পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে ‘জঙ্গি প্রতিনিধি’ আখ্যায়িত করে বলেন, বাংলাদেশে জঙ্গিদের উৎখাত করতে করতে হলে খালেদা জিয়াকে রাজনীতি থেকে সম্পূর্ণ বিদায় জানাতে হবে। একই সঙ্গে জনপ্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। গতকাল সচিবালয়ে সমসাময়িক রাজনীতি প্রসঙ্গে সংবাদ সম্মেলন তথ্যমন্ত্রী বলেন, মুখে যতই গণতন্ত্রের কথা বলুক, নির্বাচনের কথা যতই বলুক, খালেদা জিয়া দুটি জিনিস প্রমাণ করেছেন। তিনি জঙ্গিদের দোসর, সঙ্গী ও প্রতিনিধি, ভয়ংকর খুনিদের সিন্ডিকেট প্রধান। একই সঙ্গে পাকিস্তানিদের নব্য দালাল।
তিনি বলেন, আর তাই জঙ্গিদের যেমন নির্মূল ও ধ্বংস করতে হবে, কেমনি জঙ্গি প্রতিনিধি খালেদা জিয়াকেও রাজনীতি থেকে সম্পূর্ণ বিদায় জানাতে হবে। তখনই কেবল বাংলাদেশে জঙ্গি উৎপাত বন্ধ হবে। দেশ, জাতি, গণতন্ত্র ও শান্তির প্রয়োজনে এর কোনো বিকল্প নেই।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার জঙ্গিদের পক্ষ নেয়াটা কি কোনো কৌশলগত অবস্থান কি না? আমি মনে করি এটা কৌশলগত অবস্থান নয়, এটা একটা আদর্শিক, নীতিগত অবস্থান।
সরকার একে একে জঙ্গিদের ঘাঁটি চিহ্নিত করে ধ্বংস করে দিচ্ছে তখনই বেগম খালেদা জিয়া জঙ্গিদের প্রতি সহমর্মিতা দেখাতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন জানিয়ে ইনু বলেন, সিলেটে জঙ্গিবিরোধী অভিযান চলাকালে তিনি বলেছেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য তদন্ত করা উচিত। গণতন্ত্রের ঘাটতি পূরণ করবে জঙ্গিবাদ।
হাসানুল হক বলেন, আমি এতে অবাক হইনি। কারণ এটি তার নতুন কোনো অবস্থান নয়। আমার প্রশ্ন হচ্ছেÑ জঙ্গিদের প্রতি খালেদা জিয়ার সহমর্মিতা কেন? বেগম জিয়া কি জঙ্গিদের নিয়ে ক্ষমতায় যেতে চান? জঙ্গি সমর্থন ছাড়া কি খালেদা জিয়া ও তার দল অসহায়?
‘আমার প্রশ্ন হচ্ছে গণতন্ত্রের ঘাটতির জন্য যদি জঙ্গিবাদের প্রকোপ বাড়ে, তবে খালেদা জিয়ার আমলে যে শায়খ আবদুর রহমান বা বাংলা ভাইয়ের মতো জঙ্গিদের উত্থান হয়েছিল তখন কি গণতন্ত্রের ঘাটতি ছিল। আসলে জঙ্গিবাদের সঙ্গে গণতন্ত্র বা ইসলামের কোনো সম্পর্ক নেই। জঙ্গিবাদ শুধু বাংলাদেশের নয়, একটি বৈশ্বিক সমস্যা।
বেগম জিয়া ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবসকে অস্বীকার করেছেনÑ মন্তব্য করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, তিনি হানাদার পাকিস্তানি-রাজাকার-আলবদর-আলশামসদেরই দোসর। গণহত্যা দিবসকে অস্বীকার করা মানে মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতাকে অস্বীকার করা। বেগম জিয়া আসলে একাত্তরের মহাযুদ্ধে পাকিস্তানিদের গণহত্যার অপরাধের দায় মোচনের প্রক্রিয়া চালাচ্ছেন। এ সময় প্রধান তথ্য কর্মকর্তা কামরুন নাহার ও তথ্য অধিদফতরের সিনিয়র উপ-প্রধান তথ্য অফিসার (প্রেস) আকতার হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।