Inqilab Logo

সোমবার, ০১ জুলাই ২০২৪, ১৭ আষাঢ় ১৪৩১, ২৪ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

মির্জাপুরে জামায়াতের মহিলা নেত্রীসহ গ্রেফতার ২

| প্রকাশের সময় : ৩১ মার্চ, ২০১৭, ১২:০০ এএম

 মির্জাপুর (টাঙ্গাইল) উপজেলা সংবাদদাতা : টাঙ্গাইলের মির্জাপুর থানা পুলিশ জামায়াতে ইসলামীর মির্জাপুর উপজেলা শাখার রোকন মো. শহিদুর রহমান (৫০) ও উপজেলা মহিলা জামায়াতের জয়েন্ট সেক্রেটারী হুমায়রা ওরফে শিফা (৩৬)-কে গ্রেফতার করেছে। গত বুধবার রাতে উপজেলা সদরের কলেজ রোডস্থ সৈয়দ টাওয়ার থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। 

পুলিশ জানায়, উপজেলা সদরের কলেজ রোডস্থ সৈয়দ টাওয়ারের ৬ষ্ঠ তলার শিফার বাসায় শহিদুর রহমানসহ ৭/৮ জনসহ অন্তর্ঘাতকমূলক কার্যকলাপ করার জন্য বৈঠকে মিলিত হন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পেয়ে মির্জাপুর থানার পিএসআই মো. আনারুল হক, এএসআই মুরাদ হোসেনের নেতৃত্বে একদল পুলিশ সৈয়দ টাওয়ারে অভিযান চালায়। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে অন্যরা পালিয়ে গেলেও পুলিশ শহিদুর রহমান ও হুমায়রা শিফাকে গ্রেফতার করে। শিফা মির্জাপুর মহিলা কলেজের অফিস সহকারী বলে জানা গেছে।
পুলিশ এ সময় শিফার বাসায় তল্লাশি চালিয়ে মাওলানা মতিউর রহমান নিজামীর ভাষণের বই, ছাত্রশিবিরের কর্ম পদ্ধতি বই, ইবনে মাসুম রচিত মুক্তির পয়গাম, গোলাম আজমের রচিত কিশোর মনের ভাবনা জাগে ও মনটাকে কাজ দিন, ইসলামী আইনে বিচার ব্যবস্থা এবং ৩টি ধারালো চাকু, ৩টি লোহার রড, ১টি শাবল উদ্ধার করে।
মির্জাপুর থানার ভরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মাইন উদ্দিন, গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, গতকাল (বৃহস্পতিবার) বিকেলে আদালতের মাধ্যমে তাদের জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। তাছাড়া পালিয়ে যাওয়া সকল নেতাকর্মীদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
সিংগাইরে স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর ফাঁসির আদেশ
মানিকগঞ্জ জেলা সংবাদদাতা : মানিকগঞ্জের সিংগাইওে যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে নির্যাতন করে হত্যার দায়ে স্বামী লাল চানকে মৃত্যুদÐে দÐিত করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে মানিকগঞ্জ বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যালের বিচারক হাসিনা রওশন জাহান আসামির অনুপস্থিতিতে এই রায় দেন।
জানা গেছে, ২০০৩ সালে সিংগাইরের শ্যামনগর গ্রামের সালমা বেগমের সাথে একই এলাকার লালচানের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে যৌতুকের জন্য সালমাকে নির্যাতন করা হতো। ২০০৫ সালের ৪ ফেব্রæয়ারি স্বামীর বাড়িতে স্বামী লাল চান ও শ্বশুর মুন্নাফ পাল যৌতুকের জন্য সালমাকে নির্যাতনের পর গলাটিপে হত্যা করে। ওইদিনই সালমার ভাই হাশেম আলী সিংগাইর থানায় দুইজনকে অভিযুক্ত করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। তদন্ত শেষে ২০০৫ সালের ২৬ জুন সিংগাইর থানার তদন্তকারী কর্মকর্তা দুইজনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশীট দেন। মামলা চলাকালে আসামি মুন্নাফ মারা গেলে তাকে মামলা থেকে অব্যহতি দেয়া হয়। মামলায় মোট ১৮জন স্বাক্ষীর স্বাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন নারী ও শিশু দমন ট্রাইবুন্যালের বিশেষ পিপি একেএম নুরুল হুদা রুবেল এবং আসামিপক্ষে অ্যাডভোকেট হেলাল উদ্দিন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ