Inqilab Logo

শুক্রবার, ০৫ জুলাই ২০২৪, ২১ আষাঢ় ১৪৩১, ২৮ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

ঢাকার সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক অব্যাহত রাখতে এ সফরকে নয়াদিল্লির ব্যবহার করা উচিত

| প্রকাশের সময় : ২৯ মার্চ, ২০১৭, ১২:০০ এএম

টাইমস অব ইন্ডিয়া : নয়া দিল্লী-ঢাকার সম্পর্কে এক গুরুত্বপূর্ণ সময়ে আগামী মাসে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফর অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এটা অস্বীকারের কিছু নেই যে নয়াদিল্লীর প্রতি ঢাকার বর্তমান মনোভাব কয়েক বছরের মধ্যে সবচেয়ে বন্ধুত্বপূর্ণ। হাসিনা সরকার বাংলাদেশের মাটি থেকে কর্মকান্ড পরিচালনাকারী উত্তরপূর্ব ভারতের বিদ্রোহীদের দমন করে নয়াদিল্লীর নিরাপত্তা উদ্বেগ দূর করতে অতিরিক্ত অনেক পথ হেঁটেছে। বাংলাদেশ ইসলামী সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে দেশের একটি মফস্বল এলাকায় তুমুল লড়াইয়ে লিপ্ত রয়েছে। সিলেটে একটি আবাসিক ভবনে আটকেপড়া উগ্রপন্থীদের নির্মূলে নিরাপত্তা অভিযান চলছে। প্রকৃতপক্ষে বাংলাদেশের চলমান সন্ত্রাস-দমন ব্যবস্থা ভারতের পূর্ব অংশকে উগ্রপন্থী গোষ্ঠীগুলো থেকে সুরক্ষা দিচ্ছে। বাংলাদেশের সাথে আন্তরিক সম্পর্ক অব্যাহত রাখতে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সফরকে নয়াদিল্লীর ব্যবহার করা উচিত।
বাংলাদেশ তার নিজ ভূখন্ডের মধ্য দিয়ে ভারতীয় পণ্যের ট্রানজিট সুবিধা প্রদান এবং নয়া দিল্লীর কানেক্টিভিটি বিষয়ে নীরব সম্মতি দেয়া ছাড়াও হাসিনার এ সফরে ভারতের চট্টগ্রাম ও মংলাবন্দর ব্যবহারের চুক্তি চূড়ান্ত হতে পারে। এর সাথে রয়েছে ঢাকার সাথে ২৫ বছর মেয়াদী একটি দ্বিপাক্ষিক প্রতিরক্ষা চুক্তি যার লক্ষ্য দু’দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে বর্ধিত সহযোগিতা। এ চুক্তি বা এ সংক্রান্ত সমঝোতাস্মারক উভয় দেশের স্বার্থ রক্ষা করবে এবং উভয় দেশেরই সমস্যা জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে যৌথভাবে লড়াইয়ে সহায়ক হবে।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ তিস্তা পানি বণ্টন চুক্তির অপেক্ষা করছে। কিন্তু পশিচমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানর্জির আপত্তির কারণে এ চুক্তি আটকে রয়েছে। নয়াদিল্লী ঢাকাকে পুনরায় আশ^স্ত করতে ও এ চুক্তি করার একটি পথ খুঁজতে অনেক কিছু করবে। বাংলাদেশ আজ ভারতের শক্তিশালী অংশীদারদের একজন। সন্ত্রাসের ক্ষেত্রে পাকিস্তানের ভূমিকা অনমনীয় থাকার প্রেক্ষিতে ভারত পাকিস্তানের সাথে পানি বিষয়ে কঠোর অবস্থান নিয়েছে। বাংলাদেশের সাথে পানি চুক্তি বিষয়ে ভারত উদার হতে পারে।  




 

Show all comments
  • fdxhgngf ২৯ মার্চ, ২০১৭, ১০:৫৭ এএম says : 0
    Bokas Bankor
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ