Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সড়কের নামফলকে হাফেজ্জী হুজুরের নাম পুনঃস্থাপন না করলে আন্দোলনের দাবানল নেভানো যাবে না- ইসলামী ঐতিহ্য সংরক্ষণ কমিটির বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত

গ্রিক দেবী মূর্তি অপসারণ মঙ্গল শোভাযাত্রা বাতিল করতে হবে

| প্রকাশের সময় : ১ এপ্রিল, ২০১৭, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : সড়কের নামফলকে হাফেজ্জী হুজুরের নাম পুনঃস্থাপন করতে হবে। সুপ্রিম কোর্টের প্রাঙ্গণ থেকে গজবের গ্রিক দেবী মূর্তি অপসারণ করতে হবে। ইসলামের আকীদাবিরোধী মূর্তির সার্বজনীন প্রকাশ্য মঙ্গল শোভাযাত্রা বাতিল করতে হবে। অন্যথায় আল্লাহর গজব নেমে আসবে। মূর্তি মানলে, মঙ্গল শোভাযাত্রা মানলে মুসলমানিত্ব থাকবে না। হাইকোর্ট প্রাঙ্গণ থেকে মূর্তি না সরালে মুসলমানরা কেন্দ্রীয় ঈদগাহে ঈদের নামাজ আদায় করবে না। উল্লিখিত বিষয়গুলোর ব্যাপারে সরকার দ্রæত যথাযথ ব্যবস্থা না নিলে সারাদেশে আন্দোলনের দাবানল ছড়িয়ে পড়বে। আর তখন সরকারের পক্ষে সে দাবানল নিভানো সম্ভব হবে না।
উল্লিখিত দাবিতে ইসলামী ঐতিহ্য সংরক্ষণ কমিটির উদ্যোগে গতকাল বাদ জুমা বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে আয়োজিত পূর্বঘোষিত  বিক্ষোভ মিছিল পূর্ব সমাবেশে জাতীয় শীর্ষ নেতৃবৃন্দ এসব কথা বলেন। সমাবেশ শেষে বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেট থেকে বিশাল বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে পল্টন ঘুরে হাউজ বিল্ডিং এর সামনে এসে মুনাজাতের মাধ্যমে শেষ হয়।
ইসলামী ঐতিহ্য সংরক্ষণ কমিটির আহবায়ক, আমীরে শরীয়ত মাওলানা শাহ আতাউল্লাহ ইবনে হাফেজ্জী হুজুরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জমিয়তে উলামায়ে ইসলামে নির্বাহী সভাপতি মুফতি মুহাম্মাদ ওয়াক্কাস, হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির ও ঢাকা মহানগর সভাপতি মাওলানা নূর হুসাইন কাসেমী, ইসলামী ঐক্য আন্দোলনের আমির ড. মাওলানা মুহাম্মাদ ঈশা শাহেদী, ঐতিহ্য সংরক্ষণ কমিটির সদস্য সচিব মুফতি মাহফুজুল হক, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের মহাসচিব ও ঐতিহ্য সংরক্ষণ কমিটির সমন্বয়ক মাওলানা হাবিবুল্লাহ মিয়াজী, জামিয়া মুহাম্মাদিয়ার প্রিন্সিপাল মাওলানা আবুল কালাম, ইসলামী ঐক্য জোটের ভাইস চেয়ারম্যান ও খেলাফতে ইসলামির আমির মাওলানা আবুল হাসনাত আমিনী, খেলাফত মজলিসের যুগ্ম মহাসচিব শেখ গোলাম আসগর, মুফতি মাওলানা মামুনুল হক, মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী, মাওলানা জালালউদ্দিন আহমাদ, মাওলানা ফজলুুল করিম কাসেমী,  মুফতি সাখাওয়াত হুসাইন, মাওলানা সানাউল্লাহ, মুফতি ফখরুল ইসলাম, মাওলানা সুলতান মুহিউদ্দিন প্রমুখ।
সমাবেশে বক্তাগণ বলেন, সর্বজন শ্রদ্ধেয় বুজুর্গ হযরত হাফেজ্জী হুজুর রহ. এর নির্দেশে আলেম উলামাসহ বহু মানুষ মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন। কিন্তু ৪৫ বছর পর আজ তাঁর নাম স্বাধীনতাবিরোধীদের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে হাইকোর্টে রিট করে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ও স্বাধীনতা ঘোষণার অবমাননা করেছে শাহরিয়ার কবির ও মুনতাসীর মামুন। তারা অবিলম্বে এ তালিকা থেকে হযরত হাফেজ্জী হুজুর রহ. ও মুফতি আমীমুল ইহসান রহ. এর নাম প্রত্যাহার করার আহবান জানান। অন্যথায় লাখ লাখ আলেম-ওলামা ও তাওহিদী জনতার আন্দোলনের দাবানল সারা দেশে ছড়িয়ে দেয়া হবে এবং হাফেজ্জী হুজুর ও মুফতি আমীমুল ইহসানসহ সকল উলামায়ে কেরাম এবং ইসলামের বিরুদ্ধে সকল ষড়যন্ত্র প্রতিহত করা হবে।
সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে শাহ আতাউল্লাহ বলেন, হযরত হাফেজ্জী হুজুর ও মুফতি আমীমুল ইহসান দেশের সর্বজন শ্রদ্ধেয়। হাফেজ্জী হুজুরের উসিলায় এদেশে ইসলাম প্রসারিত হয়েছে। এজন্যই নাস্তিকরা চক্রান্তে নেমেছে। বিষয়টি দ্রæত সমাধা করা না হলে সারাদেশে প্রজ্জলিত আগুন নিভানো যাবে না। মূর্তি সরাতেই হবে। অন্যথায় আল্লাহর গজব আসবে।
মুফতি ওয়াক্কাস বলেন, মূর্তি স্থাপন ও বুজুর্গের নাম সরিয়ে দেওয়ার চক্রান্ত একই সূত্রে গাঁথা। এই চক্রান্ত সফল হতে দেওয়া হবে না।
নূর হোসাইন কাসেমী বলেন, দুই বুজুর্গকে অসম্মানিত এবং মূর্তি স্থাপন করায় আল্লাহ যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন। আল্লাহর যুদ্ধের সাথে প্রতিটি মুসলমানকে যুদ্ধে নামতে হবে।
হাবিবুল্লাহ মিয়াজি বলেন, আল্লাহর ওলী হাফেজ্জী হুজুরের বিরুদ্ধে চক্রান্ত আল্লাহর বিরুদ্ধে চক্রান্ত। শাহরিয়ার কবির ও মুনতাসীর মামুনকে গ্রেফতার করে কঠিন শাস্তি দিতে হবে।
মাওলানা মাহফুজুল হক বলেন, আল্লাহর গজব থেকে দেশ ও জাতিকে রক্ষা করতে হলে হাফেজ্জী হুজুরের মর্যাদাকে বুলন্দ করতে হবে।
মাওলানা ঈসা শাহেদী বলেন, দুই বুজুর্গের বিরুদ্ধাচরণকারীরা ও মূর্তি স্থাপনকারীরা জাতিসত্তা ও স্বাধীনতার শত্রæ। গ্রিক দেবী মূর্তি গজবের প্রতীক। একে সরাতেই হবে।
মাওলানা আবুল কালাম বলেন, হাফেজ্জী হুজুরের বিরুদ্ধে চক্রান্তকারী মুনতাসীর মামুন ও শাহরিয়ার কবীর স্বাধীনতার শত্রæ। এদের বিচার করতে হবে।
১৫ এপ্রিল মজলিসের জাতীয় সমাবেশ
স্টাফ রিপোর্টার  : সুপ্রিম কোর্টের সামনে থেকে মূর্তি অপসারণ এবং সন্ত্রাস জঙ্গিবাদ নির্মূলের দাবিতে আগামী ১৫ এপ্রিল গুলিস্তানস্থ কাজী বশির মিলনায়তনে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের জাতীয় সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। বৈঠক সমাবেশ বাস্তবায়ন কমিটির এক বৈঠক গতকাল বাদ মাগরিব দলীয় কার্যালয়ে মহাসচিব মাওলানা মাহফুজুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশ সফলের জন্য ব্যাপক পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়। সভাপতির বক্তব্যে মাওলানা মাহফুজুল হক বলেন, আমরা সুপ্রিম কোর্টের সামনে থেকে মূর্তি অপসারণের দাবিতে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করে যাচ্ছি। এ আন্দোলনে সরকার কর্ণপাত করছে না। তিনি সরকারকে হুঁশিয়ার করে বলেন, আগামী ১৫ এপ্রিলের পূর্বে মূর্তি অপসারণ না করে তাহলে জাতীয় সমাবেশ থেকে কঠোর কর্মসূচি প্রদান করা হবে। সভায় উপস্থিত ছিলেন যুগ্ম-মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দীন আহমদ, মাওলানা আতাউল্লাহ আমীন, অফিস ও বায়তুলমাল সম্পাদক মাওলানা আজিজুর রহমান হেলাল, প্রশিক্ষণ সম্পাদক মাওলানা এনামুল হক নূর, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মাওলানা মুহসিনুল হাসান, সহ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মাওলানা হারুনুর রশীদ ভূইয়া, নির্বাহী সদস্য হাফেজ শহীদুর রহমান, ছাত্র মজলিসের কেন্দ্রীয় সভাপতি মুহাম্মদ আব্দুর রহীম সাঈদ প্রমুখ।



 

Show all comments
  • Al Miraj ১ এপ্রিল, ২০১৭, ১১:৩৩ এএম says : 8
    গ্রিক মূর্তি বা ভাসকর্য তো নতুন করে বানানো বা বসানো হয়নি. এতদিন কোথায় ছিল হেফাযত!! তাদের উদেশ্যই বা কি?!!!
    Total Reply(2) Reply
    • ১ এপ্রিল, ২০১৭, ৬:১২ পিএম says : 4
      You are crazy guy...u are not
    • শরিফ ১ এপ্রিল, ২০১৭, ৭:৩৯ পিএম says : 4
      এই মূর্তি নতুন করে বসানো হয়েছে। আপনি হয়তো জানেন না জনাব।
  • Mohammad Ashiqur Rahman ১ এপ্রিল, ২০১৭, ১১:৩৪ এএম says : 0
    নাম থাকলে কি সমস্যা হত?
    Total Reply(0) Reply
  • Nur- Muhammad ১ এপ্রিল, ২০১৭, ৭:৫১ পিএম says : 0
    ধন্যবাদ জনাব আল মিরাজ, আমার ও প্রশ্ন কোথায় ছিল তারা? তাদের দোষ দিয়ে ভাল নাই মিরাজ সাহেব। গণতন্রহীন বা ভোটারবিহীন সরকারের ভয় ও রক্তপাত এরাতে তারা সহ সবায় ই দূরে সরে রয়েছে। দেশের সর্বচ্চ বিচারালয় সব ধর্ম কর্মের জনগণের শেষ আশ্রয় স্হল। এটা পবিত্র থাকাটা ই কাম্য। ইহা ছাড়া জাতীয় ঈদগাহ হিসাবে আমরা এখানে নামাজ পড়তে যাই। মূর্তি সামনে রেখে, নামাজ বৈধ না বিধায়, এই মূর্তী সরানো, জনদাবীতে পরিনত হয়েছে। তাই ধর্ম প্রাণ মুসলমানদের দাবীর প্রতি সন্মান দেখায়ে সরকার মূর্তি দ্রুত অপসারন করবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।
    Total Reply(0) Reply
  • ১ এপ্রিল, ২০১৭, ৯:২৮ পিএম says : 0
    যারা মুর্তি প্রেমিক তারাই মুর্তির পক্ষে কথা বলে।কোন মুসলমান মুর্তির পক্ষে কথা বলতে পারে না।
    Total Reply(0) Reply
  • MD.Hafizur Rahaman ৩ এপ্রিল, ২০১৭, ৪:৩৯ পিএম says : 0
    Islame murti sompurno nishiddho .ata kono abostayei mene neowa jai na
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ