পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নিউইয়র্ক থেকে এনা : গত ২৮ মার্চ সন্ধ্যায় (নিউইয়র্ক সময়) জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস ২০১৭ উপলক্ষে জাতিসংঘ সদর দফতর ও জাতিসংঘে নিযুক্ত বিভিন্ন স্থায়ী মিশনে দায়িত্বরত ক‚টনীতিকদের সম্মানে মিশনের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে এক অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। অতিথিদের বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে স্বাগত জানান জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন, তার সহধর্মিণী ফাহমিদা জাবিন ও মিশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ।
বিদেশি কূটনীতিক এবং জাতিসংঘ সদর দফতরের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদের সামনে বাঙালির ইতিহাস, আবহমান ঐতিহ্য ও সূদীর্ঘ স্বাধীনতা সংগ্রামের কথা তুলে ধরে স্থায়ী প্রতিনিধি বলেন, স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস আমাদের আত্মপরিচয় অর্জনের দিন। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ বাংলাদেশের জনগণের উপর ঘটে যাওয়া ইতিহাসের সবচেয়ে বর্বরোচিত, নিষ্ঠুর ও নিকৃষ্টতম গণহত্যার স্মরণে বাংলাদেশ ২৫ মার্চকে ‘গণহত্যা দিবস’ হিসেবে ঘোষণা দিয়েছে মর্মে তিনি উপস্থিত অতিথিদের জানান।
তিনি আরো বলেন, বর্তমান সরকার স্বাধীনতার সুফল বাংলার প্রতিটি ঘরে পৌঁছে দিতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। আমাদের লক্ষ্য ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত করা এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করা।
জাতিসংঘ মহাসচিবের পক্ষে জাতিসংঘের অ্যাসিসটেন্ট সেক্রেটারি জেনারেল মিরোসলাভ জেনকা অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন। তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে দেয়া মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেজের বাণী পড়ে শোনান। অনুষ্ঠানটিতে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, রাশিয়া, ভারত, কিউবা, চীন, কুয়েত, মিশর, আলজেরিয়া, শ্রীলংকা, ইতালী, ফ্রান্স, বেলজিয়ামসহ জাতিসংঘে নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের স্থায়ী মিশনের দুইশতাধিক ক‚টনীতিক উপস্থিত ছিলেন।
পালতোলা নৌকা, নকশিকাঁথা, জামদানি, অলঙ্কারসামগ্রী, মৃৎশিল্প সামগ্রী, গরুর গাড়ি, রিকশা, বাঙালির ঐতিহ্যবাহী দেশি পোশাক পরিহিত বিভিন্ন ধরনের পুতুল, জাতির জনকের অসমাপ্ত আত্মজীবনী, মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা সংগ্রাম এবং বাঙালির আত্মপরিচয় সমৃদ্ধ বইসহ বাঙালির চিরায়ত ঐতিহ্য ও আনুষ্ঠানিকতায় মুগ্ধ হন বিদেশি ক‚টনীতিকরা। বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী খাবার দিয়ে অতিথিদের আপ্যায়ন করা হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।