Inqilab Logo

সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

খুলনা-কলকাতা যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল উদ্বোধন ৮ এপ্রিল

ইমিগ্রেশন-কাস্টমসসহ সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন

| প্রকাশের সময় : ৩ এপ্রিল, ২০১৭, ১২:০০ এএম

বেনাপোল অফিস : আগামী ৮ এপ্রিল খুলনা-কলকাতা যাত্রীবাহী ট্রেন চালু হতে যাচ্ছে। ট্রেন চালানোর জন্য দুই দেশে পরিকাঠামো নির্মাণসহ আনুষাঙ্গিক সব প্রস্তুতি এখন শেষের পথে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানিয়েছে আগামী ৮ এপ্রিল খুলনা থেকে একটি ট্রেন কলকাতার উদ্দেশে আনুষ্ঠানিক যাত্রা করবে। পরে ওই ট্রেনটিই ফিরবে কলকাতা থেকে। খুলনা এবং কলকাতায় রেলস্টেশনে আন্তর্জাতিক রুটে যাত্রীবাহি ট্রেন চালানোর যাবতীয় অবকাঠামোগত সুবিধা রয়েছে। বেনাপোল এবং ওপারের পেট্রাপোলে নতুন করে অবকাঠামো তৈরি করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ইমিগ্রেশন, কাস্টমস ও রেল পুলিশের জন্য কক্ষ নির্মাণ ইতিমধ্যে সম্পন্ন করা হয়েছে।
ইতিপূর্বে দুই দেশের সরকার প্রধান খুলনা-কলকাতা রুটে যাত্রী ট্রেন চলাচলের সিদ্ধান্তে নেন। সে অনুযায়ী দুই দেশের রেল কর্তৃপক্ষ প্রস্তুতি নিতে থাকেন। গত ১১ জানুয়ারি নড়াইলে এক অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে ভারতীয় হাইকমিশনার হর্ষবর্ধন শ্রিংলা এ বছরের শুরুতে খুলনা-কলকাতা রুটে যাত্রীট্রেন চলাচলার কথা জানিয়েছিলেন। এর আগে বেনাপোল রেলস্টেশন ভবনে কাস্টমস, বন্দর ও পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে আয়োজিত জরুরি বৈঠকে বাংলাদেশ রেলওয়ের অতিরিক্ত মহাব্যবস্থাপক হাবিবুর রহমানও একই কথা জানিয়েছিলেন।
শুক্রবার ভারতের পূর্ব রেলের জেনারেল ম্যানেজার এসএন আগরওয়াল পেট্রাপোল সীমান্ত স্টেশন পরিদর্শন করেন। তিনি সেখানে জানান, আগামী ৮ এপ্রিল বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে বেনাপোল-পেট্রাপোল স্টেশন দিয়ে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল শুরু হবে। ওই দিন বাংলাদেশ থেকে প্রথম যাত্রীবাহী ট্রেন ভারতের পেট্রাপোলে যাবে। এরপর থেকে দুই দেশের মধ্যে শুরু হবে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল। পূর্ব রেলের ডিভিশনাল রেলওয়ে ম্যানেজার বাসুদেব পাÐা জানিয়েছেন, এই রেলপথে সপ্তাহে সাতদিন রেল চলাচল করলেও কোনো অসুবিধা হবে না। সেভাবেই পরিকাঠামো গড়ে তোলা হয়েছে। শুক্রবার ভারতের পূর্ব রেলের কর্মকর্তারা ভারতের প্রান্তিক স্টেশন পেট্রাপোলের সার্বিক ব্যবস্থা খতিয়ে দেখেন। পেট্রাপোল স্টেশন সাজানোর কাজ চলছে এখন। বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচলের ক্ষেত্রে সব রকম পরিকাঠামোর কাজ এখন প্রায় শেষ পর্যায়ে।
বাংলাদেশ রেলওয়ের অতিরিক্ত মহাব্যবস্থাপক হাবিবুর রহমান জানান, প্রথমাবস্থায় যশোর জংশন, বেনাপোল ও নওয়াপাড়া স্টেশনের মতো গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট থেকে যাত্রীরা এই ট্রেনে চড়তে পারবেন না। ‘পরে অবস্থা বিবেচনা করে ট্রেনের ট্রিপ ও স্টেশন সংখ্যা বাড়ানো হবে’ জানিয়ে অতিরিক্ত মহাব্যবস্থাপক বলেন, ‘ম্যানুয়াল পদ্ধতির পাশাপাশি অনলাইনেও টিকিট কাটার সুযোগ পাবেন যাত্রীরা।’ তবে পরে রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জানান, যশোর জংশনে আন্তর্জাতিক এই ট্রেনের স্টপেজ থাকছে। বাংলাদেশ রেলওয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, খুলনা স্টেশন থেকে যাত্রীরা ট্রেনে চড়ে বেনাপোল পৌঁছুবেন। পরে বেনাপোল রেলস্টেশনে ইমিগ্রেশন ও কাস্টমসের বুথে যাত্রীদের পাসপোর্ট ও ব্যাগেজ তল্লাশির আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করে ভারতের পেট্রাপোল হয়ে কলকাতার উদ্দেশে ছেড়ে যাবে ট্রেন।
গত ১ এপ্রিল যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত ও উদ্বোধনী ভিডিও কনফারেন্সের কাজ এর অগ্রগতি দেখতে রেলের পশ্চিমাঞ্চলীয় জোনের জেনারেল ম্যানেজার খাইরুল আনাম বেনাপোল রেলে স্টেশন পরিদর্শন শেষে রেল, কাস্টম ও পুলিশ ইমিগ্রেশন কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠক করেছেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ