Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ০৯ জুলাই ২০২৪, ২৫ আষাঢ় ১৪৩১, ০২ মুহাররম ১৪৪৬ হিজরী

যক্ষ্মা-সচেতনতা ও নাটাব

| প্রকাশের সময় : ৩০ মার্চ, ২০১৭, ১২:০০ এএম

মোহাম্মদ আবু তাহের
ভ‚মিকা
যক্ষ্মার যথাযথ চিকিৎসা ও নিশ্চিত আরোগ্যের ব্যাপারে কোনো সন্দেহ না থাকলেও যক্ষ্মা এখনও বাংলাদেশের অনেক মানুষের কাছে মরণব্যাধি হিসেবে চিহ্নিত হয়ে আছে। এর কারণ অশিক্ষা, কুসংস্কার ও সচেতনতার অভাব। প্রকৃতপক্ষে যক্ষ্মা কোন মরণব্যাধি নয়। নিয়মিত চিকিৎসায় যক্ষ্মা ভালো হয়। তবে দারিদ্র্যতা যক্ষ্মা সংক্রামণের ঝুঁকি বাড়ায়। অপুষ্টি, জনাধিক্য, অপ্রতুল বায়ু প্রবাহ ও অস্বাস্থ্যকর পয়ঃনিষ্কাষণ ব্যবস্থার ফলেযক্ষ্মাসংক্রামণের আশঙ্কা বাড়ে যা মূলত দারিদ্র্য ব্যবস্থার ফল।
যক্ষ্মা কী?
যক্ষ্মা একটি সংক্রামক রোগ, যা মাইকোব্যাকটেরিয়াম টিউবারকুলোসিস নামক অতি সূক্ষè জীবাণুর মাধ্যমে সংক্রমিত হয়। প্রধানত ফুসফুসই য²া জীবাণু দ্বারা সর্বাধিক আক্রান্ত হয়। এ রকমের যক্ষ্মাকে ফুসফুসের য²া বলে। য²া জীবাণু দেহের অন্য অংশকেও আক্রান্ত করে যক্ষ্মা রোগ তৈরি করতে পারে, তাকে ফুসফুস বহির্ভূত য²া বলে।
যক্ষ্মা থেকে বাঁচতে হলে করণীয়
বাসস্থানের পরিবেশ যথাসম্ভব খোলামেলা, আলোবাতাস সম্পন্ন হতে হবে।
জনাকীর্ণ বাসস্থান যথাসম্ভব পরিহার করতে হবে।
যক্ষ্মা আক্রান্ত রোগীকে সব সময় নাক, মুখ ঢেকে চলাফেরা করতে হবে।
যক্ষ্মা রোগীর সঙ্গে আলাপচারিতার সময় একটি নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রাখতে হবে।
জীবাণুমুক্ত না হওয়া পর্যন্ত রোগীকে অন্য সবার থেকে একটু আলাদা রাখতে হবে।
যেখানে সেখানে কফ ফেলা পরিহার করতে হবে।
যক্ষ্মার লক্ষণ
মূলত কাশি যক্ষ্মা রোগের অন্যতম প্রধান লক্ষণ বা উপসর্গ। অনেক সময় কাশির সঙ্গে রক্তও যেতে পারে। যক্ষ্মা রোগীর ক্ষেত্রে রক্তের রঙ উজ্জ্বল লাল হয়ে থাকে। কাশি ছাড়া য²া রোগীর অন্যান্য উপসর্গ- যেমন জ্বর থাকা, খাবারে অনীহা, দ্রæত ওজন হ্রাস, বিষাদময়তা ইত্যাদি। য²া রোগীর সাধারণত সন্ধ্যায় বা রাতে জ্বর আসে, জ্বর ছাড়ার সময় প্রচুর ঘাম হয় এবং সকালের দিকে জ্বর থাকে না।
যক্ষ্মা কিভাবে ছড়ায়?
যক্ষ্মায় আক্রান্ত রোগী বিনা চিকিৎসায় থাকলে হাঁচি ও কাশির মাধ্যমে জীবাণু বাতাসে ছড়িয়ে পড়ে এবং শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে যে কোনো মানুষ য²ায় আক্রান্ত হতে পারে।
যক্ষ্মা হলে করণীয়
যক্ষ্মা বা টিবি হলে ঘাবরে যাওয়ার কোনো কারণ নেই। ডাক্তার ও রোগীর সমন্বিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে যক্ষ্মা বা টিবি রোগ নিরাময় করা সম্ভব। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী রোগীকে ধৈর্য সহকারে অতি সচেতনতার মাধ্যমে নিয়মিত ও ক্রমাগত এ রোগের জন্য চিকিৎসা নিতে হবে। অনিয়মিত ওষুধ সেবন বা নির্ধারিত সময়ের আগে ওষুধ বন্ধ করলে যক্ষ্মা নিরাময় হবে না এবং অনেক সময় ব্যয়বহুল এম ডি আর যক্ষ্মা হতে পারে। এম ডি আর যক্ষ্মা খুবই ভয়াবহ যা সহজে নিরাময় হয় না। যক্ষ্মা রোগ ধরা পড়লে মানসম্মত ওষুধ নিয়মিত সেবন করলে (ছয় মাস) এ রোগ সম্পূর্ণ ভালো হয়ে যায়। আর এ জন্যই যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচিতে ডটস্ পদ্ধতি চালু হয়েছে।
ডটস্ (উঙঞঝ) কী? উরৎবপঃষু ঙনংবৎাবফ ঞৎবধঃসবহঃ ঝযড়ৎঃ ঈড়ঁৎংব.
বাংলাদেশে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সমন্বিত উদ্যোগ ও প্রচেষ্টায় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি আশাব্যঞ্জক হলেও এখনো এম ডি আর ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়ে গেছে বলে বিশেষজ্ঞদের ধারণা। ২০১২ সালে জাতীয় য²া নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির আওতায় ১ লাখ ৬৪ হাজার ৭৬২ জন যক্ষ্মা রোগী শনাক্ত করা হয়েছে এবং চিকিৎসার আওতায় এসেছে। চিকিৎসার সফলতার হার ছিল ৯২ শতাংশ যা প্রশংসার দাবি রাখে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিবেদন অনুযায়ী ২০১১ সালে বিশ্বে ১ কোটি ২০ লাখ লোক যক্ষ্মায় আক্রান্ত হয়। এরমধ্যে দক্ষিণ এশিয়া ও আফ্রিকায় আক্রান্তের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। যক্ষ্মা বিশ্বব্যাপী একটি জনস্বাস্থ্য সমস্যা। ২২টি যক্ষ্মাপ্রবণ দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ৬ষ্ঠ।
বিশেষজ্ঞদের মতে যক্ষ্মা চিকিৎসার সবচেয়ে বড় প্রতিবন্ধকতা হচ্ছে রোগীর ওষুধ খাওয়া নিয়ে। রোগীরা কিছুদিন ওষুধ খাওয়ার পর বিভিন্ন কারণে বন্ধ করে দেন। দেশে এ রকম চিকিৎসা শুরু করার কিছুদিন পর বন্ধ করে দেয়ার হার ৬০ থেকে ৮০ শতাংশ। এভাবে বার বার চিকিৎসা শুরু এবং বন্ধ করার ফলে যক্ষ্মার জীবাণুগুলো ব্যবহৃত ওষুধের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে সক্ষম হয়। ফলে এসব ওষুধ অকার্যকর হয়ে দাঁড়ায়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, (সংবাদ পত্রে প্রকাশিত) ওষুধে ভালো হয় না এমন য²ায় আক্রান্ত রোগীও আছে বাংলাদেশে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসাব মতে দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে ভারতেই ওষুধ প্রতিরোধী যক্ষ্মার প্রকোপ সবচেয়ে বেশি।
য²া নিয়ন্ত্রণে সরকারের আন্তরিকতা থাকলেও যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণে সামাজিক অপবাদ রয়েই গেছে। সরকারের য²া নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির সঙ্গে ব্রাকসহ ৪৩টি সংস্থা দেশজুড়ে য²া নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে। য²া নিয়ন্ত্রণে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলা জরুরি। য²ার ব্যাপারে সামাজিক অপবাদ কুসংস্কার এখনো রয়ে গেছে মানুষের মধ্যে। ১৯৯৩ সালে য²াকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা গোবাল ইমার্জেন্সি গ্রহণ করার পর থেকেই বাংলাদেশ সরকার ও বেসরকারি সংস্থা য²া নিয়ন্ত্রণে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। একটা সময় ছিল বলা হতো যার হয় য²া তার নাই রক্ষা, আর এখন বলা হচ্ছে য²া হলে রক্ষা নাই এ কথার ভিত্তি নাই। য²ার কার্যকর চিকিৎসা বের হওয়ার পর থেকেই এ প্রাচীন প্রবাদ মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে। য²া নিয়ন্ত্রণে সরকার বিনামূল্যে ওষুধ ও চিকিৎসা দিচ্ছে। সম্প্রতি সংবাদপত্রে প্রকাশিত একটি রিপোর্ট থেকে জানা যায়, আধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতি ব্যবহারের মাধ্যমে পুনরায় দেশে য²ার প্রকোপ নির্ণয় করতে গিয়ে দেখা গেছে শনাক্তকরণের অভাবে দেশে বাড়ছে যক্ষ্মার প্রকোপ। এ মতামত দিয়েছেন যক্ষ্মা বিশেষজ্ঞরা। তারা বলেছেন এ যাবৎ যক্ষ্মা নিয়ে যেসব অনুমান ভিত্তিক গবেষণা করা হয়েছে তার চেয়ে বাংলাদেশে যক্ষ্মায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দ্বিগুণ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সর্বশেষ রিপোর্ট অনুসারে প্রতি বছর সাড়ে তিন লাখ মানুষ নতুন করে য²া রোগে আক্রান্ত হয় এবং ৪,৭০০ (চার হাজার সাতশত) জন এম ডি আর টি বি (ওষুধ প্রতিরোধী য²া) রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। সম্প্রতি প্রকাশিত বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার একটি প্রতিবেদনে বলা হয় সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ (এমডিজি) নির্ধারণের সময় য²ায় আক্রান্ত, য²ার প্রকোপ ও য²ায় মৃত্যু কমানোর যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল বাংলাদেশ তা অর্জন করতে পারেনি।
লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করার সময় বলা হয়েছিল বাংলাদেশে নতুন রোগী শনাক্তের হার (প্রতি লাখে) ১২০ করা হবে, বর্তমানে সেই হার ৫৩। ১৯৯০ সালে য²ার প্রকোপের হার ছিল ৫০৪ (প্রতি লাখে)। বলা হয়েছিল এ হার কমিয়ে ২৫০ করা হবে কিন্তু বর্তমানে তা ৪০২। অন্যদিকে য²ায় মৃত্যুর হারও কমানোর লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়নি। বছরে প্রতি লাখে ৮০ জনের মৃত্যু হতো য²ায় যেখানে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩০। বর্তমানে প্রতি লাখ মানুষের মধ্যে য²ায় ৫১ জনের মৃত্যু হচ্ছে। ২৮ অক্টোবর ২০১৫ যুক্তরাজ্য ভিত্তিক একটি প্রভাবশালী জনস্বাস্থ্য ও চিকিৎসা সাময়িকী ল্যানসেট বলছে বাংলাদেশের বক্ষব্যাধি হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের ৯ শতাংসের শরীরে য²ার জীবাণু শনাক্ত হচ্ছে। অন্য রোগের চিকিৎসায় হাসপাতালে ভর্তি হতে এসে তারা টিবি আক্রান্তের বিষয়টি জানতে পারছেন। অর্থাৎ নিজেদের অজান্তেই এই জীবাণু বহনকারীরা নিজেরা য²ায় ভুগছেন এবং অন্যদের শরীরে ছড়াচ্ছে। য²া বিশেষজ্ঞদের মতে কেবল তিন সপ্তাহের বেশি কাশি হওয়া নয়, ওজন কমে যাওয়া, ঘুম না হওয়া, বুকে ব্যথা, দুর্বলতা ও ক্ষুধামান্দা কিংবা কাশির সঙ্গে রক্ত বের হওয়া- এসবের যে কোন একটি হলেও দ্রæত চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া উচিত।
য²া নিয়ন্ত্রণে নাটাব
উদ্দেশ্য (গরংংরড়হ) : বাংলাদেশের য²ায় আক্রান্ত নাগরিকদের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করার জন্য কাজ করা এবং বাংলাদেশের সকল মানুষকে য²া রোগ ও এর ভয়াবহতা সম্পর্কে সচেতন করে তোলা।
লক্ষ্য (এড়ধষ) : য²া রোগীর সংখ্যা ও মৃত্যু হার এমন পর্যায়ে নামিয়ে নিয়ে আসা যাতে য²া দেশে জনস্বাস্থ্য সমস্যা হিসেবে বিদ্যমান না থাকে।
য²া নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি সফলতার পিছনে সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগের যৌথ ভ‚মিকা অনস্বীকার্য। অত্যন্ত প্রাচীন সংগঠন হচ্ছে নাটাব, যা জাতীয় য²া নিরোধ সমিতি নামে পরিচিত। ১৯৪৭ সালে পাকভারত স্বাধীনতার পর ১৯৪৮ সালে প্রথম য²া নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি চালু করে বাংলাদেশের তৎকালীন পূর্বপাকিস্তানের বেসরকারি প্রতিষ্ঠান নাটাব। কিন্তু সরকারিভাবে ১৯৫২ সালে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের পাশে য²া নিয়ন্ত্রণ ও প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান নামে একজন ব্রিটিশ চিকিৎসক ড. ডিমার্কি প্রথম য²া নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি চালু করেছিলেন। আমাদের এই প্রিয় মাতৃভ‚মিকে য²ামুক্ত করতে নাটাব নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। এজন্য নাটাব য²া রোগী শনাক্ত ও প্রয়োজনীয় চিকিৎসার মাধ্যমে তাদের সুস্থ করে তোলার ক্ষেত্রে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য কাজ করে যাচ্ছে। য²া রোগীরা চিকিৎসা নিলেও নিয়মিত ওষুধ সেবন এবং পূর্ণ মেয়াদে চিকিৎসা গ্রহণ করেন না। নাটাব সরকারের ডটস্ কর্মসূচির অংশীদার হিসেবে রোগীদের চিকিৎসা সম্পর্কে সচেতন করে তোলার ব্যাপারে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করে আসছে। এ সমস্ত কর্মসূচির মধ্যে আছে এডভোকেসী সভা, সেমিনার, সিম্পোজিয়াম, ওয়ার্কশপ, র‌্যালি, রোগীদের সাথে ব্যক্তিগত যোগাযোগ ইত্যাদি। গণমানুষের মাঝে য²া সম্পর্কিত প্রচার কাজ নাটাব সুশীল সমাজকে সাথে নিয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ চালিয়ে যাচ্ছে।
ভুল ধারণা, কুসংস্কার য²া নিয়ন্ত্রণে অন্তরায়। য²া বিষয়ে সমাজে এখনও অনেক ভুল ধারণা রয়ে গেছে। এ ভ্রান্তি দূর করতে জনসচেতনতা বাড়াতে নাটাব নিয়মিত সারাদেশে বিভিন্ন শ্রেণি ও পেশার মানুষের অংশগ্রহণে মতবিনিময় ও এডভোকেসী সভা করে যাচ্ছে। কুসংস্কার থাকার কারণে য²ায় আক্রান্তরা প্রকাশ্যে নিজের রোগটি সম্পর্কে অপরকে বলতে পারে না যে তার য²া হয়েছে বা চিকিৎসা চলছে। আবার অনেকে লোকে জেনে ফেলবে এ ভয়ে চিকিৎসাও নিতে চায় না। এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পেতে হলে জনসচেতনতার কোনো বিকল্প নেই। ২৪ মার্চ বিশ্ব য²া দিবস। বাংলাদেশসহ বিশ্বে য²া সম্পর্কে সচেতনতার জন্য এ দিবসটি পালিত হয়। দল-মত ও ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায়ই বাংলাদেশকে য²ামুক্ত করা সম্ভব।
উপসংহার
বাংলাদেশের জন্য য²া একটি মারাত্মক স্বাস্থ্য সমস্যা। কোনো সংস্থার পক্ষে এককভাবে এ সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়। এজন্য সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ের বিশেষ ভ‚মিকা রয়েছে। সমষ্টিগত প্রচেষ্টার দ্বারা সামাজিক আন্দোলনের মধ্যেদিয়ে এই সমস্যা মোকাবেলা করা ব্যতীত অন্য কোনো বিকল্প উপায় নেই। য²া প্রতিরোধে গণসচেতনতা বাড়াতে হলে গণজোয়ার সৃষ্টি করতে হবে এজন্য প্রয়োজন সমন্বিত পরিকল্পনা। এ ব্যাপারে সরকারি-বেসরকারি সংস্থার পাশাপাশি গণমাধ্যমগুলোও বিশেষ ভ‚মিকা রাখতে পারে। আমাদের আগামী প্রজন্মকে যক্ষ্মা রোগের ভয়াবহতা থেকে রক্ষা করতে হলে এ ব্যাপারে আমাদের এখনই উদ্যোগ নিতে হবে।
লেখক : ব্যাংকার ও কলামিস্ট



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন