পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
![img_img-1719821457](https://old.dailyinqilab.com/resources/images/cache/169x169x3_1678437663_IMG-20230310-WA0005.jpg)
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
কূটনৈতিক সংবাদদাতা : তিনদিনের সফরে ঢাকায় পৌঁছেছেন ভারতের সেনাপ্রধান জেনারেল বিপিন রাওয়াত। গতকাল শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বিমানবাহিনীর বঙ্গবন্ধু ঘাঁটিতে তার বিশেষ বিমান অবতরণ করে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর লজিস্টিকস এরিয়া কমান্ডার মেজর জেনারেল আতাউল হাকিম সারওয়ার হাসান এ সময় ভারতীয় সেনাপ্রধান, তার স্ত্রী মাধুলিকা রাওয়াত এবং চার সদস্যের একটি প্রতিনিধিদলকে অভ্যর্থনা জানান।
প্রসঙ্গত, জেনারেল বিপিন রাওয়াত বাংলাদেশের সেনাপ্রধান জেনারেল আবু বেলাল মোহাম্মদ শফিউল হকের আমন্ত্রণে এসেছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আসন্ন ভারত সফরে দুই দেশের মধ্যে প্রতিরক্ষা সহযোগিতা চুক্তি সই নিয়ে আলোচনার মধ্যেই জেনারেল রাওয়াতের এই সফর। ভারতীয় হাইকমিশন এর আগে জানিয়েছে, দুই দেশের সশস্ত্র বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের মধ্যে চলমান সফর বিনিময়ের অংশ হিসেবে ভারতীয় সেনাপ্রধানের এই কর্মসূচি।
আইএসপিআর জানিয়েছে সফরকালে ভারতীয় সেনাপ্রধান প্রেসিডেন্ট, প্রধানমন্ত্রী, তিন বাহিনীর প্রধান ও সশস্ত্র বাহিনীর প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসারের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন। এছাড়াও তিনি ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের একটি যুদ্ধক্ষেত্রসহ কয়েকটি সামরিক স্থাপনা পরিদর্শন করবেন। ২ এপ্রিল ভারতীয় এ প্রতিনিধি দলটি ঢাকা ত্যাগ করবেন।
জানা গেছে, শনিবার সকাল ৭টা থেকে ৯টা পর্যন্ত সেনানিবাসে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে তিনি অংশ নেবেন। এরপর যাবেন বগুড়ায়। এছাড়া বিকেলে প্রেসিডেন্টর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। ঊর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে ভারতীয় সেনাপ্রধানের নেতৃত্বে আসা প্রতিনিধিদল মতবিনিময় করবেন। ঢাকার মিরপুরের ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজের শিক্ষার্থী কর্মকর্তাদের উদ্দেশে ভাষণও দেবেন ভারতীয় সেনাপ্রধান।
গত ১ জানুয়ারি সেনাপ্রধানের দায়িত্ব নেয়ার পর জেনারেল রাওয়াত ‘প্রতিবেশী দেশ হিসেবে সম্পর্কের গুরুত্ব বিবেচনা করেই’ তার আন্তর্জাতিক সফরের প্রথম গন্তব্য হিসেবে বাংলাদেশকে বেছে নেন বলে ভারতীয় হাইকমিশন জানায়। যদিও এর আগে জানা গিয়েছিল তিনি নেপাল হয়ে বাংলাদেশে আসবেন। তিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে মিত্র বাহিনীর হয়ে অংশ নিয়েছিলেন। তার নেতৃত্বাধীন ব্যাটালিয়ন বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলে পীরগঞ্জ, ঘোড়াঘাট, গোবিন্দগঞ্জ, শাওলকান্দি, মহাস্থান সেতু এবং বগুড়ায় যুদ্ধে অংশ নেয়। সফরের সময় ভারতীয় সেনাপ্রধান একাত্তরের ওই যুদ্ধক্ষেত্রগুলোর কয়েকটি ঘুরে দেখবেন বলে ভারতীয় হাই কমিশনের বিবৃতিতে জানানো হয়।
এদিকে দু’দেশের মধ্যে বন্ধুত্ব ও সোহার্দ্য আরও জোরদার করতে বাংলাদেশ-ভারত সেনাবাহিনীর ৩৫ সদস্যের একটি সাইকেল র্যালি বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে ভারতে গেছে। গতকাল শুক্রবার বেলা ১১টায় বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশনে পাসপোর্টের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করে দলটি ভারতে প্রবেশ করে। এর আগে গত ২২ মার্চ সকালে ভারতীয় সেনাবাহিনীর সাইকেল র্যালিটি (সাইক্লিং অ্যাডভেঞ্চার কার্যক্রম) নিয়ে আখাউড়া চেকপোস্ট দিয়ে বাংলাদেশে আসে। র্যালিতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মেজর জি এম সাজ্জাতের নেতৃত্বে ১৮ সদস্য রয়েছেন। অপরদিকে ভারতীয় সেনাবাহিনীর মেজর কমলজিৎ সিংহের নেতৃত্বে রয়েছেন ১৭ সৈনিক। ৫ এপ্রিল বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর র্যালিটি ভারত ভ্রমণ শেষে দেশে ফিরবে। সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন এ ধরনের পদক্ষেপ দু’দেশের সরকার ও সেনাবাহিনীর মধ্যে সোহার্দ্যের মনোভাব আরও জোরদার করতে ভূমিকা রাখবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।