Inqilab Logo

শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

চিঠিপত্র : কলেজ জাতীয়করণের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে বিলম্ব কেন?

| প্রকাশের সময় : ১ এপ্রিল, ২০১৭, ১২:০০ এএম

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিক্ষার মানোন্নয়নের লক্ষ্যে জুন ২০১৬ এবং তৎপরবর্তী সময়ে ২৮৬টি কলেজ জাতীয়করণের জন্য সদয় সম্মতি প্রদান করে দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য নির্দেশ প্রদান করেন। শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক সংশ্লিষ্ট কলেজসমূহের পরিদর্শন সম্পন্ন হওয়ার বয়সও বছর ছুঁই ছুঁই করছে। কিন্তু অর্থ মন্ত্রণালয় সম্মতি বাস্তবায়নে বোধকরি নড়েচড়ে বসছে না। অর্থ মন্ত্রণালয়ের ৩ কিস্তিতে জাতীয়করণের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের কথাও শোনা যাচ্ছে। এক্ষেত্রে কিস্তির ভিত্তিও অজানা। কিস্তি কি কলেজসমূহের জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে হবে নাকি মহল বিশেষের চাপের মুখে মনগড়া হবে তাও রহস্যাবৃত। দফায় দফায় জাতীয়করণ করা হলে তা হবে আত্মঘাতী। কেননা জাতীয়করণের জন্য তালিকাভুক্ত কলেজসমূহের ওপর নিয়োগ নিষেধাজ্ঞাসহ অর্থ ব্যয়ে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে। শূন্যপদ পূরণের সুযোগ নেই। এ কারণে শিক্ষা ও দাপ্তরিক কার্যক্রম ভেঙে পড়ার উপক্রম হচ্ছে। আবার না সরকারি না বেসরকারি অবস্থানে থেকে শিক্ষক-কর্মচারীদের মনোবলও ভেঙে পড়ছে। জাতীয়করণের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে দিন যত গড়াবে জটিলতা তত বাড়বে। তাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর জাতীয়করণের সিদ্ধান্ত দ্রুত বাস্তবায়নে মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী এবং অর্থমন্ত্রীর সহানুভূতি কামনা করছি এবং অবস্থা বিচারে কথিত কিস্তি প্রথা বাতিলের জন্যও বিনীত অনুরোধ করছি।
মাহবুবুল হক ইকবাল
দক্ষিণ আলেকান্দা, বরিশাল

পশুপালন অনুষদ খোলা হোক
দেশের ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার খাদ্যের চাহিদা পূরণের জন্যে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে এদেশের কৃষিবিদরা। খাদ্য তালিকার প্রাণিজ আমিষ একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। আর এই সেক্টরের উন্নয়নের জন্য পশুপালনের গ্র্যাজুয়েটরা নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছে কিন্তু দুঃকের বিষয়, দেশে পশুপালন গ্র্যাজুয়েট চাহিদা অনুযায়ী তৈরি না হওয়ায় প্রাণিজ আমিষের চাহিদা মিটছে না। তাই দেশের ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার প্রাণিজ আমিষের চাহিদা মেটানোর জন্য আরো অধিকসংখ্যক পশুপালন গ্র্যাজুয়েটের প্রয়োজন। দেশের দুইটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পশুপালনের গ্র্যাজুয়েট বের হয়। আর বিশ্ববিদ্যালয় দুটি হলো বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এবং পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। দেশের মানুষের প্রাণিজ আমিষের (দুধ, ডিম, মাংস ইত্যাদি) চাহিদা পূরণের জন্যে প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে পশুপালন অনুষদ খোলা দরকার। আর এই বিষয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
আশিকুর রহমান
পশুপালন অনুষদ, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহ।

মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় বৃত্তি বৃদ্ধি আবশ্যক
মেধাবী শিক্ষার্থীদের উৎসাহিত করার জন্য বাংলাদেশ সরকার ও প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষা, জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষা,  মাধ্যমিক পরীক্ষা এবং উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে বৃত্তি প্রদান করে চলছে। বর্তমানে পরীক্ষার ফলাফল ও থানাপ্রতি শিক্ষার্থীর সংখ্যার ভিত্তিতে বৃত্তি প্রাপ্তব্য শিক্ষার্থী বাছাই করা হয়ে থাকে। এতে করে দেশের সকল এলাকার মেধাবী শিক্ষার্থীরা উপকৃত হচ্ছে।
প্রতিজন মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ মেধাবী পুলের শিক্ষার্থী মাসে ৬০০ টাকা এবং সাধারণ মেধাবী শিক্ষার্থী মাসে ৩৫০ টাকা হারে বৃত্তি পাচ্ছে। উচ্চ মাধ্যমিক পাঠের দুই বছর এ বৃত্তি তারা পেয়ে থাকে। এ দু’বছরের প্রতি বছর তারা শিক্ষা উপকরণ ক্রয়ের জন্য অতিরিক্ত ৩০০ টাকা হারে বৃত্তি পায়। বর্তমানে দ্রব্যসামগ্রীর মূল্যস্তর বিবেচনায় বৃত্তির এ পরিমাণ অর্থ অপ্রতুল। বৃত্তি প্রদান অর্থবহ করার জন্য তা বৃদ্ধি করা প্রয়োজন। মেধা পুলের একজন শিক্ষার্থীকে মাসে অন্তত ১,০০০ টাকা এবং সাধারণ মেধা তালিকায় একজন শিক্ষার্থীকে মাসে অন্তত ৮০০ টাকা হারে বৃত্তি প্রদান করা উচিত। তাছাড়া বাৎসরিক শিক্ষা উপকরণ ক্রয়ের জন্য অতিরিক্ত, ১,০০০ টাকা প্রদান করা যেতে পারে।
প্রসঙ্গত, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা অনেক বেড়েছে। সে অনুসারে বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যা বৃদ্ধি করা হয়নি। বৃত্তির সংখ্যাও বাড়ানো প্রয়োজন। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
মো. আশরাফ হোসেন
৮/এ, রমনা, ঢাকা-১০০০



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন