পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
কোর্ট রিপোর্টার : একুশে পদকপ্রাপ্ত প্রবীণ ফটো সাংবাদিক আফতাব আহমেদকে হত্যার দায়ে পাঁচ আসামির ফাঁসির রায় দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি অপর একজনকে সাত বছরের কারাদন্ড দেয়া হয়েছে। গতকাল ঢাকার চার নম্বর দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আবদুর রহমান সরদার এ মামলার রায় ঘোষণা করেন। ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্ত পাঁচ আসামি হলেন- নিহত আফতাব আহমেদের গাড়িচালক মো. হুমায়ুন কবীর মোল্লা এবং বিলাল হোসেন কিসলু, হাবিব হাওলাদার, মো. রাজু মুন্সী ও মো. রাসেল। এছাড়া সাত বছর কারাদন্ড পওয়া অপর আসামি সবুজ খানকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদন্ড দেয়া হয়েছে রায়ে। ২০১৩ সালের ২৪ ডিসেম্বর রাতে পশ্চিম রামপুরা ওয়াপদা রোডে নিজের বাসায় খুন হন ফটো সাংবাদিক আফতাব আহমেদ (৭৮)।
এ বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মাহফুজুর রহমান লিখন সাংবাদিকদের জানান, রায় ঘোষণার সময় আসামিদের মধ্যে রাজু মুন্সী ও মো. রাসেল পলাতক ছিল। বাকি আসামিদের রায়ের সময় কারাগার থেকে আদালতে উপস্থিত করা হয়। পরে সাজা পরোয়ানা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়।
রায়ে বলা হয়, সবুজ শুধু বাড়ি পাহারার দায়িত্বে ছিল। খুনের সঙ্গে সে প্রত্যক্ষভাবে যুক্ত ছিল না। তার বয়স ১৮। বয়স বিবেচনায় তাকে স্বল্পমেয়াদের শাস্তি দেয়া হল। রায় শুনে আসামি সবুজ কান্নায় ভেঙে পড়ে। এছাড়া ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্ত আসামিরা ছিলেন নির্বিকার। রায়ের পর্যবেক্ষণে বিচারক বলেন, “আফতাবের মত প্রবীণ ও বিচক্ষণ সাংবাদিকের এ রকম মৃত্যু মেনে নেয়া যায় না। দেশে আইনের শাসন পৃতিষ্ঠার জন্য এ ধরনের অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া জরুরি।” রায়ের পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় আফতাবের বড় মেয়ে আফরোজা আহমেদ বন্যা বলেন, পলাতক দুই আসামিকে দ্রæত গ্রেফতার করা হোক।
মামলার নথি সূত্রে জানা গেছে, ২০০৬ সালে একুশে পদক পাওয়া আফতাব দীর্ঘদিন ইত্তেফাকের জ্যেষ্ঠ আলোকচিত্রী হিসেবে কাজ করেন। তার গ্রামের বাড়ি রংপুরের গঙ্গাচড়ায়। ঢাকার পশ্চিম রামপুরার ৬৩ নম্বর হোল্ডিংয়ে একটি চারতলা ভবনের তৃতীয় তলার বাসায় থাকতেন তিনি। তার দুই সন্তানের মধ্যে ছেলে মনোয়ার আহমেদ থাকেন যশোরে। আর মেয়ে আফরোজা আহমেদ তার স্বামী ফারুক আহমেদের সঙ্গে থাকেন গাজীপুরে। ২০১৩ সালের ২৪ ডিসেম্বর রাতে নিজের বাসায় খুন হন ৭৮ বছর বয়সী আফতাব। পরদিন সকালে পুলিশ তার হাত-পা বাঁধা লাশ উদ্ধার করে। নিহতের শ্যালক মনোয়ার আহমদ সাগর ওই ঘটনায় রামপুরা থানায় অজ্ঞাতপরিচয় আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন। তদন্ত চলাকালে আফতাবের গাড়ি চালক মো. হুমায়ুন কবীরসহ পাঁচজনকে গ্রেফতার করে র্যাব। পরে আসামি হাবিব, বিল্লাল ও হুমায়ুন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দেন। জবানবন্দিতে বলেন, টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার লুট করার সময় বাধা দেয়ার কারণেই আফতাবকে হত্যা করা হয়। তদন্ত শেষে পরের বছর ২৫ মার্চ আদালতে অভিযোগপত্র দেন র্যাব-৩-এর উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. আশিক ইকবাল।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।