পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
উমর ফারুক আলহাদী/ মামুনুর রশীদ মামুন/ আবুল কালাম আজাদ (সিলেট থেকে) : সিলেটের শিববাড়ির ‘আতিয়া মহলে’ টানা পঞ্চম দিনের মতো অভিযান অব্যাহত রেখেছেন সেনাবাহিনীর প্যারা-কমান্ডোরা। ওই এলাকায় এখনও জনসাধারণের প্রবেশ নিষিদ্ধ রয়েছে।
এর মধ্যে আজ দুপুরে বিকট শব্দে আবারও কেঁপে উঠে পুরো এলাকা। জঙ্গি আস্তানা থেকে পরপর চারটি বিকট শব্দ শোনা গেছে। বিস্ফোরণের কারণ সম্পর্কে জানা না গেলেও ধারণা করা হচ্ছে ভবনটিতে জঙ্গিদের পেতে রাখা বোমাগুলো নিষ্ক্রিয় করার সময় এই বিস্ফোরণ ঘটে থাকতে পারে। আতিয়া মহলের পুরো ভবনটা এখনও ঝুঁকিপূর্ণ। বর্তমানে সেখানে পোতে রাখা বোমা ও বিস্ফোরক নিষ্ক্রিয়করণের কাজ করছে সেনাবাহিনীর বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট।
আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টা ৫০ মিনিটে নারীসহ দুই জঙ্গির লাশ ওসমানী হাসপাতালের মর্গে আনা হয়। বেলা ১২টার পর শুরু হয়েছে পোস্টমর্টেম (ময়নাতদন্ত)। লাশ দুটির ময়না তদন্তের এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ডাক্তার শামসুল আলমকে প্রধান করে চার সদস্যের বোর্ড গঠন করা হয়েছে। সিলেট মহানগরীর
কোতোয়ালী থানার ওসি সোহেল আহমদ জানান, ময়নাতদন্ত শেষে জঙ্গিদের লাশ ওসমানী হাসপাতালের লাশঘরে রাখা হবে। তাদের ডিএনএ সংগ্রহ করে টেস্ট করা হবে। পরিচয় সনাক্ত হলে স্বজনদের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হবে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সনাক্ত করা না গেলে আইন অনুযায়ী লাশ দাফনের ব্যবস্থা করবে পুলিশ।
এদিকে, জঙ্গিবিরোধী অভিযানে নিহত চার জঙ্গির মধ্যে একজন মুসা বলে জানিয়েছেন কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের কর্মকর্তারা। তারা জানান, মুসা যে ছবি দিয়ে বাড়ি ভাড়া নিয়েছিলেন, সেই ছবির সঙ্গে পুলিশের কাছে থাকা ছবির মিল দেখে তাঁরা মুসার পরিচয় নিশ্চিত হয়েছেন। পুলিশের মতে, নব্য জেএমবির শীর্ষ নেতা ছিলেন মুসা।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) মধ্যরাতে আতিয়া মহলের নিচতলায় জঙ্গিরা অবস্থান করছে বলে জানতে পারে ঢাকার কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট। শুক্রবার (২৪ মার্চ) সকালে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে বাড়ির ভেতর থেকে গ্রেনেড ছোড়ে জঙ্গিরা তাদের উপস্থিতি জানান দেয়। পরে ঢাকা থেকে পুলিশের বিশেষায়িত ইউনিট সোয়াটকে পাঠানো হয় ঘটনাস্থলে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে সন্ধ্যা থেকে পুরো এলাকা নিয়ন্ত্রণে নেয় সেনাবাহিনীর প্যারা-কমান্ডো দল। পরদিন তারা ওই ভবনের অন্যান্য বাসিন্দাকে নিরাপদে সরিয়ে আনে। ২৫ মার্চ সন্ধ্যায় অভিযান নিয়ে সেনাবাহিনীর সংবাদ সম্মেলন চলাকালে দুই দফা বিস্ফোরণে দুই পুলিশ কর্মকর্তাসহ ছয় জন নিহত হন। আহত হয়েছেন র্যাবের গোয়েন্দা বিভাগের প্রধানসহ অন্তত ৫০ জন।
অভিযানের সর্বশেষ অবস্থান জানাতে বিকাল ৫টায় সংবাদ সম্মেলন করা হবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।