পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
যশোর থেকে রেবা রহমান : যশোরের মণিরামপুর, কেশবপুর, অভয়নগর ও সদর উপজেলার বিভিন্ন মাঠে এবার বোরো ধানে ব্যাপক আকারে ছত্রাকজনিত ব্লাস্ট রোগের আক্রমণ দেখা দিয়েছে। থোড়মুখী ধান শুকিয়ে যাচ্ছে।
থোড় বের হওয়া ধান হয়ে যাচ্ছে চিটা। জমির ধান নষ্ট হওয়ায় কৃষকরা দিশেহারা হয়ে পড়ছেন। কৃষকের কথা, আগাম ব্যবস্থা নেয়া হলে ক্ষতির পরিমাণ কম হতো। কিন্তু কৃষি বিভাগের মাঠ কর্মকর্তারা এটি নেননি এবং যথাসময়ে মাঠেও নামেননি বলে বিস্তর অভিযোগ রয়েছে। তবে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মাঠ কর্মকর্তারা বলছেন, মাঝে হঠাৎ শীত পড়ার কারণে ধানের পাতায় রোগটি দেখা দেয়। যা ধানের ফলনে প্রভাব পড়তে পারে বলে আশঙ্কা থেকেই কৃষি বিভাগ তৎপরতা শুরু করেছে। প্রতিষেধক স্প্রে করার ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। মণিরামপুর উপজেলা কৃষি অফিসার সুশান্ত কুমার গতকাল মোবাইলে জানান, আমরা খবর পেয়ে মাঠে নেমে পড়েছি। কিছু ক্ষতি তো হচ্ছেই। তবে নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। সুত্র জানায়, যশোর সদর উপজেলার বসুন্দিয়া, মণিরামপুর উপজেলার নেহালপুর, কুলটিয়া, শার্শা উপজেলার বাহাদুরপুর, পুটখালী ও অভয়নগর উপজেলার ভাটপাড়া এলাকায় ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বোরো ধানের। ফলে জেলায় বোরো ধানের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হবে কিনা তাতে যথেষ্ট আশঙ্কার সৃষ্টি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের অভিযোগ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মাঠ কর্মকর্তাদের আগাম সতর্ক কিংবা পরামর্শ পাওয়া যায়নি।
মনিরামপুর উপজেলার ইউনিয়নের কাজিয়াড়া ও আমৃঝুটা বিলের অধিকাংশ জমির থোড়মুখী ধান শুকিয়ে গেছে কিংবা শুকিয়ে যডাওয়ার উপক্রম হয়েছে। মণিরামপুরের সাতগাতি গ্রামের কৃষক আমির হোসেন জানান, তাদের গ্রামের মাঠের সিকি ভাগ জমির ধান বøাস্ট রোগে আক্রান্ত হয়েছে। ওই গ্রামে কৃষি কর্মকর্তাদের এখনো দেখা যায়নি। তাদের সতর্ক করা হয়নি। অবশ্য উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সুশান্ত কুমার তরফদার দাবি করেন, কৃষকদের অনেক আগে থেকেই সতর্ক করা হয়েছিল। তিনি আক্রান্ত জমিতে নাটিভো, ফিলিয়া জাতীয় ছত্রাকনাশক ওষুধ স্প্রে করার পরামর্শ দিয়েছেন। যশোর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালককে দফায় দফায় ফোন করে তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি। অফিস থেকে জানানো হয়েছে তিনি মাঠে আছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।