Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ক্ষমতাসীনদের সন্ত্রাস-অনিয়ম রোধে নির্বাচন কমিশন ব্যর্থ

কুসিক নির্বাচন নিয়ে বিএনপি

| প্রকাশের সময় : ৩১ মার্চ, ২০১৭, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : কুমিল্লা সিটি করপোরেশন (কুসিক) নির্বাচনে অধিকাংশ কেন্দ্রে ক্ষমতাসীনদের ‘সন্ত্রাস-অনিয়ম’ রোধে নির্বাচন কমিশন কার্যকর কোনো উদ্যোগ রাখতে ব্যর্থ হয়েছে বলে মন্তব্য করেছে বিএনপি
নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলনে ভোট শেষে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এই মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, সকাল থেকে আওয়ামী ক্যাডার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিএনপি নেতা-কর্মী ও এজেন্টদের মারদোর করে প্রায় অধিকাংশ কেন্দ্র থেকে বের করে দেয় এবং দুপুরের পর ককটেল ফাটিয়ে বেপরোয়াভাবে কেন্দ্র দখল করে জাল ভোট প্রদানে মাতোয়ারা হয়ে উঠে। রিজভী আহম্মেদের অভিযোগ, প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও তার নেতৃত্বে কমিশনারা নির্বাচনে সন্ত্রাস মোকাবিলা করতে কমিশনের যে কর্তৃত্ব রাষ্ট্রের আইন দ্বারা স্বীকৃত রয়েছে, অবস্থাদৃষ্টে সেই উদ্যোগী ভূমিকা আমরা লক্ষ্য করিনি। নিশ্চয় কমিশন তাদের দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছে। সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করতে যে ভূমিকা রাখা উচিৎ ছিলো, তা রাখতেও ব্যর্থ হয়েছে এই কমিশন।
ভোটের ফলাফল মেনে নেবেন কিনা প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নির্বাচন সংক্রান্ত আরো যেসব বক্তব্য তা আমরা পরে বলব। এখন তাৎক্ষণিক নির্বাচনে যেসব তথ্য পেয়েছি, তা জানালাম।
সংবাদ সম্মেলনে কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন কেন্দ্রের অনিয়ম, কেন্দ্র দখল, ক্ষমতাসীন দলের বহিরাগতদের কেন্দ্রে অনুপ্রবেশ করে জ্বাল ভোট দেয়ার নানা তথ্য-প্রমাণাদি ও আলোকচিত্র তুলে ধরেন রিজভী।
বহিরাগতদের অনুপ্রবেশে স্থানীয় প্রশাসনের ব্যর্থতার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, বলা হয়েছে সিটি করপোরেশনের যারা নাগরিক নন, তারা ২৮ তারিখ চলে যাবেন। আমাদের যেসব নেতৃবৃন্দ ধানের শীষের প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণা চালাতে গেছেন তারা চলে এসেছেন। তাহলে আজকে কি করে বহিরাগতরা সিটি করপোরেশন এলাকায় ঢুকতে পারলো, নির্বাচনী কেন্দ্রগুলোতে সন্ত্রাস করলো, জাল ভোট করলো। নিশ্চয় নির্বাচন কমিশন তাদের যে অর্পিত দায়িত্ব, তা পালনে ব্যর্থ হয়েছেন।
রিজভী বলেন, সন্ত্রাস নির্ভর নির্বাচন ও রাজনীতি নিশ্চিত করতে তারা (ক্ষমতাসীন) রক্তাক্ত পন্থা অবলম্বন করে জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নিচ্ছে। ভোটারদের ভয় পাইয়ে দিচ্ছে যেন, তারা ভোট দিতে না যায়।
এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পেতে হলে জনগণকে সাথে নিয়ে গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে এই সরকারের পতন ঘটিয়ে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে সকলের অংশগ্রহণমূলক সুষ্ঠু অবাধ নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে। যার দাবি আমরা বারবার করে আসছি।
অন্যথায় হাসিনা মার্কা নির্বাচন দিয়ে ভোটাররা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবে না বলে দাবি করেন রিজভী।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আব্দুুস সালাম, কেন্দ্রীয় নেতা খায়রুল কবির খোকন, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, শহীদউদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, হাবিবুল ইসলাম হাবিব, আব্দুুল আউয়াল খান, শহীদুল ইসলাম বাবুল, রাজীব আহসান, মামুনুর রশীদ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ