পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিশেষ সংবাদদাতা : স্বাধীনতা পরবর্তীতে যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশ পুনর্গঠনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সময় দেয়া হয়নি মন্তব্য করে এর জন্য সে সময় সরকারের সমালোচকদের দায়ী করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, অল্প সময়ের মধ্যে একটা যুদ্ধ-বিধ্বস্ত দেশ গড়ে তোলা এত সহজ কাজ ছিল না। কিন্তু এখন আমার মাঝে মাঝে এটাই দুঃখ হয়, তখনতো কেউ সময় দেয়নি। কত সমালোচনা! এটা হল না, ওটা হল না, নানা ধরনের কথা, কত কিছু। মনে হল যেন, সেই সময় ওনার বিরুদ্ধে সমালোচনা করতে করতে স্বাধীনতার পরাজিত শক্তি, তাদের হাতকেই যেন শক্তিশালী করে দিল।
শেখ হাসিনা বলেন, আর এখন আমার মাঝে মাঝে এইটেই মনে হয়, এই যে তার বিরুদ্ধে নানা সমালোচনা, নানা কথা লেখার মধ্য দিয়ে তার জীবনটাকে কেড়ে নেয়ার পথটা অর্থাৎ ১৫ আগস্ট ঘটানোর একটা যেন পটভূমি তৈরি করে দিয়েছিল অনেকেই। পরবর্তীতে তারা হয়ত উপলব্ধি করতে পেরেছিলেন কী তারা হারিয়েছিলেন।
স্বাধীনতার পর পাকিস্তানের বন্দিশালা থেকে মুক্ত হয়ে ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি দেশে ফেরেন শেখ মুজিবুর রহমান। রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব নিয়ে দেশ পুনর্গঠনে মনোযোগ দেন তিনি।সাড়ে চার বছরের মাথায় ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট একদল সেনা সদস্যের হাতে পরিবারের অধিকাংশ সদস্যসহ নিহত হন প্রেসিডেন্ট শেখ মুজিব।
বাঙালির স্বাধীনতা আন্দোলনের নেতৃত্ব দেয়া বঙ্গবন্ধুর জীবনের একটি বড় সময় কেটেছে কারাগারে। বন্দিদশায় তার লেখা দিনলিপি নিয়ে প্রকাশিত ‘কারাগারের রোজনামচা’ বইয়ের প্রকাশনা উৎসব হয় গতকাল মঙ্গলবার। রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে এই প্রকাশনা উৎসবে প্রধানমন্ত্রী জানান, বঙ্গবন্ধুর লেখা এই দিনলিপির খাতাটি পুলিশের বিশেষ শাখা এসবির সহায়তার ২০১৪ সালে খুঁজে পাওয়া যায়। এই খাতাটি পাকিস্তান সরকার বাজেয়াপ্ত করেছিল।
বক্তব্যে বাবার সঙ্গের নানা স্মৃতি তুলে ধরেন শেখ হাসিনা বলেনÑ ছোটবেলায় বেশিরভাগ সময়ই আব্বার সঙ্গে দেখা জেলখানাতেই হত। আমরা আমাদের জীবনে একটানা দুই বছর বাবাকে কাছে পাইনি। আমরা জানতাম যে, আমার বাবা দেশের মানুষের জন্য কাজ করেন। তাই আমাদের কোনও আবদার, কোনও কিছুই বাবার কাছে ছিল না। বরং যতটুকু সময় উনি বাইরে থাকতেন এত স্নেহ আদর দিতেন যে না পাওয়ার বেদনা ভুলে যেতাম। স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে বিভিন্ন সময় অশ্রুসিক্ত হয়ে পড়েন প্রধানমন্ত্রী।
বাবার লেখার পেছনে মায়ের ভূমিকা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, মায়ের কথা বারবার মনে পড়ে। লেখার জন্য বারবার উৎসাহ দিতেন। যখনই বাবা গ্রেপ্তার হতেন, লেখার জন্য খাতা দিতেন এবং সেগুলো সযতেœ সংরক্ষণ করতেন। বাবার লেখাগুলো প্রকাশ করতে পারাকে স্বার্থকতা হিসেবে দেখছেন তিনি। এমিরেটাস অধ্যাপক রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে প্রকাশনা উৎসবে বইটির ওপর আলোচনা করেন অধ্যাপক মুনতাসির মামুন ও অধ্যাপক সৈয়দ আনোয়ার হোসেন। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নুর ও বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু এদেশের স্বাধীনতার জন্য নিজের জীবন উৎসর্গ করেছেন। এখন এই স্বাধীনতাকে রক্ষা করার দায়িত্ব দেশবাসীর।বঙ্গবন্ধু এ দেশের জনগণের স্বাধীনতা ও অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য আজীবন সংগ্রাম করেছেন। এখন এই স্বাধীনতাকে রক্ষা করার দায়িত্ব দেশবাসীর।
শেখ হাসিনা আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু কেবল মাত্র আমারই পিতা নন, তিনি সমগ্র বাংলাদেশের পিতা এবং দেশের জনগণের পিতা। বঙ্গবন্ধু সবকিছু জনগণের জন্য বিলিয়ে দিয়েছেন। বাড়ি থেকে শুরু করে সবকিছু জনগণের মধ্যে বিলিয়ে দিয়েছি। বাকি শুধু একটাই এই দেশটাকে যদি সেভাবে গড়ে দিয়ে যেতে পারি। আমি আশা করি এই বইয়ের মধ্যদিয়ে আপনারা আরো ভালোভাবে জানতে পারবেন। দেশকে জানতে পারবেন, মানুষগুলিকে জানতে পারবেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু সবসময়ই রবীন্দ্রনাথের একটি কবিতা আবৃত্তি করতেন ‘উদয়ের পথে শুনি কার বাণী, ভয় নাই ওরে ভয় নাই। নিঃশেষে প্রাণ যে করিবে দান ক্ষয় নাই তাঁর ক্ষয় নাই।’ উদাত্ত কন্ঠে তিনি এই উচ্চারণটা সবসময় করতেন। আজকে এটাই তাঁর জীবনে বাস্তব হলো-নি:শেষে প্রাণটা তিনি দিয়ে গেলেন কিন্তু তাঁকে যারা ইতিহাস থেকে মুছে ফেলতে চেয়েছিল,পারল না। তিনি সেই ইতিহাসে আবারো ফিরো এসেছেন এবং এই বাংলার মাটিতে আবার ফিরে এসেছেন। আর আমার একটাই কাজ তাঁর বাংলাদেশকে সেই স্বপ্নের বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তোলা।
তিনি বলেন, আরেকটা কাজ আমি করেছি-যে এখানে অনেকের কথা তিনি (বঙ্গবন্ধু) লিখেছেন। অনেক ভালো ভালো কথা লিখেছেন, কিন্তুু এরমধ্যে অনেকেইতো পরে বেঈমানি করে চলে গেছে। কিন্তু যার সম্পর্কে তিনি যা লিখেছেন সে লেখায় আমি কোন হাত দেইনি। একটি কথাও কাটিনি ঠিক সেইভাবেই আছে। এরমধ্যেই অনেকেই বেঁচে নেই আবার অনেকেই বেঁচে আছেন যাই হোক এখন এগুলো পড়লে তারাই লজ্জা পাবে কিনা আমি জানি না। কিন্তুু তিনি যাকে যেভাবে দেখেছেন,বর্ননা দিয়েছেন, যেভাবে ভালোকথা লিখেছেন সব হুবহু ঐভাবেই রেখে দিয়েছি। কারণ সকল মানুষের সত্য কথাটা জানা উচিত। আর এত সাহস আমার নেই যে তার লেখায় হাত দেব। কাজেই তিনি যেভাবে লিখেছেন সেভাবেই আমরা তা রাখার চেষ্টা করেছি।
শেখ হাসিনা বলেন, যখন একটু কাজ করি যখনই একটু ভালো কাজ হয়-তখন কেবল এটুকুই মনে হয় আমার আব্বা আজ বেঁচে নেই, উনি বেঁচে থাকলে বোধহয় আরো অনেক মানুষ উন্নত জীবন পেত। কিন্তু আজকে তিনি বেঁচে নাই যদি একটু ভালো কাজ করি তাঁর আত্মাটা শান্তি পাবে, তিনি নিশ্চয়ই দেখেন। তিনি নিশ্চয়ই জানেন। তিনি নিশ্চয়ই এটা উপলদ্ধি করতে পারেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই লেখার মধ্যদিয়ে আপনারা অনেক কিছু জানতে পারবেন। তবে, এখানেই শেষ নয় তাঁর লেখা আরো আছে। সেগুলোও আমরা ধীরে ধীরে প্রকাশ করবো। সেগুলোও মোটামুটি প্রস্তুুত। ২০২০ বঙ্গবন্ধুর জন্ম শতবার্ষিকী উদযাপনের পূর্বেই আমরা এই লেখাগুলো প্রকাশ করবো। সেইসাথে বঙ্গবন্ধু কারাগারে থাকাকালে পুলিশের এসবি’র (স্পেশাল ব্রাঞ্চ) যে রিপোর্ট,বহু নেতাদের বিরুদ্ধে রিপোর্ট, আমি অনেকের রিপোর্ট নিয়ে এসে দেখেছি। কিন্তু আপনারা শুনলে অবাক হবেন যে, একজন মানুষ তাঁর বিরুদ্ধে ৪৮ থানার মত ফাইল,৩০/৪০ হাজার পাতা । কিন্তু বিরুদ্ধে লেখা হলেও এরমধ্য দিয়ে একদিকে যেমন তাঁর জীবনীটা পাওয়া যায় তেমনি বাংলাদেশের অভ্যুত্থানের তথ্যও জানা যায়। সেটাও আমরা তৈরি করেছি। সেটারও কাজ চলছে। সেটা ডিক্লাসিফাইড করে দিয়েছি। এটাকে আগে আমরা একটি ডকুমেন্ট হিসেবে ছাপাবো ও বের করবো। সেখানে মূল কথাগুলো যেন থাকে তাঁর প্রতি লক্ষ্য রাখা হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ঐ বইয়ে কিভাবে বঙ্গবন্ধু কাজ করেছেন, কিভাবে রাজনৈতিক দলটা তিনি গড়ে তুলেছেন, কিভাবে সমগ্র বাংলাদেশ ঘুরে বেড়িয়েছেন-সবকিছুই সেখানে সুন্দরভাবে লেখা আছে। শীগ্রই সেটা আমরা প্রকাশ করবো। সেইসাথে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে একশ অভিযোগ আনা হয় এবং সেখান থেকে দুটি অভিযোগ দিয়ে মামলা করা হয়। সে ডকুমেন্টও আমরা প্রকাশ করবো। বাংলাদেশের ইতিহাস যারা জানতে চাইবে তারা হয়তো এই ডকুমেন্টগুলো পড়লেই জানতে পারবে।
তিনি বলেন, আজকে রাষ্ট্রপরিচালনার দায়িত্ব নিয়ে যখন কোনো কাজ করতে যাই-তখন দেখি তিনি (বঙ্গবন্ধু) প্রতিটি ক্ষেত্রে সবকিছুইতো করে দিয়ে গেছেন- একটি স্বাধীন দেশই শুধু দিয়ে যাননি একটি স্বাধীন দেশের উপযোগী করে সকল প্রতিষ্ঠানগুলো গড়ে দিয়ে গেছেন। আইনগুলো করে দিয়ে গেছেন, শুধু বাস্তবায়ন করা, একে একে আমরা সাধ্যমতো তা বাস্তবায়নের চেষ্টা করে যাচ্ছি।
প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানে শেখ রেহানার উপস্থিত হতে না পারা প্রসঙ্গে বলেন, আপনারা জানেন রেহানা আসতে পারেনি কারণ কয়েক দিন আগে ব্রিটিশ পার্লামেন্টে সন্ত্রাসি হামলার প্রেক্ষিতে তাঁর মেয়ে সেখানকার এমপি হওয়ায় তাঁর ছোট শিশুটিকে নিয়ে আটকা পড়ে যায়। রেহানা দেশেই ছিল ঐ খবর পাওয়ার পরদিন সকালেই সাথে সাথে সেখানে চলে যায়। এই অনুষ্ঠানে তাঁরও (রেহানার) থাকার কথা ছিল। এখানে আসার আগে আমি টেলিফোনে তাঁর সঙ্গে কথা বলে এসেছি কারণ ও সবসময় আমার পাশে থাকুক সেটাই সবসময় চেয়েছি।
জাতির পিতার সপরিবারে হত্যার পর ৬ বছর প্রবাস জীবন কাটিয়ে দেশে ফিরলেও তাকে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বঙ্গবন্ধুর বাসভবনে ঢুকতে দেয়া হয়নি উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, পরে যখন তিনি ঢোকেন তখন জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। এরপর আমার কেবলই মনে হচ্ছিল মায়ের কাছে রাখা ঐ খামগুলো কিভাবে উদ্ধার করা যায়। তিনি বলেন, ঐ সময় বাড়ি থেকে বঙ্গবন্ধুর লেখা খাতা কয়টাই নিয়ে আসেন। আর কিছুই তিনি আনেন নি। চারিদিকে রক্তের ছোপ, ছোট সেই অবস্থার মধ্যে আমাকে খুঁজে দেখতে হয়েছে। ধুলাবালি আর মাকড়সার জালের মধ্যদিয়ে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এখানে একটি খাতা আছে ১৯৬৮ সালের। সেটি ওনার শেষ লেখা। ঢাকা কেন্দ্রিয় কারাগার থেকে বঙ্গবন্ধুকে গ্রেফতার করে ঢাকা ক্যান্টনমেন্টে নিয়ে যায় পাকিস্তাানী হানাদারবাহিনী এবং তাঁরপর আগরতলা মামলা হয় এবং ৫ মাস পর মামলা শুরু হওয়ার পরে খাতাটা তাঁর হাতে দেয়া হয়েছিল। সেখানে খুব অল্পই লেখা থাকলেও ঐ লেখাটা নিয়ে এটি স্মৃতি রয়ে গেছে যে স্মৃতিটা আমি আজকে আপনাদের বলবো।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা জানুয়ারি মাসের পর থেকে জানতাম না উনি কোথায় আছেন, কিভাবে আছেন, বেঁছে আছেন কি না। কোন খবর আমরা জানতে পারি নি। যখন মামলা শুরু হলো সেই কোর্টও ছিল ক্যান্টনমেন্টের ভেতরে তখনই বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে প্রথম দেখা হলো। এরপর আমরা মাঝে মাঝে সাক্ষাৎকারের অনুমতি পেতাম। বঙ্গবন্ধুকে অফিসার্স মেসের একটি কক্ষে রাখা হতো। সেটাকে এখন একটি মিউজিয়ামের মত করে রাখা হয়েছে। আমাদের সেনাকবাহিনী জায়গাটি মিউজিয়ামের মত করে রেখেছে। আপনারাও ইচ্ছে করলেই সেটা দেখতে যেতে পারেন। সেখানে খাটের পাশে দুটো চেয়ার ছিল। আমরা যথন যেতাম হঠাৎ দেখি বালিশের নিচে একটা খাতা। আমার কি মনে হলো আমি আস্তে খাতাটা বের করে পড়তে শুরু করলাম। তখন আব্বা-আম্মা পাশাপাশি চেয়ারে বসে। আব্বা তখন বিষয়টি লক্ষ্য করলেন। উনি উঠে এলেন। আস্তে আমাকে জড়িয়ে ধরে কোনো বকাও দিলেন না কিছুই বললেন না। শুধু হাত থেকে খাতাটা নিয়ে নিলেন। নিয়ে শুধু এইটুকুই বললেন-এখন পড়বি না। আমার মৃত্যুর পরে পড়বি। আমার হাত থেকে তিনি খাতাটা নিয়ে রেখে দিলেন।
শেখ হাসিনা বাকরুদ্ধ কন্ঠে বলেন, একটি মানুষ আজন্ম সংগ্রাম করে দেশ স্বাধীন করেছেন। জীবনে টানা দুটি বছরও বাবাকে একটানা কাছে পাই নি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, পঁচাত্তরের ১৫ আগস্টের পরে যখন ঐ খাতাগুলো হাতে পেলাম সত্যকথা বলতে কি এগুলো পড়া আামার জন্য খুব কষ্টের ছিলো। আমার বান্ধবী ছিলো বেবী। ও সবসময় পাশে থাকতো, সাহায্য করতো। কিন্তু খাতাগুলো আমি যে পড়বো, কেন যে সেই সাহসটাই পেতাম না। বার বার বাবার সেই কথাটাই মনে পড়তো। তাই এই বইটি যে আজকে মানুষের হাতে তুলে দিতে পেরেছি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।