত হন তিনি। গত ১৩ মার্চ আরিফের রিটের প্রেক্ষিতে হাইকোর্ট স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের বরখাস্তের আদেশ ছয় মাসের জন্য স্থগিত করেন। রাষ্ট্রপক্ষ এই আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করলে গত ২৩ মার্চ পূর্বের দেয়া আদেশই বহাল রাখেন আপিল বিভাগ।
ওই আদেশের প্রেক্ষিতে গতকাল রবিবার নগর ভবনে গিয়ে ফের মেয়রের দায়িত্ব গ্রহণ করেন তিনি।



 

Show all comments
  • Nur-Muhammad ৩ এপ্রিল, ২০১৭, ৯:৩৯ এএম says : 0
    লক্ষ লক্ষ ভোটারের ভোট আর কতকাল পথদলিত হবে। যে ভোটাররা এই জনপ্রতিনিধি নির্বাচন করলো তাদের অধিকার কতদিন বন্ঞ্চিত হবে। এটা ই কি গণতন্রের লেবাছ পড়া স্বৈতন্তের কাজ? হাঁ হবে ই ত। স্বৈরাচার ত ভোটারবিহীন সরকারের বড় এক অংশিদার। এমন না হলে, জনপ্রতিনিধিরা কেন আজ জেলে থাকছে, জেলে পঁচে মরছে। জনগণ মনে করে, জনসাধারনের নির্বাচিত একেবারে ছোট প্রতিনিধি ( মেন্বার বা কাউন্সিলর) ও প্রশাসনের উচ্চ ( সচিব) কর্ম কর্তার চেয়ে অনেক শক্তিশালী। গণতন্রের সজ্ঞা আর আমাদের সংবিধান তা ই বলে। বঙ্গবন্ধুর "৭১ এর রক্তে কিনা সংবিধান আজ ভোটারবিহীন সরকার ছিন্ন বিন্ন করে দিল। "৭৫ এ বড় ও পাহাড় সমতল্য প্রিয় নেতা বঙ্গবন্ধুকে যারা হত্যা করলো। যারা অধিক সমালোচনা করে বাংলার অবিসংবাদিত নেতার হত্যার পথ তৈরী করলো, তারা ই আজ বঙ্গ কণ্যার চারিদিগে বেষ্টনি করে, গণতন্রকে রক্তাক্ত ও হত্যা করলো। বাংলার জনগণ এই বিপদ থেকে উদ্ধারের জন্য বঙ্গবন্ধুকণ্যার নিকট আবেদন নিবেদন করছে। গণতন্রকে বাঁচানোর আকুতি মিনতি করছে। বঙ্গবন্ধু যেমন একটি পথহারা ও পরাধীন জাতিকে স্বাধীনতার স্বাদ দিয়েছে, বঙ্গবন্ধুকণ্যা ও গণতন্রকে পনঃ উত্থান করবে, ভোটাধিকার ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করবে বলে, জনগণ এখন ও বিশ্বাস করে। তাই আমরা দাবী রাখছি, জেল জুলুম বন্ধ করুন জনপ্রতিনিধিদের হাতে ক্ষমতা দিন। গণতন্রকে দাড়াতে দিন। ধন্যবাদ।সবায়কে ধন্যবাদ।
    Total Reply(0) Reply
  • Nur- Muhammad ৩ এপ্রিল, ২০১৭, ১২:৪৬ পিএম says : 0
    দেশের সর্বশেষ্ট সন্তান মুক্তিযুদ্ধা মোহাম্মদ শাহ আলম খান, গণতন্রের ও মুক্তি যুদ্ধের কথা বলেন ও লিখেন। আজ গণতন্রের বিপর্যয়ের কথা সাংবাদিক ভাই যে ভাবে তুলে ধরছে, তা বাস্তবিক ই ব্যথিত হওয়ার বিষয়। গণ তন্র আর ও কত রক্তক্ষরন হবে। আমরা এখন কি করবো। কি ভাবে এর প্রতিকার পাব। গণতন্র পুনঃ উত্থানের পথ কি হবে, এমন লিখনী খান ভাই এর কাছে প্রত্যাশা করি। ধন্যবাদ। সবায়কে ধন্যবাদ।
    Total Reply(0) Reply
  • Ahmed Rahman ৩ এপ্রিল, ২০১৭, ১:৫৩ পিএম says : 0
    Bina voter sorkar jonogoner voter meyorderke borkhasto kore , a Zeno chakori Malik hoye jawar moto
    Total Reply(0) Reply
  • Vubon Sarkar ৩ এপ্রিল, ২০১৭, ১:৫৫ পিএম says : 0
    সাক্কু সাহেবকে কি বরখাস্ত করবে নাকি শপথ নিতেই দিবে না? মেয়রের চেয়ারে বসতে যে দিবে না সেটা জনগণ আন্দাজ করে। জনগণ সহ্য করতে করতে যখন আর পারবে না তখন আওয়ামী .......... সরকারের মুখে গণহারে ......... করে দিবে।
    Total Reply(0) Reply
  • MD Masud Howlader ৩ এপ্রিল, ২০১৭, ১:৫৬ পিএম says : 0
    Tader oporad tara BNP kare
    Total Reply(0) Reply
  • Ibrahim Hossain ৩ এপ্রিল, ২০১৭, ১:৫৮ পিএম says : 0
    নোংরামির একটা সীমা থাকা উচিৎ
    Total Reply(0) Reply
  • Md Saifur Rahman ৩ এপ্রিল, ২০১৭, ২:০০ পিএম says : 0
    হায়রে দেশ।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ