পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : নিম্ন আদালতের বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলা-সংক্রান্ত শুনানিকালে আপিল বিভাগ রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তাকে উদ্দেশ করে বলেছেন, এটা তো প্রেসিডেন্সিয়াল গভর্নমেন্ট না। প্রেসিডেন্ট কথা কেন বলছেন, ডিপার্টমেন্ট (মন্ত্রণালয়) যেভাবে দেবেন প্রেসিডেন্ট সেভাবে পদক্ষেপ নেবেন।
আর্মি অ্যাক্ট দেখুন, পুলিশ অ্যাক্ট দেখুন না, আইজিপি সব করছে। সব তো প্রেসিডেন্ট নামে হয়। সংসদীয় ব্যবস্থায় আপনি বারবার কেন প্রেসিডেন্টকে টেনে আনছেন? এটা তো পার্লামেন্টারি ডেমোক্রেসি। আপনারা বিচার বিভাগ নিয়ে এটা কী করছেন? গতকাল মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের বেঞ্চ থেকে এ মন্তব্য আসে। নিম্ন আদালতের বিচারকদের শৃঙ্খলাবিধির গেজেট প্রকাশের বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষ কয়েক দফায় সময় নেয়।
এর আগে গত ১৪ মার্চ পর্যন্ত সময় মঞ্জুর করেন আপিল বিভাগ। সে অনুযায়ী গতকাল মামলাটি কার্যতালিকায় আসলে আদালত নতুন করে সময় আবেদন করেন রাষ্ট্রপক্ষ। পরে আপিল বিভাগ শেষ বারের মত এক সপ্তাহ সময় দেন। এ নিয়ে দশম বারের মতো আদালতের কাছ থেকে সময় নিলো রাষ্ট্রপক্ষ। গতকাল গেজেট প্রকাশ করার জন্য অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম আরও চার সপ্তাহের সময় আবেদন করলে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চ ক্ষোভ প্রকাশ করেন। পরে আদালত বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলা-সংক্রান্ত বিধিমালার গেজেট প্রকাশে সরকারকে আরও এক সপ্তাহ সময় দেন। বিধিমালা প্রণয়ন না করায় আইন মন্ত্রণালয়ের দুই সচিবকে গত ১২ ডিসেম্বর তলবও করেছিলেন আপিল বিভাগ।
এর আগে গত বছরের ৭ নভেম্বর বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলা-সংক্রান্ত বিধিমালা ২৪ নভেম্বরের মধ্যে গেজেট আকারে প্রণয়ন করতে সরকারকে নির্দেশ দিয়েছিলেন আপিল বিভাগ।
১৯৯৯ সালের ২ ডিসেম্বর মাসদার হোসেন মামলায় ১২ দফা নির্দেশনা দিয়ে রায় দেয়া হয়। ওই রায়ের আলোকে বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলা-সংক্রান্ত বিধিমালা প্রণয়নের নির্দেশনা ছিল। ১২ দফার মধ্যে ইতোমধ্যে বেশ কয়েক দফা বাস্তবায়ন করেছে সরকার। এজন্য বারবার আদেশ দিতে হয়েছে আপিল বিভাগকে। এমন কী, ২০০৪ সালে আদালত অবমাননার মামলাও করতে হয়েছে বাদীপক্ষকে।
এরপর ২০০৭ সালের ১ নভেম্বর বিগত তত্ত¡াবধায়ক সরকার বিচার বিভাগকে নির্বাহী বিভাগ থেকে পৃথক ঘোষণা করেন। ২০১৫ সালের ১৫ মার্চ আপিল বিভাগ চার সপ্তাহ সময় দেন সরকারকে। এরপর গত বছরের ৭ মে আইন মন্ত্রণালয় থেকে একটি খসড়া শৃঙ্খলাবিধি তৈরি করে সুপ্রিম কোর্টে পাঠায়। কিন্তু তা মাসদার হোসেন মামলার রায়ের আলোকে না হওয়ায় সুপ্রিম কোর্ট কর্তৃপক্ষ একটি কমিটি গঠন করে আলাদা একটি শৃঙ্খলাবিধি তৈরি করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।