Inqilab Logo

বুধবার, ০৫ জুন ২০২৪, ২২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ২৭ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

ছাত্রদল নেতা নুরুর খুনীরা এখনো আড়ালে

| প্রকাশের সময় : ৩ এপ্রিল, ২০১৭, ১২:০০ এএম

চট্টগ্রাম ব্যুরো : কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সহ-সম্পাদক নুরুল আলম নুরুর হত্যাকারী কারা তা নিয়ে এখনও বিতর্ক চলছে। পুলিশ নুরুকে বাসা থেকে গ্রেফতার করে গুলি করে হত্যা করেছে এমন দাবিতে অটল পরিবারের সদস্যরা।
অন্যদিকে নুরুকে তুলে নিয়ে হত্যার অভিযোগ শুরু থেকে অস্বীকার করছে পুলিশ। তাহলে এখন প্রশ্ন নুরুর খুনী কারা। গত ৪ দিনেও এ প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যায়নি। আর এ কারণে দেশজুড়ে তোলপাড় সৃষ্টিকারী এ হত্যাকান্ডের রহস্যও উদঘাটন হয়নি। এখনও আড়ালেই রয়ে গেছে খুনীরা।
বুধবার রাতে চট্টগ্রাম নগরীর চন্দনপুরার বাসা থেকে হ্যান্ডকাফ পরিয়ে তাকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। এর পরদিন সকালে তার লাশ পাওয়া যায় রাউজান উপজেলার বাগোয়ান ইউনিয়নের খেলারঘাট বাজারের পাশে। কর্ণফুলীর তীরে উপুড় হয়ে পড়ে থাকা লাশের হাত ও মুখ বাঁধা ছিল। দু’টি গুলিতে থেতলে যায় এ ছাত্রদল নেতার মাথা।
ওইদিন সকালেই নিহতের পরিবারের সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ শনাক্ত করলেও পুলিশ ছিল নীরব দর্শক। ফেসবুকসহ সামাজিক মিডিয়ায় নুরুকে গ্রেফতারের পর তুলে নিয়ে হত্যার সচিত্র নানা পোস্ট ছড়িয়ে পড়ায় বিকেলে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে।
এরপর ময়নাতদন্ত শেষে লাশ হস্তান্তর করা হয় পরিবারের কাছে। নুরুর পরিবারের অভিযোগ রাউজানের নোয়াপাড়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এস আই জাহিদ মিয়ার নেতৃত্বে একদল পুলিশ তাকে বাসা থেকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়। এরপর তাকে নির্যাতন ও গুলি করে হত্যা করা হয়। হত্যাকাÐের দু’দিনের মাথায় শুক্রবার গভীর রাতে রাউজান থানার এস আই মো. কামাল বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
পুলিশ পরিবারের অভিযোগ অস্বীকার করলেও নুরুকে কারা তুলে নিয়ে হত্যা করেছে এ ব্যাপারে স্পষ্ট করে কিছু বলতে পারছে না। ঘটনার পর থেকে পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করলেও এ ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করার ব্যাপারে তাদের দৃশ্যমান কোন তৎপরতা দেখা যায়নি বলে অভিযোগ নুরুর পরিবারের সদস্যদের। নুরুর মামা রাশিদুল ইসলাম বলেন, এস আই জাহিদের নেতৃত্বে পুলিশ তাকে তুলে নিয়ে গেছে। পরদিন তার লাশ পাওয়া গেছে। পুলিশ যদি এ অভিযোগ অস্বীকার করে তাহলে তাদের উচিত হবে এ ঘটনায় কারা জড়িত ছিল তাদের চিহ্নিত করা।
মহানগরীর বাসা থেকে মধ্যরাতে তুলে নেয়ার পর কয়েক ঘণ্টার মধ্যে নুরুর লাশ পাওয়া যায় ২৫ কিলোমিটার দূরবর্তী রাউজানের কর্ণফুলী নদীর তীরে। মহানগরী থেকে রাউজান পর্যন্ত যাওয়ার পথে পুলিশের একাধিক চেকপোস্ট রয়েছে। এসব চেকপোস্ট পার হয়ে ‘সন্ত্রাসীরা’ নুরুকে কিভাবে সেখানে নিয়ে হত্যা করলো তা নিয়েও নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। নুরুর পরিবারের দাবি পুলিশকেই পুরো বিষয়টি পরিষ্কার করতে হবে।
এ প্রসঙ্গে রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কেফায়েত উল্লাহর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি গতকাল রাতে ইনকিলাবকে বলেন, আমি আবারও বলছি পুলিশ নুরুকে হত্যা করেনি। তাহলে খুনী কারা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমরা এখনও স্পষ্ট কোন ধারণা পাইনি। তিনি দাবি করেন, নুরু হত্যার সাথে জড়িত খুনীদের চিহ্নিত করতে পুলিশ তৎপর রয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ