Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ০৭ নভেম্বর ২০২৪, ২২ কার্তিক ১৪৩১, ০৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ছাত্রদল নেতা নুরুল নৃশংসতার শিকার : খুনিদের বিচার হবে সেদিন দূরে নয় খালেদা জিয়া

| প্রকাশের সময় : ১ এপ্রিল, ২০১৭, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া বলেছেন, সরকারের ধারাবাহিক প্রাণঘাতী নৃশংসতার  শিকার হয়েছেন ছাত্রনেতা নুরুল আলম নুরু। হারানো গণতন্ত্র পুণরুদ্ধারের আন্দোলনে বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখার জন্যই তাকে নির্মম হত্যাকাÐের শিকার হতে হয়েছে। গতকাল এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন। এদিকে নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিকালে বিক্ষোভ মিছিল করেছে ছাত্রদল। এর আগে সংগঠনের নিহত সহ-সাধারণ সম্পাদক নুরুল আলম নুরুর গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আগামী রোববার চট্টগ্রামে অর্ধদিবস হরতালে সমর্থন দিয়েছে কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ, স্বেচ্ছাসেবক দল।  
বিবৃতিতে বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সহ-সাধারণ সম্পাদক নুরুল আলম নুরুকে গ্রেফতার ও পরবর্তী সময়ে তাকে গ্রেফতারের ঘটনা অস্বীকারের পর তাকে হত্যা করে লাশ কর্ণফুলি নদীর তীরে ফেলে রাখা হয়।
এ ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, যে সরকার বাক, চিন্তা, মত প্রকাশের স্বাধীনতাসহ মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার কেড়ে নিতে পারে সেই সরকার নিজেদেরকে ক্ষমতায় টিকিয়ে রাখার স্বার্থে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে নির্বিচারে হত্যা করতে দ্বিধা করে না।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশকে গোরস্থানে পরিণত করাই যেন আওয়ামী লীগের প্রধান রাজনৈতিক লক্ষ্য। দেশের শহর থেকে প্রত্যন্ত অঞ্চল পর্যন্ত মৃত্যু বিভীষিকা ওঁৎ পেতে আছে। চারিদিকে সংশয়-ভয়জনিত আর্তনাদ শোনা যাচ্ছে। রক্তাক্ত সহিংসতা আওয়ামী দুঃশাসনের প্রধান বৈশিষ্ট্য।
তিনি বলেন, দেশবিরোধী নানা অপতৎপরতায় লিপ্ত সরকারের বিরুদ্ধে তারুণ্যের দ্রোহকে নির্মূল করার জন্যই আওয়ামী সরকার জাতীয়তাবাদী শক্তির ছাত্র ও যুবকদের হত্যা করছে।
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এখন কুৎসিত রূপ ধারণ করেছে মন্তব্য করে বিএনপি প্রধান বলেন, ক্ষমতাসীনদের নির্দেশেই নুরুল আলম নুরুকে হত্যা করা হয়েছে। এই পৈশাচিক হত্যাকাÐের সাথে যারা জড়িত তাদেরকে বর্তমান সরকার রেহাই দিলেও সেদিন আর বেশি দূরে নয়, যেদিন তাদের আইনের আওতায় এনে উপযুক্ত শাস্তি নিশ্চিত করা হবে।
নুরুর রুহের মাগফিরাত কামনা এবং তার পরিবারবর্গ ও শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান খালেদা জিয়া।
এদিকে বাদ আসর এই গায়েবানা জানাজায় বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল-নোমান, মোহাম্মদ শাহজাহান, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল, ছাত্র দলের সাধারণ সম্পাদক আকরামুল হাসান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
এরপর গায়েবানা জানাজায় বিএনপির আব্দুুস সালাম, আবুল খায়ের ভুঁইয়া, সানাউল্লাহ মিয়া, মাসুদ আহমেদ তালুকদারসহ যুব দল, স্বেচ্ছাসেবক দল, ছাত্রদলের নেতৃবৃন্দসহ কয়েকশত নেতা-কর্মী অংশ নেন। এরপর ছাত্র দলের নেতা-কর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল বের করে।
গত বৃহস্পতিবার ছাত্র দলের এই কেন্দ্রীয় নেতাকে রাত সাড়ে ১১টার দিকে বাসা থেকে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী সদস্য পরিচয়ে তুলে নিয়ে যাওয়ার পর বৃহস্পতিবার ভোরে তার লাশ রাউজান উপজেলার পাগুয়ান ইউনিয়নের কর্ণফুলী নদীর তীরে খেলাঘাট কৈইয়াপাড়া এলাকায় পাওয়া যায়।



 

Show all comments
  • Nur- Muhammad ১ এপ্রিল, ২০১৭, ১০:৩৩ পিএম says : 0
    আমরা আর কত লাশ বহন করব জানিনা। মাননীয় দেশনেত্রী, দেশের আপাময় জনগণ আপনার দিগি বড় আশা নিয়ে তাকায়ে আছে। ভাবছে, একদিন হয়ত আসবে।আপনি জনগণের সরকার গঠন করবেন। দেশে জুলুম,অত্যাচার বন্ধ হবে। রক্তপাত বন্ধ হবে। কোন মা সন্তান হারা হয়ে বুকফাটা কান্নায় আকাশ বাতাস ভারী করবে না। মায়ের বুকে নিরাপদে থাকবে সন্তান, ফুটবে হাসি, শান্তি বিরাজ করবে দেশে। জনগণ এমন চিন্তাই করে, দিনাপাত করছে। কুমিল্লাবাসী যে ভাবে আপনার দলকে জয়ের আসনে বসায়েছে, জনগণ একটু সুযোগ পেলেই আগামীতে ক্ষমতার মসনদে আপনাকেই বসাবে। জনগণের ভোটে ক্ষমতায় এসে, জুলুম অত্যাচার বন্ধ করে স্বপনের দেশ গড়ে তুলবেন বলে আমাদের বিশ্বাস।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ