Inqilab Logo

বুধবার, ০৩ জুলাই ২০২৪, ১৯ আষাঢ় ১৪৩১, ২৬ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

রোববার জেলা-মহানগরীর শিক্ষাঙ্গনে ছাত্রদলের বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা

| প্রকাশের সময় : ৩১ মার্চ, ২০১৭, ১২:০০ এএম

ছাত্রদল নেতা নুরু হত্যার প্রতিবাদে নয়া পল্টনে তাৎক্ষণিক বিক্ষোভ
স্টাফ রিপোর্টার : সংগঠনের কেন্দ্রীয় সংসদের সহ-সাধারণ সম্পাদক নুরুল আলম নুরু হত্যার প্রতিবাদে গতকাল দুপুরে বিক্ষোভ মিছিল করেছে ছাত্রদল। বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে এই মিছিল বের করে সংগঠনটির বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা। মিছিলে সংগঠনের সভাপতিসহ নেতৃবৃন্দ অংশ নেন। এর আগে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলন থেকে আগামী রোববার দেশের সকল জেলা-মহানগর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিক্ষোভ মিছিল-সমাবেশের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে জাতীয়তাবাদী ছাত্র দলের সভাপতি রাজীব আহসান।
তিনি বলেন, আমাদের প্রিয় সহযোদ্ধা ছাত্র কেন্দ্রীয় সংসদের সহ-সাধারণ সম্পাদক ও চট্টগ্রাম উত্তরের সাবেক সিনিয়র সহ-সাধারণ সম্পাদক নুরুল আলম নুরু সরকারী বাহিনী তাকে তার বাসা থেকে তুলে নিয়ে গেছে বলে তার পরিবারের দাবি। তার পরিবার আমাদের নিশ্চিত করেছে যে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা গতকাল (বৃহস্পতিবার) রাতে রাউজান থানার সাব-ইন্সপেক্টর জাবেদের নেতৃত্বে তুলে নিয়ে গেছে। ভোর রাতে তাকে নৃসংশভাবে তার মাথায় ১০টি গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। আমরা ছাত্র দলের পক্ষ থেকে এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
এই নির্মম হত্যাকাÐের প্রতিবাদে ছাত্রদল সারাদেশে মহানগর-জেলার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিক্ষোভ মিছিল-সমাবেশ করবে। চট্টগ্রাম বিভাগের নেতৃবৃন্দ যে কর্মসূচি গ্রহণ করবে, যত কঠোর কর্মসূচি নেবে আমরা সেই কর্মসূচি বাস্তবায়ন করবো। নুরুল আলম নুরুর রুহের মাগফেরাত কামনা করেন রাজীব।
এর আগে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, জীবন্ত সতেজ তরুণ নুরুল আলম নুরুকে পৈশাচিক কায়দায় হত্যা করেছে এই দেশের রাষ্ট্রশক্তি। এখানে অন্য কোনো ঘাতক নেই। রাষ্ট্রই পরিচালনা নিয়েছেন, তারা তাকে হত্যা করেছে।
নুরুকে তার বাসা থেকে রাত সাড়ে ১১টার সময়ে যখন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তুলে নিয়ে যায়, তখন অনেকেই দেখেছেন। রাউজানের নোয়াপাড়ার থানা এসআই জাবেদের নেতৃত্বে তাকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। অথচ তার পরিবার যখন টেলিফোন করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে যোগাযোগ করে, তারা এটি বেমালুম চেপে যায়, অস্বীকার করে। এই সরকার ক্ষমতায় আসার পর দেশের বিভিন্ন জনপদে এই দৃষ্টান্তই দেখা গেছে।
তিনি বলেন, রাতে অন্ধকারে কালো গøাস ঢাকা মাইক্রোবাস এসে তুলে নিয়ে গেছে, পরে অদৃশ্য হয়ে গেছে। আমরা এক ভয়ংকর কৃষ্ণ গহŸরের মধ্যে পড়েছি। যেখানে এক ভয়ংকর মধ্যাকর্ষণ শক্তির মধ্য দিয়ে এদেশের বাক-স্বাধীনতা, গণতন্ত্র, বিরোধীদলের অধিকার, বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের বেঁচে থাকার অধিকারকে টেনে ছিঁড়ে নিয়ে চলে যাচ্ছে এক ভয়ঙ্কর দুঃশাসনের শক্তি। তারা কেউ ফিরে আসে না। তাদের লাশ পাওয়ায় বিভিন্ন জনপদে, নদীর ধারে।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির আব্দুস সালাম, খায়রু কবির খোকন, শহীদউদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, শহীদুল ইসলাম বাবুলসহ ছাত্র দলের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ