পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ছাতক উপজেলা সংবাদদাতা : ছাতকে এক সপ্তাহের ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে উপজেলার সবগুলো নদ-নদীর পানি বিপদসীমা অতিক্রম করছে। আগাম বন্যায় প্রায় ১০ হাজার হেক্টর ভূমির বোরো ফসল পানিতে তলিয়ে গেছে। ফলে সাড়ে ৪শ’ কোটি টাকার ফসল গোলায় তুলতে পারছে না উপজেলার ৮৫ হাজার কৃষক। গত ২৪ মার্চ থেকে অব্যাহত ভারী বর্ষণ ও নদ-নদীর অব্যাহত পানি বৃদ্ধির ফলে ৬০টি ছোট-বড় হাওরসহ শতাধিক বিল-ঝিলে আবাদকৃত বোরো ফসল তলিয়ে যায়। পাহাড়ি ঢল, সুরমা, ধলাই, পিয়াইন ও চেলানদীর অব্যাহত পানি বৃদ্ধি, ভারী বর্ষণ, শিলাবৃষ্টি ও ব্যাপক ঝড়-তুফানে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। এতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। কৃষকরা জানান, সোনারতাল হাওর, জল্লারহাওর, চৌকা বড়হাওর, বলই হাওর, গয়ারের হাওর, ঝাওয়া বিল, তেরাবিল, পাঁচবিলা, হাওয়াজিয়া, মজমদারি, পলবন্দ, খলাবন্দ, ধলমিশা ও লোহাজিরি, কুড়িবিল, দেওলাবিল, জিয়াপুর হাওরসহ বিভিন্ন হাওরে বোর ধানের উপর এখন ৪ফুট থেকে ৬ফুট পানি রয়েছে। ফসল এখনও কাটার উপযোগি হতে আরো ১৫/২০দিন লাগবে বলে ধারনা করা হচ্ছে। এপরিস্থিতিতে কৃষক এখন ফসল গোলায় উঠাতে না পেরে হতাশ হয়ে পড়েছেন। তাদের যেন কান্না আর থামছেনা। এখন আকাশ মেঘলা দেখলেই অজানা আতঙ্কে তাদের ভেতর কেঁপে উঠে। এই বুঝি ভারি বর্ষন, শিলাবৃষ্টি, সুরমা ও পাহাড়ি নদীগুলোর পানি বৃদ্ধি ঘটে বোর ফসলের বারোটা বাজিয়ে দেয়। এই বুঝি সুরমার পানি বৃদ্ধি ঘটে দু’ক’ল বেয়ে উপচে পড়বে। এসব অজানা আতঙ্কে বোর ফসলের ভবিষ্যত নিয়ে কৃষকরা প্রতিবছরের ন্যায় এভারেও দুশ্চিন্তায় ভোগছিলেন। এরই মধ্যে কালবৈশাখী আসার অনেক আগেই চৈত্র মাসের ১০তারিখ থেকে শুরু হয় ঝড়-তুফানও ভারীবর্ষণ। ১৩ইউনিয়নও একটি পৌরসভা নিয়ে গঠিত ছাতক উপজেলায় মোট আবাদি জমি ২২হাজার ১শ’ ১৭হেক্টর। এরমধ্যে চলতি রোপা আমন ৯হাজার ৫শ’ ২০হেক্টর, বোর ১২হাজার হেক্টর, আউশ ৩শ’হেক্টর ভূমি রয়েছে। এবারে বোর মৌসুমে প্রায় ১২হাজার হেক্টর ভূমিতে চাষাবাদ করা হয়েছে। যার উৎপাদন ৪২ হাজার মে.টন চালের মূল্য প্রায় সাড়ে ৪শ’কোটি টাকা। এতে কৃষকদের দীর্ঘদিনের লালিত স্বপ্ন অঙ্কুরেই ঝরে গেল। এভাবে সুনামগঞ্জের ২৫টি নদ-নদীর পানি ব্যাহকভাবে বৃদ্ধি ঘটেছে। জেলার প্রায় সহস্রাধিক হাওর-বিলের মোট ৩ লক্ষ ৭৯ হাজার হেক্টর জমির প্রায় সবই পানিতে তলিয়ে গেছে। ফলে জেলার প্রায় আড়াই লক্ষাধিক পরিবারের বোরো ফসল আগাম বন্যায় তলিয়ে গেছে বলে জানা গেছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।