পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিশেষ সংবাদদাতা : তিস্তা নিয়ে শুধুই হতাশা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আসন্ন ভারত সফরে তিস্তার পানি বন্টন চুক্তি যে হচ্ছে না, এমন বক্তব্য উঠে এসেছে খোদ পানি সম্পদমন্ত্রীর কাছ থেকেই। তিনি স্পষ্ট করে বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরে তিস্তা নদীর পানি বন্টন চুক্তি হচ্ছে না। তবে পদ্মা নদীতে পানি প্রবাহ স্বাভাবিক রাখতে গঙ্গা ব্যারেজ নির্মাণ প্রকল্প নিয়ে ভারতের সঙ্গে সমঝোতা হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।
গতকাল (রবিবার) রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে এক সেমিনারে এমন বক্তব্য রাখেন পানি সম্পদমন্ত্রী। ‘বাংলাদেশ ডেল্টা প্ল্যান-২১০০ (খসড়া)’ শীর্ষক এই সেমিনারের আয়োজন করে টাস্কফোর্স অব ওয়াটার, আইইবি।
পানি সম্পদমন্ত্রী বলেন, ভারতের সঙ্গে তিস্তার পানিবণ্টন চুক্তি সই হওয়া সময়ের ব্যাপার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরে এই চুক্তি না হলেও একটি দৃষ্টিগ্রাহ্য অগ্রগতি হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘যথা শীঘ্রই সম্ভব ফ্রেমওয়ার্ক অনুযায়ী চুক্তি ডেফিনেটলি করা হবে।’
পানি সম্পদমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে ঝুলে থাকা স্থল সীমান্ত চুক্তির বাস্তবায়ন হয়েছে বর্তমান সরকারের আমলেই। আন্তর্জাতিক আদালতের রায়ে মীমাংসা হয়েছে পানি সীমানা দ্ব›েদ্বরও। শুধুমাত্র তিস্তার পানিবণ্টন চুক্তিই আটকে আছে বহু বছর ধরে।
উল্লেখ্য, ২০১১ সালে ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের বাংলাদেশ সফরে এই চুক্তি হওয়ার প্রস্তুতি থাকলেও শেষ মুহূর্তে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের আপত্তিতে আটকে যায় এই চুক্তি। আগামী ৭ এপ্রিল চার দিনের সফরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারত যাচ্ছেন। এই সফরকে সামনে রেখেই আবারও আলোচনায় এসেছে তিস্তা চুক্তির প্রসঙ্গটি।
পানিসম্পদ মন্ত্রী বলেন, তিস্তা চুক্তি নিয়ে ভারতের দুইজন প্রধানমন্ত্রীকে আশ্বাস দিয়েছেন। অবশ্যই তিস্তা চুক্তি হবে। বাংলাদেশ সরকার তিস্তার পানির জন্য নদী রক্ষার জন্য ফ্রেমওয়ার্ক অনুযায়ী চুক্তি বাস্তবায়ন করবে।
আলোচনার মাধ্যমে বাংলাদেশের প্রাপ্যতা বাড়ানো সম্ভব উল্লেখ করে পানিমন্ত্রী বলেন, তিস্তা চুক্তির ব্যাপারে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং কথা দিয়েছেন। ভারতেরও পানির প্রয়োজন, আমাদেরও পানির প্রয়োজন। আমাদের পানির প্রাপ্যতার ব্যাপারে আরও মনোযোগী হব। দেশের জন্য যেটা ভালো হবে সেটাই করা হবে।
পানির সমস্যা সামাধান একটি বিরাট চ্যালেঞ্জ উল্লেখ করে আনিসুল ইসলাম বলেন, একেক জায়গায় একেক সমস্যা তার সমাধানও ভিন্ন ভিন্ন। শুষ্ক মৌসুমে উত্তরাঞ্চলে পানি পাচ্ছি না, দক্ষিণাঞ্চলে পানি পাচ্ছি। হাওরে চার মাসে পানি পাই ৮০ ভাগ, আট মাসে পানি পাই মাত্র ২০ ভাগ। এই সমস্যার সোজা সমাধান নেই।
পদ্মা নদীতে পানি প্রবাহ স্বাভাবিক রাখতে গঙ্গা ব্যারেজ নির্মাণ প্রকল্প নিয়ে ভারতের সঙ্গে সমঝোতা হবে বলেও জানান পানিসম্পদমন্ত্রী। তিনি বলেন, গঙ্গা ব্যারেজের পানি এক-চতুর্থাংশ ভারতে জমা হবে। এটা নিয়ে তাদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে খুব শীঘ্রই একটা সিদ্ধান্ত হবে।
সেমিনারে পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম বলেন, নদীর প্রবাহ ঠিক রেখে খাল-নদী উদ্ধার করতে হবে। যাতে করে এসব নদীর পানি সেচের কাজে ব্যবহার করতে পারি। নদীগুলোর ড্রেজিং যদি সঠিকভাবে করা যায়; তাহলে গ্রামে যে খাল-বিল অসংখ্য পুকুর রয়েছে- সেগুলো কাজে লাগানো যাবে। এতে করে বাঙালির পানি সমস্যা আর থাকবে না।
গঙ্গা ব্যারেজ জিডিপিতে অবদান রাখবে উল্লেখ করে পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী বলেন, গঙ্গা ব্যারেজের ফলে দক্ষিণাঞ্চলে যখন মিষ্টি পানির প্রবাহ বাড়বে। তখন কৃষকরা তিনটি ফসল উৎপাদন করতে পারবে।
গঙ্গা ব্যারেজ হলে দেশের জিডিপিতে ১.৮ থেকে ২ শতাংশ যোগ হবে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এতে ২৩টি জেলার মানুষের অর্থনৈতিক কর্মকান্ড বাড়বে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।