পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
কাপাসিয়া উপজেলা সংবাদদাতা : গাজীপুরের কাপাসিয়ায় এক মাদরাসা শিক্ষকের স্ত্রী তার ৩ মাস বয়সী সন্তানকে গলা কেটে হত্যা করেছে। মঙ্গলবার ভোরে উপজেলার তরগাঁও ইউনিয়নের দিগধা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ঘাতক মাকে আটক করেছে পুলিশ। তার নাম শাহীনুর বেগম (২৮)।
তিনি ওই গ্রামের মাওলান্ াশরীফুল ইসলামের স্ত্রী। শরীফকেও আটক করা হয়েছে বলে পুলিশ জানায়। কাপাসিয়া থানার এসআই দুলাল জানান, মঙ্গলবার ভোরে স্ত্রী ও দুই সন্তানকে ঘুমন্ত অবস্থায় রেখে ফজরের নামাজ পড়তে স্থানীয় মসজিদে যান শরীফ। এরপর এক পর্যায়ে শাহিনূর ঘরে থাকা গরু জবাই করা ছুরি দিয়ে ঘুমন্ত তিনমাসের শিশুপুত্র সাবিতকে গলা কাটার সময় শিশুটির কান্নার শব্দ শুনে পাশে শুয়ে থাকা শিশুটির বড়বোন মালিহা (৬) জেগে উঠে। এ সময় রক্তাক্ত ছুরি দেখে কান্না শুরু করলে মালিহাকে হত্যার জন্য তেড়ে যায় মা। এ সময় মালিহা দৌড়ে ঘর থেকে বের হয়ে তার দাদিকে গিয়ে ঘটনাটি জানায়।
পরে তার দাদি ও পরিবারের লোকজন ঘরে গিয়ে শিশু পুত্রটির রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করে। শিশুটিকে হত্যার পর শাহীনুর বেগম নিজেও আত্মহত্যার চেষ্টা করে বলে জানা যায়।
পরে স্বজনরা পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ বাড়ি থেকে শাহীনূরকে আটক করে এবং কাপাসিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হয়। পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য শরীফকে থানায় নিয়ে আসে।
এলাকাবাসী জানান, দিগধা গ্রামের বাসিন্দা সাহিদ মিয়ার পুত্র মাওলানা মো. শরীফুল ইসলাম দিগধা দারুল উলুম সিনিয়র (ডিগ্রি) মাদরাসার ইবতেদায়ি শাখার হেড মৌলভী। তারা আরও বলেন, শাহীনূর পার্শ্ববর্তী উত্তরখামের মজিবুর রহমান মাস্টারের মেয়ে।
মা কর্তৃক নিজ সন্তান হত্যার ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। কেউ কেউ মনে করছেন হয়তো মা শাহীনূর মানসিক রোগী। তাই এমনটি হয়েছে।
কাপাসিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) মো. আবু বকর সিদ্দিক জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
থানায় হত্যা মামলা রুজু হয়েছে। তবে কি কারণে এই বর্বর হত্যাকান্ড ঘটেছে তা উদঘাটন করতে তদন্ত হচ্ছে বলে জানান থানার ওসি মো. আবু বকর সিদ্দিক।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।