পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
চৌদ্দগ্রাম উপজেলা সংবাদদাতা : মেয়েকে যুবলীগ নেতার নির্দেশে শ্বশুর বাড়িতে না পাঠানোর অপরাধে কুমিল্লার মনোহরগঞ্জে সহিদুল ইসলাম সহিদ নামে এক যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে মো.আবদুল বাতেন (৫০) নামে এক কৃষককে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল শনিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার বিপুলাসার ইউনিয়নের বাকরা গ্রামে ওই কৃষকের বাড়ির সামনের রাস্তায় প্রকাশ্যে এ হত্যাকাÐের ঘটনা ঘটে। ২ ছেলে ও ৪ মেয়ের জনক আবদুল বাতেন ওই গ্রামের মরহুম আবদুর রহমানের পুত্র।
এদিকে, এ ঘটনায় অভিযুক্ত সহিদুল ইসলাম একই গ্রামের মরহুম নুর উদ্দিনের ছেলে। তিনি উপজেলা যুবলীগের আহŸায়ক কমিটির সদস্য এবং বিপুলাসার ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক সদস্য সচিব ছিলেন। এছাড়া সহিদ উপজেলা আওয়ামী লীগের আহŸায়ক কমিটির সদস্য ও সউদী আরব রিয়াদ শাখা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি জাকির হোসেনের ছোট ভাই।
পুলিশ, স্থানীয় সূত্র ও হত্যাকাÐের শিকার আবদুল বাতেনের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বাকরা গ্রামের খন্দকার বাড়ির আবদুল বাতেনের মেয়ে নার্গিস আক্তারের সঙ্গে একই গ্রামের মিজি বাড়ির জয়নাল আবেদীনের পুত্র সহিদুল ইসলাম স্বপনের সামাজিকভাবে ২০১২ সালে বিয়ে হয়। স্বপন হত্যাকাÐে অভিযুক্ত যুবলীগ নেতা সহিদুল ইসলামের ভাগিনা। বিয়ের পর থেকেই শ্বশুর বাড়ির লোকজন বিভিন্ন অজুহাতে নার্গিস আক্তারের উপর অমানবিক নির্যাতন চালাতে থাকে। গত প্রায় দেড় মাস আগে টানা কয়েক দিন নার্গিসের উপর নির্যাতন চালায় স্বামীসহ শ্বশুর বাড়ির লোকেরা। এক পর্যায়ে বাধ্য হয়ে নার্গিস তাঁর পিতাকে ঘটনাটি জানালে বাতেন গিয়ে মেয়েকে নিজ বাড়িতে নিয়ে আনার চেষ্টা করেন।
হত্যাকাÐের শিকার আবদুল বাতেনের স্ত্রী মঞ্জুয়ারা বেগম কান্না আর বিলাপ করতে করতে জানান, ওই লোকদের কথায় আমার মেয়ে শ্বশুর বাড়ি না যাওয়ার কারণে আজ (গতকাল শনিবার) সকালে হঠাৎ সন্ত্রাসী সহিদ আমার স্বামীকে ফোন দিয়ে বলে বাড়ির সামনে রাস্তায় আসেন এই ব্যাপারে কথা আছে। আমিও ওনার (বাতেনের) পিছু পিছু যাই। সরল বিশ্বাসে রাস্তায় গিয়ে সন্ত্রাসী সহিদের সামনে পৌঁছা মাত্রই সে আমার স্বামীর পেটে ছুরিকাঘাত করে। এতে ওনার পেট থেকে সকল নাড়িভুঁড়ি বের হয়ে গেলে সন্ত্রাসী সহিদ পালাতে থাকে। পরে আমি চিৎকার করলে আশ-পাশের লোকজন ছুটে এসে আমার স্বামীকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এ সময় স্বামীর হত্যাকারীকে দ্রæত গ্রেপ্তার করে ফাঁসি দেওয়ার দাবি জানান তিনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।