Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

১ এপ্রিল মুসলিম গণহত্যার মর্মান্তিক ইতিহাস এপ্রিল ফুল পালন থেকে বিরত থাকুন -বিভিন্ন ইসলামী নেতৃবৃন্দ

| প্রকাশের সময় : ১ এপ্রিল, ২০১৭, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : ১ এপ্রিল ইসলামের ইতিহাসে এক কলঙ্কজনক অধ্যায় হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে। এদিনে স্পেনের রাণী ইসাবেলা মুসলমানদের ধোঁকা দিয়ে বোকা বানিয়ে হাজার হাজার মুসলমানকে নির্মমভাবে হত্যা করে। এপ্রিল ফুল পালন করা মুসলমানদের জন্য চরম কলঙ্ক ছাড়া আর কিছুই নয়। তাই এ থেকে ঈমানদার মুসলমানদের বিরত থাকতে হবে এবং কোন মুসলমানের সন্তান যেন এ দিনে ধোঁকা না দেয় সেদিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে। এপ্রিল ফুলের ধোঁকা থেকে সকলকে বিরত থাকার আহŸান জানিয়ে বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠন পৃথক পৃথক বিবৃতি দিয়েছেন। বিবৃতিদাতা সংগঠনগুলোর মধ্যে রয়েছে ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান মাওলানা আবদুল লতিফ নেজামী, জাতীয় তাফসীর পরিষদের চেয়ারম্যান মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর উত্তর সভাপতি প্রিন্সিপাল মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ ও সেক্রেটারী মোহাম্মদ মোশাররফ হোসেন, ইসলামী মুক্তিযোদ্ধা পরিষদের সদস্য সচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম, ইসলামী আইনজীবী পরিষদের জয়েন্ট সেক্রেটারী জেনারেল এ্যাডভোকেট মাওলানা মুহিবুল্যাহ, খাদেমুল ইসলাম জামায়াতের মুখপাত্র মুফতি তাসনীম আলম ও ইসলামী ঐক্য আন্দোলন নেতা ডা. সাখাওয়াত হুসাইন।
পৃথক পৃথক বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, মুসলমানদেরকে এপ্রিল ফুল পালন থেকে বিরত থাকতে হবে। তারা বলেন, ১৪৯২ সালের ‘পহেলা এপ্রিলে’ রাণী ইসাবেলা কর্তৃক মুসলমানদের চরম ধোঁকা দিয়ে বোকা বানিয়ে ঘোষণা দিয়ে বলে যদি বাঁচতে চাও কর্ডোভার জামে মসজিদে সমবেত হলে প্রাণভিক্ষা দেয়া হবে। অতঃপর এই বলে সম্মিলিত হাজার হাজার আলেম-উলামা, সাধারণ মুসলমান, নারী-শিশু, বৃদ্ধ ও নিরীহ নাগরিকগণ মসজিদে অবস্থান নিলে তাদেরকে অগ্নিসংযোগ করে পৈশাচিকভাবে হত্যা করা হয়। একইভাবে প্রতারণার মাধ্যমে জাহাজে চড়িয়ে আগুন লাগিয়ে হত্যা করা হয়। খৃষ্ট জগতে বা মুসলিমবিদ্বেষী খৃষ্টান রাজ-রাণীর এ আনন্দঘন পৈশাচিকতার ঐতিহাসিক স্মারক দিবসই হচ্ছে পাশ্চাত্য সংস্কৃতির ‘এপ্রিল ফুল’। তারা পৃথিবী থেকে নিশ্চিহ্ন করতে চেয়েছিল মুসলমানদের নাম-নিশানা। মানবতার দুশমনরা পৃথিবী মুসলমান শূন্য করতে এহেন চক্রান্ত নেই যা তারা করেনি এবং করছে না। মুসলিম হত্যার নির্মম এই এপ্রিল ফুল মুসলমান পালন করতে পারে না। এদিনে মুসলমানদের জন্য জাতীয় শোক পালন করা উচিত।
তারা বলেন, মুসলিম ইতিহাসের চরম এই দিনে মুসলমানের অনেক সন্তান ইহুদিদের চক্রান্তের শিকার হয়ে অনেক ক্ষেত্রে না বুঝে এপ্রিল ফুল পালন করে মানুষকে চরম ধোঁকা দিয়ে আসছে। এ থেকে তাদের বিরত রাখা অভিভাবক ও শিক্ষকগণের দায়িত্ব।



 

Show all comments
  • Hasan ৩০ মার্চ, ২০১৯, ৪:৪৯ পিএম says : 0
    এই ইতিহাস জানতে আমি কোন কোন বই পড়তে পারি? নির্ভরযোগ্য বইয়ের নাম জানালে বাধিত হব ৷ এর কারণ হলো, উইকিপিডিয়াতে অন্য কিছু লিখেছে ৷
    Total Reply(0) Reply
  • মোঃ খলিল উল্লাহ ১ এপ্রিল, ২০২০, ১১:২৩ এএম says : 1
    রানী ইসাবেলা ১৪৯০ সালে মারা যায়। সে জন্য এই আলোচনার ভিত্তি দুর্বল।
    Total Reply(1) Reply
    • Ashraf Ali Sohagh ২ এপ্রিল, ২০২১, ৮:৪৭ এএম says : 0
      আপনি যে ইসাবেলার কথা বলছেন সে ছিল ইসাবেল দে ভিলেনা সে ১৪৯০ সালে মারা যায়।
  • Md. Shahin Kabir ১ এপ্রিল, ২০২২, ৯:৫৪ এএম says : 0
    আসল ঘটনাটা আমাকে জানালে ভালো হতো
    Total Reply(0) Reply
  • Md. Shahin Kabir ১ এপ্রিল, ২০২২, ৯:৫৪ এএম says : 0
    আসল ঘটনাটা আমাকে জানালে ভালো হতো
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ