Inqilab Logo

শুক্রবার, ২৮ জুন ২০২৪, ১৪ আষাঢ় ১৪৩১, ২১ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

বাংলাদেশ ব্যাংকে অগ্নিকান্ড নিছক দুর্ঘটনা অর্থমন্ত্রী

| প্রকাশের সময় : ২৯ মার্চ, ২০১৭, ১২:০০ এএম


অর্থনৈতিক রিপোর্টার : বাংলাদেশ ব্যাংকে আগুন লাগার ঘটনাটিকে নিছক দুর্ঘটনা হিসেবে উল্লেখ করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। তিনি বলেছেন, বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে সেখানে আগুন লেগেছে। গতকাল রিজার্ভের টাকা ফেরত সংক্রান্ত এক বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। এসময় বাংলাদেশ ব্যাংকের আইটি নিরাপত্তা ব্যবস্থা আমূল সংস্কার করার কথা বলেন অর্থমন্ত্রী।
মুহিত বলেন, ব্যাংকটির আইটি স্থাপনার নিরাপত্তা ব্যবস্থাটি বেশ পুরনো। সেটির মেয়াদ ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। ২০০৮ থেকে ২০১৩ সাল মেয়াদি ছিল এ নিরাপত্তা ব্যবস্থা। সেখানে সংস্কার করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এটিকে আধুনিক নিরাপত্তা ব্যবস্থায় নিয়ে আসা হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা যায়, ব্যাংকটির আইটি স্থাপনা (সার্ভার, রাউটার, সুইচ, স্টোরেজ, ফায়ার ওয়াল, ইউপিএস, প্রিসিশন এয়ারকন্ডিশনার ইত্যাদি) ২০০৮ সালে স্থাপন করা হয়, যার রক্ষণাবেক্ষণের মেয়াদ ২০১৩ সালে উত্তীর্ণ হয়েছে। এটি সংস্কারের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক সম্প্রতি অর্থ মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়েছে।
এদিকে রিজার্ভের টাকা ফেরত পাওয়ার বিষয়ে ফের আশাবাদ ব্যক্ত করছেন অর্থমন্ত্রী। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা আশাবাদী। রিজার্ভের বাকি টাকা ফেরত পাব। তবে এটিতে সময় লাগতে পারে।’
গতকালের বৈঠকে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, পুলিশের আইজিপি কে এম শহীদুল হকসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
বাংলাদেশ ব্যাংক ভবনে আগুনের প্রতিবেদন দিয়েছে কিনা- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এটি আমার বিষয় নয়, আমার দেখার বিষয়ও নয়।’
টাকা ফেরত পাওয়ার ক্ষেত্রে কেউ অসহযোগিতা করছে কিনা- প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘এ বিষয়ে কেউ অসহযোগিতা করছে না। এমনকি ফিলিপাইনও আমাদের সহায়তা করছে।’
গত বছরের ৫ ফেব্রæয়ারি বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে ১০১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার চুরি হয়। শ্রীলঙ্কায় যাওয়া ২০ মিলিয়ন ডলার উদ্ধার হলেও ফিলিপাইনে যাওয়া ৮১ মিলিয়ন ডলার উদ্ধারের বিষয়ে সংশয় তৈরি হয়। আর্থিক খাতের এতো বড় দুর্ঘটনার এক মাস পার হওয়ার পরও বিষয়টি অজানা ছিল অর্থমন্ত্রীসহ সরকারের ঊর্ধ্বতনদের কাছে। আর সে ঘটনার জের ধরেই পদত্যাগ করেন ব্যাংকের গভর্নর ড. আতিউর রহমান।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ