পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
মো.ইউসুফ সারোয়ার, আখাউড়া থেকে : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে আগরতলায় গেছে ভারতীয় লৌহ জাতীয় পণ্য। গতকাল শনিবার বেলা ১১টার দিকে ১২৫ মে.টন লৌহজাত পণ্য ৬টি ট্রাকে করে আগরতলা যায়। এর আগে গত বুধবার বিকেলে এমভি নিউটেক জাহাজটি ৮শ’ ৩৩ দশমিক ৬৪ মেট্রিক টন লৌহ জাতীয় পণ্য নিয়ে আশুগঞ্জ বন্দরে এসে নোঙর করে। এর পর শনিবার সকালে ১২৫ মেট্রিক টন লৌহ জাতীয় পণ্য জাহাজ থেকে খালাস করে ৬টি ট্রাকের করে সড়ক পথে ওই সকাল ১০টায় আখাউড়া স্থলবন্দরে পৌঁছে। স্থলবন্দর ও কামস্টমসের আনুষ্ঠানিকতা শেষে বেলা ১১টার দিকে ওই পণ্যবাহী ট্রাকগুলো ত্রিপুরার আগরতলা যায়।
জানাগেছে, ভারতের কলকাতার ডায়মন্ড হারবার বন্দর থেকে এসব লৌহ জাতীয় পণ্য ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলায় নিয়ে যাওয়ার জন্য বাংলাদেশের ৩৫০ কিলোমিটার নৌ-পথ ও ৪৫ কিলোমিটার স্থলপথ ব্যবহার করা হয়েছে। নৌ প্রটোকল ট্রান্সশিপমেন্ট চুক্তির আওয়ায় প্রতি মেট্রিক টন পণ্য থেকে বাংলাদেশ সরকার মাসুল পাবে ১শ’ ৯২টাকা ২২পয়সা করে। এসব লৌহ জাতীয় পণ্যের মধ্যে রয়েছে জিআই পাইপ, স্টিল সিটসহ অন্যান্য পণ্য। দীর্ঘদিন যাবত বাংলাদেশের আশুগঞ্জ বন্দর ব্যবহার করে স্থায়ীভাবে ট্রান্সশিপমেন্ট কার্যকরের আগ্রহ দেখিয়ে আসছিল ভারত। দীর্ঘ আলোচনার পর ভারতের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে গত বছরের জুনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সফরের সময় চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। তারই ধারাবাহিকতায় মাশুল নির্ধারণের বিষয়টি চূড়ান্ত করা হয় গত বছরের নভেম্বরে নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত সচিব পর্যায়ের বৈঠকে। ওই বৈঠকে সমঝোতার ভিত্তিতে নৌ ট্রানজিটের আওতায় মাশুল বা ফি নির্ধারণ করা হয় টনপ্রতি ১৯২ টাকা ২২ পয়সা। এর মধ্যে ১৩০ টাকা পাবে শুল্ক কর্তৃপক্ষ। সড়ক বিভাগকে প্রতি টনে ৫২ টাকা, আর ১০ টাকা পাবে বিআইডবিøউটিএ। এর আগে নৌ প্রটোকলের আওতায় কলকাতা-আশুগঞ্জ-আখাউড়া-আগরতলা পথে মাশুল ছাড়াই পরীক্ষামূলক ভাবে ভারত সরকারের বিশেষ অনুরোধে মাশুলবিহীন বাংলাদেশ সরকার মানবিক কারণে অনুমতি দেয়ায় লৌহ, ২০ হাজার মেট্রিকটন চাল ও ত্রিপুরার পালাটানা বিদ্যুৎকেন্দ্রের ভারী যন্ত্রাংশ নিয়ে যায় ভারতে ত্রিপুরা রাজ্যে।
গত বছরের ১৬ জুন নৌ-পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান দু-দেশের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে মাশুল দিয়ে আনুষ্ঠানিক ট্রান্সশিপমেন্ট কার্যক্রম উদ্বোধন করে। আগে বিনা মাশুলে পণ্য গেলেও ভারতের সাথে ট্রান্সশিপমেন্ট চুক্তির কারণে এখন এসব পণ্য থেকে টন প্রতি ১৯২ টাকা ২২ পয়সা পাওয়া যাবে। বাংলাদেশের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান আনবিস ডেভেলপমেন্ট লিমিটেডের স্থানীয় ঠিকাদার বিসিসির পরিচালক জিয়া উদ্দিন খন্দকার জানান, ভারতের কলকাতার ডায়মন্ড হারবার বন্দর থেকে এসব লৌহ জাতীয় পণ্য আগরতলায় নিয়ে যাওয়ার জন্য ইতিমধ্যে ৬টি ট্রাকে ১২৫ মেট্রিকটন লৌহ জাতীয় পণ্য আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ত্রিপুরায় গেছে।
আশুগঞ্জ নদী বন্দরের পরির্দশক মো. শাহ-আলম জানান, পণ্য পরিবহনের জন্য বিআইডবিøউটিএ প্রতি মেট্রিক টনে এলএসসি, কার্যবেক্ষণ ফি, বার্দিং চার্জ ও পাইলটেজ ফ্রি পাওয়া গেছে।
আখাউড়া স্থলবন্দরের কামস্টমসের রাজস্ব কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলাম জানান, ভারতের সাথে ট্রান্সসিপমেন্ট চুক্তির আওতায় কাস্টমসের আনুষ্ঠানিকতা শেষে বেলা ১১টায় জিআই পাইপ ভর্তি ৫টি ট্রাক ও স্টিল সিটের ১টি ট্রাক পণ্য নিয়ে আখাউড়া স্থলবন্দর হয়ে আগরতলা গেছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।