পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : পাবলিক পরীক্ষার ভুয়া প্রশ্নপত্রের প্রচার ও বিক্রির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে অধ্যক্ষসহ ৯ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
গতকাল (মঙ্গলবার) দুপুরে মহানগর পুলিশের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ডিবির যুগ্ম কমিশনার আব্দুল বাতেন বলেন, এ চক্রটির গ্রæপে সুবিধাভোগী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, কোচিং সেন্টারের শিক্ষক ও ছাত্রসহ ২ হাজার সদস্য রয়েছে। প্রথমে তারা পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রশ্নপত্র নিয়ে যাওয়ার সময় মোবাইলে প্রশ্নের ছবি সংগ্রহ করে। পরে সংশ্লিষ্ট শিক্ষকের মাধ্যমে তাৎক্ষণিক সমাধান করে ফেসবুক, ইমু ও হোয়াটস-অ্যাপের মাধ্যমে পরীক্ষার্থীদের কাছে পাঠিয়ে দিতো। এ জন্য তারা পাঁচশ’ থেকে পাঁচ হাজার টাকা পর্যন্ত নিতো। এ ছাড়া প্রশ্নপত্র দেয়ার নামে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে পাবলিক পরীক্ষার পূর্বে ভুয়া প্রশ্নপত্র অনলাইনে পোস্ট করে প্রতারণা করে আসছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোমবার রাতে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল এলাকার সাতরাস্তা থেকে আশুলিয়ার গাজীরচট এএম উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের প্রিন্সিপাল মো. মোজাফ্ফর হোসেনসহ ৪ শিক্ষক, ১ অফিস সহকারী ও ৪ ছাত্রসহ মোট ৯ জনকে গ্রেফতার করে ডিএমপির ডিবি পশ্চিম বিভাগ। অন্যরা হলেন- এএম উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের শিক্ষক মো. আতিকুল ইসলাম, অফিস সহকারী মো. আব্দুল মজিদ, সৃষ্টি স্কুল অ্যান্ড কলেজের গণিত শিক্ষক মো. জাহাঙ্গীর আলম, টঙ্গির কোনিয়া কোচিং সেন্টারের শিক্ষক মো. হামিদুর রহমান ওরফে তুহিন ও সাবেক ছাত্র মো. আরিফ হোসেন আকাশ ওরফে আদুভাই, মো. সাইদুর রহমান, মো. রকিব হোসেন ও তানভীর হোসেন।
গ্রেফতারকৃতদের ব্যবহৃত ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের বিভিন্ন সাইটের অ্যাকাউন্ট হতে জেএসসি/২০১৬ (বাংলা ২য় পত্র, গণিত, ইংরেজি, কৃষি শিক্ষা, চারু ও কারু কলা), এইচএসসি/২০১৬ (উচ্চতর গণিত ১ম পত্র, রসায়ন, জীব বিজ্ঞান) এসএসসি/২০১৭ (বাংলা ২য় পত্র, ইংরেজী ১ম পত্র, ইংরেজি ২য় পত্র, গণিত, পদার্থ) সালের পরীক্ষার বিভিন্ন বিষয়ের ভুয়া প্রশ্নপত্র, পরীক্ষার পূর্বে প্রশ্ন ফাঁসের গুজব সংবলিত স্ক্রিনশট এবং ৯টি বিভিন্ন মডেলের মোবাইল সেট উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।