পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সোনারগাঁও (নারায়ণগঞ্জ) উপজেলা সংবাদদাতা : নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলার মেঘনা নদীতে যাত্রীবাহী ট্রলার ডুবির ঘটনায় নারী ও শিশুসহ এ পর্যন্ত ১০ জনের লাশ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল। এখনো আরো ৮জন যাত্রী নিখোঁজ রয়েছে বলে দাবি করেছে স্বজনরা। উপজেলার শম্ভুপুরা ইউনিয়নের চরকিশোরগঞ্জ এলাকার মেঘনা নদীতে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এ ট্রলার ডুবির ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থল থেকে বৃহস্পতিবার রাতে সাত্তার মিয়া (৪০), জোহরা বেগম (৭০) কাঞ্চন বেগম (৬৮) ও লামিয়া আক্তার(১২) এর লাশ উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত সকলের বাড়ি রাজধানীর রামপুরা এলাকায়। গতকাল শুক্রবার সকালে ঢাকা থেকে ফায়ার সার্ভিসের একটি ডুবুরি দল, নৌবাহিনীর কোস্টগার্ড, বিআইডবিøউটি, সোনারগাঁ থানা, কলাগাছিয়া ফাঁড়ির নৌ পুলিশ যৌথভাবে উদ্ধার অভিযান শুরু করলে আরো ৫ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়। এরা হলেন ঢাকার উত্তর দয়ানগর ভাটারার আব্দুর রহিমের স্ত্রী রুবিনা আক্তার (৩০), নারায়ণগঞ্জের আড়াই হাজার উপজেলার নয়াকাউন গ্রামের সফিক মিয়ার স্ত্রী সাফিয়া বেগম (৪৫), ঢাকা বসুন্ধরা নর্দা এলাকার সাইদুর রহমানের স্ত্রী রানু আক্তার (৩৫), একই এলাকার শহর আলীর স্ত্রী জয়বুন্নেছা (৬০) আমিরুলের স্ত্রী শান্তা আক্তার ও মানিকগঞ্জ জেলার ঘিয়র থানার বানিয়াজুড়ি গ্রামের হালিম ভান্ডারীর স্ত্রী বানু বেগম।
নারায়ণগঞ্জের বন্দর নৌ-ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই শাহআলম জানান, রাজধানীর রামপুরা থেকে শতাধিক যাত্রী নিয়ে ইঞ্জিনচালিত ট্রলার বৃহস্পতিবার চাঁদপুরের মতলব উপজেলার বেলতলীর সোলেমান শাহ ওরফে লেংটার মেলায় যাচ্ছিল। সন্ধ্যা ৬টার দিকে সোনারগাঁয়ের চর কিশোরগঞ্জ এলাকার মেঘনা নদীর মোহনায় প্রচÐ ঢেউয়ে অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই ট্রলারটি ডুবে যায়। এসময় অধিকাংশ যাত্রী সাঁতরে তীরে উঠতে পারলেও ১৮জন যাত্রী নিয়ে ট্রলারটি মাঝ নদীতে তলিয়ে যায়। পরে তাৎক্ষণিক উদ্ধার অভিযানে চার যাত্রীর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে শুক্রবার সকালে আরো ৬ নারীর লাশসহ একটি মৃত গবাদিপশু উদ্ধার করা হয়। শুক্রবার বিকেলে সোনারগাঁ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শাহীনুর ইসলাম, নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (খ অঞ্চল) সাজেদুর রহমান ও সোনারগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহ মো. মঞ্জুর কাদের ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে উদ্ধারকৃত লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করেন।
ঢাকা ফায়ার সার্ভিসের ডিএডি মামুন জানান, প্রবল স্রোতের কারণে উদ্ধার অভিযান বিলম্ব হয়েছে। শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে বিকাল পর্যন্ত আমরা আরো ৬ নারীর মৃতদেহ উদ্ধার করেছি। ইতোমধ্যে ডুবে যাওয়া ট্রলারটি সনাক্ত করে উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া বাবু, কামাল, শিল্পি, দেব, ইসমাইল ও ফারুকসহ ৮যাত্রী এখানো নিখোঁজ রয়েছে বলে জানিয়ে তাদের স্বজনরা। নিখোঁজ যাত্রীদের লাশ উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত রাখা হয়েছে।
সোনারগাঁও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শাহীনুর ইসলাম জানান, ট্রলার ডুবির ঘটনায় নিহতের প্রত্যেক পরিবারকে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নগদ ২০ হাজার টাকা করে অর্থ সাহায্য প্রদান করা হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।