পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
হাসান সোহেল : দুই বিভাগে বিভক্ত করার পর থেকেই বিশৃঙ্খল অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে। নতুন বিভাগে সচিবসহ অন্যান্য কর্মকর্তাদের পদ বেড়ে যাওয়ায় বসার জায়গা পাচ্ছেন না কর্মকর্তারা। বসার স্থান নিয়েই যেনো স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে তৈরি হয়েছে হ-য-ব-র-ল অবস্থা।
কে কোথায় বসবেন এ নিয়েই বিপাকে পড়েছেন নতুন পদায়নকৃতরা। এ নিয়ে রীতিমতো টানাহেঁচড়া ও তদবিরও চলছে। দুই বিভাগে বিভক্ত হয়ে যাওয়ায় এতদিন একই বিভাগে থাকা এই মন্ত্রণালয়ের দৈনন্দিন কাজে নেমে এসেছে স্থবিরতা। স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব হিসেবে দায়িত্ব পাওয়া সাবেক স্বাস্থ্য সচিব মো. সিরাজুল ইসলাম তাঁর আগের কক্ষে বসলেও বিপাকে পড়েছেন স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. সিরাজুল হক খান। নতুন এই সচিবের বসার কক্ষ খোঁজা হচ্ছে এখনো। অবশ্য ইতোমধ্যে সচিব পছন্দ করেছেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ডিউটি পোস্টে দায়িত্ব পালনকারী অতিরিক্ত সচিব সরদার আবুল কালামের কক্ষ। সরদার আবুল কালামকে দেয়া হচ্ছে উপ-সচিব বিশ্ব স্বাস্থ্যের কক্ষ। যদিও তিনি পছন্দ করেছেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (সুপার নিউমারারি) হাসপাতাল হাবিবুর রহমান খানের কক্ষ।
মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, কাজের সুবিধার্থে গত ১৬ মার্চ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে দুই ভাগে বিভক্ত করা হয়। একটি স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ এবং অপরটি মেডিক্যাল শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগ। ইতোমধ্যে অতিরিক্ত সচিব থেকে নি¤œপদস্থ কর্মকর্তাদের দুই বিভাগে ন্যস্ত করা হয়েছে। শুধুমাত্র দ্বিতীয় শ্রেণির কর্মকর্তাদের পদায়ন করা হয়নি। এসব কর্মকর্তারাও তদবির চালাচ্ছেন পছন্দের বিভাগে পদায়ন নিয়ে। এদিকে দুই বিভাগে বিভক্তির পর এতদিন একসঙ্গে থাকা শাখাগুলোর কাজে স্থবিরতা নেমে এসেছে। কর্মকর্তারাও বুঝে উঠতে পারছেন না কি করবেন।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রী একজন করে থাকলেও ওই দুই বিভাগের জন্য সচিব থাকবেন দুইজন। স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন স্বাস্থ্য সচিব মো. সিরাজুল ইসলাম এবং স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. সিরাজুল হক খানকে। দুটি বিভাগে আনুপাতিক হারে কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরও ভাগ করে দেয়া হয়।
ইতোমধ্যে ১৩ জন উপসচিবকে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (উপসচিব) এবং ১০ জন সিনিয়র সহকারী সচিবকে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (সিনিয়র সহকারী সচিব) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় স্বাস্থ্যসেবা বিভাগে সংযুক্তিতে নিয়োগ দেয়া হয়। সাতজন উপ-সচিবকে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (উপসচিব) এবং পাঁচজন সিনিয়র সহকারী সচিবকে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (সিনিয়র সহকারী সচিব) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগে সংযুক্তিতে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একাধিক কর্মকর্তা জানান, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের আওতায় বিশেষায়িত হাসপাতাল, মেডিক্যাল কলেজ, জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন হাসপাতাল, কেন্দ্র এবং কমিউনিটি ক্লিনিক, নার্সিং ব্যবস্থাপনা, ওষুধ অধিদফতরের কর্মকাÐ, বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক এবং ডায়াগনস্টিক সেন্টারে পরিচালক পরিবীক্ষণ, প্রমোটিভ, প্রিভেনটিভ, কিউরেটিভ এবং রিহ্যাবিলিটেটিভ সার্ভিসেস, সংক্রামক ও অসংক্রামক রোগ প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ এবং নির্মূল, বিসিএস স্বাস্থ্য ইত্যাদি থাকবে।
অপরদিকে মেডিক্যাল শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের আওতায় থাকবে পরিবার পরিকল্পনা, মেডিক্যাল শিক্ষা ও ডেন্টাল শিক্ষা (ম্যাটস এবং আইএসটি), নার্সিং এবং মিডওয়াইফারি, হোমিওপ্যাথি এবং দেশজ চিকিৎসা ও বিসিএস পরিবার পরিকল্পনা ইত্যাদি।
এদিকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে দুই বিভাগে বিভক্ত করার পর থেকে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বসার কক্ষ প্রদানে হিমশিম খেতে হচ্ছে। এরপর আবার কর্মকর্তাদের পছন্দের কক্ষ। যদিও ইতোমধ্যে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের লাইব্রেরি ও কম্পিউটার কক্ষ ছোট করার প্রক্রিয়া চলছে। একই সঙ্গে একই ভবনের তৃতীয় তলায় গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সহায়তায় আরও কিছু কক্ষ নেয়ার প্রচেষ্টা চলছে। কারণ, তৃতীয় তলায় বর্তমানে অর্থ মন্ত্রণালয়ের কিছু কর্মকর্তার অফিস কক্ষ। যদিও এসব কর্মকর্তারা শিগগিরই অর্থ মন্ত্রণালয়ের জন্য নির্মিত নতুন ভবনে উঠছেন বলে জানা গেছে। তখন ওই সব কক্ষে নতুন পদায়নকৃত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বসতে পারবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একাধিক কর্মকর্তা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।