পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রাবি সংবাদদাতা : রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) দু’টি কিডনি নষ্ট হয়ে চিকিৎসাধীন এক শিক্ষার্থীর জন্য সাহায্য তোলার জন্য ছাত্রলীগের অনুমতি না নেয়ায় শিক্ষার্থীকে নির্যাতন ও মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। বুধবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শের-ই-বাংলা ফজলুল হক হলে এ ঘটনা ঘটে।
মারধরের শিকার রুবাইয়াত ইসলাম অভি বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান ও ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী। ঘটনায় অভিযুক্ত বহিষ্কৃৃত ছাত্রলীগ কর্মী তাওশিক তাজ বাংলা বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী। ২০১৪ সালে অপহরণে যুক্ত থাকার দায়ে ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কার হয় তাওশিক তাজ। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, পদার্থবিজ্ঞান ও ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আশিকুর রহমানের দু’টি কিডনি নষ্ট হয়ে রাজধানীর ইসলামিয়া সেন্ট্রাল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তার চিকিৎসার জন্য বুধবার সন্ধ্যা থেকে শের-ই-বাংলা হলে মানবিক সাহায্যের আবেদন নিয়ে হলের কক্ষে কক্ষে গিয়ে সাহায্য তুলছিল বিভাগের বিভিন্ন বর্ষের ৮/১০ জন শিক্ষার্থী। একপর্যায়ে তারা হলের তৃতীয় তলায় একটি কক্ষে গেলে, তাদের ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে ছাত্রলীগের বহিষ্কৃৃত কর্মী তাওশিক তাজ ও তার কয়েকজন অনুসারী। তারা সাহায্য তোলায় নেতৃত্ব দেয়া অভির কাছে জানতে চায়- ‘কার অনুমতিতে তারা হলে সাহায্য তুলছে? কেনো ছাত্রলীগের অনুমতি নেয়া হয় নি এবং ছাত্রলীগ কর্মী তাজকে কেনো চেনে না?’ এ সময় প্রায় ঘণ্টাব্যাপী একটি কক্ষে বসিয়ে অভির শরীরে বিভিন্ন স্থানে পেন্সিল দিয়ে খুঁচিয়ে রক্তাক্ত করা হয়। জঙ্গি বলে পুলিশে ধরিয়ে দেয়ার হুমকিও দেয় বলে অভিযোগ করেন অভি। পরে বিভাগের অন্য শিক্ষার্থীরা গিয়ে বিষয়টি মীমাংসা করে অভিকে ছাড়িয়ে আনেন।
জানতে চাইলে অভিযুক্ত ছাত্রলীগ কর্মী (বহিষ্কৃত) তাওশিক তাজ বলেন, ‘তারা হলে কার অনুমতিতে সাহায্য তুলছে, সেটা আমি জানতে চেয়েছি। ছাত্রলীগের অনুমতি নিয়েছে কিনা, এমন কোনো প্রশ্ন তাদের করা হয় নি। তাদের আমি মারধরও করিনি, ভুল বোঝাবুঝি থেকে একটু সমস্যা হয়েছিল। সেটা মীমাংসা হয়ে গেছে।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।