পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ উত্থানের পেছনে অসমতা ও বিচারহীনতা রয়েছে বলে মনে করছে ইন্টার-পার্লামেন্টারি ইউনিয়ন (আইপিইউ)। শুধু সামরিক শক্তি দিয়ে এটিকে মোকাবেলা করা ঠিক হবে না, এটাকে স্থায়ীভাবে সমাধান করতে হবে বলে জানিয়েছেন সংগঠনের সভাপতি ও সেক্রেটারি জেনারেল। গতকাল শুক্রবার সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক
সম্মেলন কেন্দ্রে আইপিইউ সম্মেলন উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তারা এ কথা বলেন।
অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন আইপিইউ-এর মিডিয়া রিলেশন জিন মিলিগান। এবারের সম্মেলনের থিম বা মূল প্রতিপাদ্য হলো, ‘সমাজের বৈষম্য নিরসনের মাধ্যমে সবার মর্যাদা ও মঙ্গল সাধন’। ঢাকায় ১৩৬তম আইপিইউ সম্মেলনের প্রস্তুতি নিয়ে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
আইপিইউ সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, শুধু সামরিক শক্তি দিয়ে জঙ্গিবাদকে মোকাবিলা করা ঠিক হবে না। জঙ্গিবাদের মূল কারণগুলো কি? অর্থাৎ শুধু আমরা জঙ্গিবাদের দিকে তাকাবো না, এটা কেন হচ্ছে সেই জায়গায় আমরা দৃষ্টি দিতে চাই। সেখানে সরকারের পাশাপাশি সংসদের কী ভূমিকা থাকবে, সংসদ সদস্যদের ভূমিকা কী হবে সেটা নিয়ে আমরা আলোচনা করব শুরু হওয়া আন্তর্জাতিক এই সম্মেলনে।
আইপিইউ-এর সেক্রেটারি জেনারেল মার্টিন চুংগুং বলেন, সমাজে অসাম্য ও বিচারহীনতার কারণে সন্ত্রাসবাদ ও জঙ্গিবাদের সৃষ্টি হচ্ছে। এই অসাম্য তৈরি হয় রাজনীতি, সামাজিক ও অর্থনৈতিক দিক থেকে। আমাদের এ সম্মেলনের উদ্দেশ্য হল তা দূর করা।
সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, জঙ্গিবাদের ক্ষেত্রে সরকার যা করছে তা তো আছেই, সেই সঙ্গে সংসদ সদস্য হিসেবে আমরা কী করতে পারি আইপিইউ সম্মেলনে সেই কৌশল নিয়ে আলোচনার মাধ্যমে তা ঠিক করা হবে। কমিটিতে এ নিয়ে যে আলোচনা হবে তা পরবর্তীতে সেটা আমাদের কাউন্সিলে যাবে। এটি আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু। তবে এ জঙ্গি দমন একবার করলে হবে না এটাকে স্থায়ীভাবে সমাধান করতে হবে। সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, এ ধরনের একটি আয়োজনের মাধ্যমে বাংলাদেশ গেøাবাল পার্লামেন্টারি কমিটির সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করছে। এই এসেম্বলির মাধ্যমে বাংলাদেশকে ব্র্যান্ড করা হচ্ছে। এর মাধ্যমে আমাদের কূটনৈতিক বিষয়টি আরও জোরালো হবে। এই এসেম্বলিতে গণহত্যা নিয়ে আলোচনা হবে কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে আইপিইউ সভাপতি বলেন, এটি আমাদের এমপিদের আলোচনার উপর নির্ভর করে। আমি আশা করি এমপিরা এ বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করবেন। এটার সুযোগ আছে। তিনি বলেন, এসেম্বলিতে অংশ নিতে বিভিন্ন দেশের ৪৫ জন স্পিকার ও ৩৭ জন ডেপুটি স্পিকার, ১৩৬টি দেশের সংসদীয় ডেলিগেশন, ৪২টি সহযোগী সংস্থার প্রতিনিধি, বিভিন্ন দেশের ৬৮৭ জন আইন প্রেনেতা এবং ২০৯ জন নারী সদস্যসহ মোট ১ হাজার ৩৪৮ জন এ পর্যন্ত অংশগ্রহণের জন্য রেজিস্ট্রেশন করেছেন। সাবের চৌধুরী বলেন, এই সম্মেলন চলাকালীন সময়ে আমাদের দেশে এইচএসসি পরীক্ষা হচ্ছে। এপ্রিলের ২ ও ৪ তারিখে বাংলা পরীক্ষা হবে। এই পরীক্ষার জন্য আমাদের সম্মেলনের সময়সূচি কিছুটা পরিবর্তন করা হয়েছে। কারণ এত সংখ্যক ভিআইপি আসবে আমাদের দেশে। তারা যদি পরীক্ষার সময় চলাফেরা করেন তাহলে অনেকের হয়তো সমস্যা হতে পারে। যানজট দেখা দিতে পারে। অনেক পরীক্ষার্থী সময়মতো হয়ত পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছতে পারবে না। সেই বিষয়টি বিবেচনায় ওই দুইদিন সকাল ৮ থেকে ১০টার মধ্যে কোনো ভিআইপির মুভমেন্ট হবে না। তারপরও এই বৃহৎ সম্মেলনের কারণে নগরবাসীর কিছু সমস্যা হবে উল্লেখ করে বিশাল আয়োজনের কথা বিবেচনা করে সার্বিকভাবে সহযোগিতা করার জন্য আহŸান জানান তিনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।