পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রাজশাহী ব্যুরো : মেয়র পদ ফিরে পেতে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের একটি চিঠির অপেক্ষায় রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচিত মেয়র মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল। সর্বোচ্চ আদালতের রায়ও তার পক্ষে গেছে। সরকারের লিভ টু আপিলও খারিজ হয়েছে। এ সংক্রান্ত সব কাগজপত্র মন্ত্রণালয়, বিভাগীয় প্রশাসন, জেলা প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে এসছে। মন্ত্রণালয় যে চিঠি দিয়ে তাকে বরখাস্ত করেছিল এখন তার বদলে আদালতের নির্দেশে নতুন প্রজ্ঞাপন জারি করে তাকে ফের নগর পিতার আসনে বসানো। কিন্তু রহস্যজনক কারণে আদালতের নির্দেশ থাকা সত্বেও প্রজ্ঞাপন জারিতে গড়িমসি করা হচ্ছে।
রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়ে মেয়র হন মো. মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল। বিএনপি সমর্থক হওয়ায় নির্বাচনে বিজয় লাভ করার পরও তার জন্য সুখকর হয়নি মেয়রের আসনটি। এর আগের মেয়ররা প্রতিমন্ত্রীর মর্যাদা ভোগ করলেও তার বেলায় সেটিও আর হয়নি। তার দায়িত্ব গ্রহণের দিনটাতেও ছিলনা বড় কর্তাদের উপস্থিতি। প্রতিমন্ত্রীর মর্যাদা না দেবার প্রতিবাদে কর্পোরেশনের গাড়ি ব্যবহার থেকে বিরত থাকেন। দায়িত্ব গ্রহণের মাত্র বারো মাস চেয়ারে বসতে পেরেছেন। এরপর ২০১৫ সালের বিএনপির হরতাল অবরোধ আন্দোলনের ১৭টি মামলায় তাকে আসামী করা হয়। এর মধ্যে পুলিশ হত্যা মামলাও রযেছে। এসব মামলার কারণে ২০১৫ সালের ৭মে স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয় তাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করে। কারাগারেও যেতে হয়। নিয়মমাফিক প্যানেল মেয়ররা দায়িত্ব পাবার কথা থাকলেও মামলার জালে পড়ে তারাও দায়িত্ব নিতে পারেননি। অবশেষে ২১ নম্বর ওর্য়াড কাউন্সিলর মো. নিযাম-উল-আযীমকে দায়িত্বপ্রাপ্ত মেয়র হিসেবে দায়িত্ব দেয় মন্ত্রণালয়। এখন পর্যন্ত তিনিই দায়িত্ব পালন করছেন। তার কথা হলো মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছি, মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা পেলে দায়িত্ব থেকে সরে যাবো।
এদিকে আইনি লড়াই শেষে দেড় মাস আগে সর্বোচ্চ আদালত বুলবুলকে সপদে বহালের রায় দিয়েছে। গত ৫ মার্চ প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ সরকারের দাখিল করা এ সংক্রান্ত লিভ টু আপিল খারিজ করে দিয়েছেন। ফলে মেয়র পদে ফিরতে বুলবুলের আর কোন বাধা নেই। আদালতের নির্দেশনা মেনে এখন প্রয়োজন মন্ত্রনালয়ের বরখাস্তের আদেশ বাতিলের প্রজ্ঞাপন জারির। যে কোন মুহূর্তেই চিঠি আসতে পারে এমন অপেক্ষার প্রহন গুনছেন মেয়র মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল ও তার শুভাকাক্সিক্ষরা।
মেয়র মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল বলেন, নগরবাসী আমাকে বিপুল ভোটে নির্বাচিত করলেও রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে। আইনি লড়াই চালিয়ে জয়ী হয়েছি। এ বিজয় নগরবাসীর ভালোবাসার। দায়িত্ব পেলে যে সময়টুকু পাব নগরবাসীর কল্যাণে কাজ করে যাব। জেল জুলুমের ভয় আর করি না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।