পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, জঙ্গিরা দেশীয় বিস্ফোরক ব্যবহার করছে। দেশের কোন জায়গা থেকে তারা এ বিস্ফোরক সংগ্রহ করছে বা তৈরি করে সে বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখছি।
গতকাল রোববার পুলিশ স্টাফ কলেজ বাংলাদেশে ‘সার্ক প্রেক্ষিত’ শীর্ষক অপরাধ প্রতিরোধ আন্তর্জাতিক প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, স¤প্রতি জঙ্গি আস্তানায় পাওয়া বিস্ফোরক দেশি। এসব বিস্ফোরক দেশেই বিভিন্ন জায়গায় পাওয়া যায়। এগুলো বিদেশ থেকে আনার প্রয়োজন হয় না, এ বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখছি।
বাংলাদেশ পুলিশ নিয়ে মন্ত্রী বলেন, আমাদের পুলিশ বাহিনী অত্যন্ত দক্ষ ও সমৃদ্ধ। তাদের জ্ঞান, মেধা বৃদ্ধির কোনো সীমা নেই। এসব প্রশিক্ষণের মাধ্যমে আমাদের আরো দক্ষতা অর্জন করতে হবে।
এ সময় বিস্ফোরক সংগ্রহের বিষয়ে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) এ কে এম শহিদুল হক বলেন, জঙ্গিরা কোন দোকান থেকে এসব বিস্ফোরক সংগ্রহ করেছে তা শনাক্ত করে খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে।
বিভিন্ন সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর হামলার ঘটনায় যেসব হাতবোমা বা বিস্ফোরক ব্যবহার করা হয়েছে, এর প্রায় সবই দেশীয় কাঁচামাল ও স্বল্পমূল্যের দ্রব্য দিয়ে তৈরি। তাই বিস্ফোরক দ্রব্য বিক্রির সঙ্গে জড়িত ব্যবসায়ীদের প্রতি নজরদারি বাড়ানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী।
স¤প্রতি রাজধানী ও এর বাইরে জঙ্গি তৎপতার পর এ নজরদারি বাড়ানো হয়। পাশাপাশি বিস্ফোরক পাচার হয়ে আসছে কি না তা খতিয়ে দেখতে চোরাচালানের ওপর বিশেষ নজর রাখা হচ্ছে।
ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া এ বিষয়ে বলেন, হামলায় ব্যবহৃত হচ্ছে দেশীয় বিস্ফোরক। বিভিন্ন অভিযান পরিচালনার সময় আমরা দেখেছিÑ টিনের কৌটা, চায়ের কাপ, কাঁচের বোতল, নারকেলের মালা, দাহ্য পদার্থ ইত্যাদি পাওয়া গেছে। এছাড়া চোরাচালানের মাধ্যমেও বিভিন্ন রাসায়নিক পদার্থ ও অস্ত্র সীমাস্ত হয়ে দেশে ঢুকছে।
পুলিশ কমিশনার বলেন, বিস্ফোরক দ্রব্য ব্যবহার-বিক্রির সঙ্গে জড়িত ব্যবসায়ীদের প্রতি নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। বিভিন্ন ব্যবসায়ীর সঙ্গে যারা বিস্ফোরক সরবরাহ ও কেনাবেচায় জড়িত, তাদের প্রতি গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। কারণ, দেশীয় বিস্ফোরকের ব্যবহার হচ্ছে বিভিন্ন সময়। চোরাচালান ও অনৈতিক ব্যবসা বন্ধ এবং হামলায় ব্যবহৃত দ্রব্য সহজলভ্য না হলে জঙ্গি তৎপরতা কমবে। এ বিষয়ে গোয়েন্দা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।