পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ বলেছেন, ইসলামী মূল্যবোধ এই দেশে প্রতিষ্ঠা করতে না পারলে আমাদের কোনো মুক্তি নেই। ইসলামী মূল্যবোধের শাসন ছাড়া সমাজে শান্তি আসবে না। জাতীয় পার্টি (জাপা) নেতৃত্বে ‘জাতীয় ইসলামী মহাজোট’ গঠন প্রক্রিয়ার প্রথম ধাপ ‘ইসলামী মহাজোট’ ঘোষণার অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। গতকাল বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে এই জোট আত্মপ্রকাশ করে। জাতীয় ইসলামী মহাজোট সূত্রে জানা যায়, ৫টি ঘোষণাকে প্রতিপাদ্য করে নতুন ঐক্যেজোটের ঘোষণা দেয়া হয়। এগুলো হলো- এক. নতুন জোট বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষের স্বাধীনতা, ধর্মীয় অধিকার নিশ্চিত করে পরিপূর্ণ জীবনযাপনের লক্ষ্যে সবার অন্ন-বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা ও চিকিৎসা নিশ্চিত করা। দুই. সন্ত্রাস ও উগ্রবাদ ও জঙ্গিবাদ দমনে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালানো। তিন. নারী ও শিশু অধিকার বাস্তবায়ন ও নির্যাতন প্রতিরোধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ। চার. জলবায়ু ও পরিবেশ বিপর্যয় থেকে দেশরক্ষা এবং পাঁচ. আলেম সমাজের অধিকার নিশ্চিত ও ইসলামী মূল্যবোধ সমুন্নত রাখা।
সূত্রমতে, ছোট দলগুলোকে নিয়ন্ত্রণের সুবিধার্থে ইসলামী দলগুলোকে একটি জোট ও অন্য রাজনৈতিক দলগুলোকে একত্র হয়ে আরেকটি জোট গঠন করতে বলেছিল জাতীয় পার্টি। এই দুটি জোট নিয়ে ‘জাতীয় ইসলামী জোট’ করতে চাইছে দলটি। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত সাংবাদিকদের কোনো প্রশ্ন নেওয়া হয়নি। তাই অনুষ্ঠান শেষে এরশাদ বেরিয়ে যাওয়ার সময় মহাজোট নিয়ে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরা আরেকটি মহাজোট করব।’
এর আগে সংবাদ সম্মেলনে নবগঠিত জাতীয় ইসলামী মহাজোটের আহŸায়ক আবু নাসের ওয়াহেদ লিখিত বক্তব্যে বলেন, সমমনা ৩৪টি রাজনৈতিক দল বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন শক্তি হিসেবে আবির্ভূত হতে যাচ্ছে। জাতীয় ইসলামী মহাজোটের ৩৪টি দল হলো- গণ ইসলামীক পার্টি, পিপলস জাস্টিস পার্টি, জাতীয় গণতান্ত্রিক ফেডারেশন, বাংলাদেশ ইসলামীক লিবারেল পার্টি, জাতীয় শরিয়া আন্দোলন, জাতীয় গণতান্ত্রিক লীগ, বাংলাদেশ জনতা পার্টি, বাংলাদেশ ইসলামী জনকল্যাণ পার্টি, বাংলাদেশ ইউনাইটেড ইসলামীক লীগ, জমিয়তে মুসলিমিন বাংলাদেশ, ন্যাপ ভাষানী, খেলাফত সংগ্রাম পরিষদ, বাংলাদেশ মানবাধিকার পার্টি, বাংলাদেশ ইসলামী গণ আন্দোলন, জাতীয় ইসলামী আন্দোলন, জমিয়তুল ওলামা পার্টি, জাতীয় ইসলামীক মুভমেন্ট, খেলাফত আন্দোলন বাংলাদেশ, ইনসানিয়াত পার্টি বাংলাদেশ, খেলাফত বাস্তবায়ন পার্টি, ইসলামী আকিদা সংরক্ষণ পার্টি, ইসলামী মূল্যবোধ সংরক্ষণ পার্টি, ইসলামী ফ্রন্ট বাংলাদেশ, মুসলিম জনতা পার্টি, ইসলামী আকিদা সংরক্ষণ আন্দোলন, খেদমতে খালক পার্টি, ওলামা মাশায়েক সমন্বয় পরিষদ, ইউনাইটেড ইসলামী ফ্রন্ট, বাংলাদেশ ইসলামী পার্টি, ইসলামী সমাজ কল্যাণ আন্দোলন, বাংলাদেশ ইত্তেহাদুল মুসলিমিন, বাংলাদেশ খেলাফাতুল উম্মাহ, বাংলাদেশ আকিমুদ দ্বীন মজলিস ও বাংলাদেশ সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট বই পার্টি। অধিকাংশ শরীক দলের নেতা উপস্থিত ছিলেন না।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আয়োজকদের উদ্দেশে এরশাদ বলেন, ‘আপনাদের মধ্যে ঐক্য নেই। যদি ইসলামী দর্শনে বিশ্বাসী দলগুলোর মধ্যে ঐক্য থাকত, তাহলে আপনারা আজ ক্ষমতায় থাকতেন।’ তিনি বলেন, ‘আমরা কী চাই? স্বাধীনতার চেতনা, ইসলামী মূল্যবোধ এবং বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদে বিশ্বাসী সবাইকে নিয়ে একটি জোট করতে। এর নেতৃত্ব যদি আমাকে দেন, তাহলে খুশি হব। আশা করি, সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমাদের আশা পূর্ণ হবে।’
বক্তৃতায় আমেরিকাকে উদ্দেশ্য করে এরশাদ বলেন, আমাদের বলা হলো সন্ত্রাসী। সন্ত্রাসী বানালো কে? কেনো ইরাকে বোমা নিয়ে গেলেন? কেনো লিবিয়া গেলেন, কেনো সিরিয়া গেলেন? আপনারা সন্ত্রাসী বানিয়েছেন। আপনারা লিবিয়াকে ধ্বংস করেছেন। আমাকে সন্ত্রাসী বানিয়েছেন, আপনারা সন্ত্রাসী। ইসলাম সন্ত্রাস বিশ্বাস করে না। তিনি বলেন, লিবিয়া একটি সুন্দর দেশ ছিল। সেখানে নাগরিকদের সন্তানদের পড়ালেখার খরচ দেওয়া হতো। বিয়ের জন্য বিশেষ ভাতা দেওয়া হতো। আপনারা কেনো সেখানে বোমা নিয়ে গেলেন। আমাদের দেশ আমরা চালাবো, আমাদের জনগণ সিদ্ধান্ত নেবে। আপনারা কেনো গণতন্ত্র চাপিয়ে দিতে আসেন। আপনারা বিশ্ব শান্তি বিনষ্ট করছেন। বাংলাদেশ প্রসঙ্গ টেনে বলেন, যে দেশের লোকজন নদী, ফুল ভালোবাসে, কোকিলের গানে বিমোহিত হয়, সে দেশের লোক সন্ত্রাসী হতে পারে না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।