পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
কূটনৈতিক সংবাদদাতা : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আসন্ন ভারত সফরকে সামনে রেখে আগামী মঙ্গলবার একটি অগ্রবর্তী দল দিল্লি যাচ্ছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এ প্রতিনিধিদলটি প্রধানমন্ত্রীর কর্মসূচির প্রটোকলের বিষয়টি পর্যালোচনা এবং প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিয়ে ভারতীয় কর্মকর্তাদের সাথে আলোচনা করবে। এছাড়া স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স (এসএসএফ) ভারতের সাথে সমন্বয়ের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তার দিকটি দেখভাল করছে।
কর্মসূচি অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী বিশেষ বিমান ৭ এপ্রিল দিল্লি পৌঁছবে। ভারতের প্রেসিডেন্ট প্রণব মুখার্জির আমন্ত্রণে শেখ হাসিনা ‘রাষ্ট্রপতি ভবনেই’ অবস্থান করবেন। পরদিন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সাথে শেখ হাসিনার দ্বিপক্ষীয় বৈঠক হবে। এই বৈঠকের পর দুই দেশের মধ্যে অন্তত ২০টি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই হবে। ৯ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী আজমীর শরীফ জিয়ারত করবেন। রাতে তার সম্মানে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর দেয়া রাষ্ট্রীয় নৈশভোজে অংশ নেবেন তিনি। ১০ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী দেশে ফিরবেন।
দিল্লি সফরকালে কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধী প্রধানমন্ত্রীর সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে পারেন। এছাড়া বাংলাদেশ সংলগ্ন পাঁচটি রাজ্য পশ্চিমবঙ্গ, আসাম, ত্রিপুরা, মেঘালয় ও মিজোরামের মুখ্যমন্ত্রীরা রাতে রাষ্ট্রপতি ভবনে প্রধানমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাৎ করতে পারেন। সিকিমের মুখ্যমন্ত্রীকেও এ সময় আমন্ত্রণ জানানো হতে পারে। বাঙালি প্রেসিডেন্ট প্রণব মুখার্জির উপস্থিতিতে শেখ হাসিনা ও মমতা ব্যানার্জির মধ্যে একটি বৈঠকের পরিকল্পনা করছেন নরেন্দ্র মোদি। তিস্তা চুক্তি নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের সাথে সমঝোতায় পৌঁছানোর চেষ্টা করাই এই পরিকল্পনার লক্ষ্য। তিস্তার বিষয়টি মাথায় রেখেই সিকিমের মুখ্যমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। সিকিম হয়ে পশ্চিমবঙ্গের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে তিস্তা।
তবে মমতা ব্যানার্জি শেখ হাসিনার সাথে সাক্ষাৎ করবেন কি না- তা এখনো নিশ্চিত নয়। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী ইতোমধ্যে জানিয়ে দিয়েছেন, শেখ হাসিনার সাথে তার সম্পর্ক ভালো। তবে রাজ্যের স্বার্থ রক্ষা করে বাংলাদেশের জন্য যতটুকু করা যায়, তিনি তাই করবেন।
বাংলাদেশের সাথে সীমান্তসংলগ্ন রাজ্যগুলোর সম্পর্ক বিবেচনা করে ২০১১ সালে ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং ঢাকা সফরকালে পাঁচ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে সাথে নিয়ে আসতে চেয়েছিলেন। তবে সে সময় মমতা ব্যানার্জি ছাড়া অন্য চার মুখ্যমন্ত্রী ঢাকা এসেছিলেন। মমতা তিস্তা চুক্তির ব্যাপারে আপত্তি জানিয়ে শেষ মুহূর্তে ঢাকা আসা থেকে বিরত থাকেন। বাংলাদেশ ও ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের অনেক চেষ্টার পরও গত ছয় বছরে এ ব্যাপারে অবস্থান পরিবর্তন করেনি দ্বিতীয়বারের মতো নির্বাচিত পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।