Inqilab Logo

মঙ্গলবার ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯ আশ্বিন ১৪৩১, ২০ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

২৫ মার্চকে গণহত্যা দিবস ঘোষণা শুধু বাংলাদেশের জন্য নয় ভারতের জন্যও খুবই গুরুত্ববহ

শেখ হাসিনা পাবেন অনন্য সম্মান -শ্রিংলা

| প্রকাশের সময় : ২৮ মার্চ, ২০১৭, ১২:০০ এএম


স্টাফ রিপোর্টার : শেখ হাসিনা বাংলাদেশের প্রথম কোনো প্রধানমন্ত্রী যিনি ভারতের রাষ্ট্রপতি ভবনে আতিথেয়তা নিতে যাচ্ছেন।
এ কথা বলে ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাই কমিশনার হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা জানিয়েছেন, এই সফরে শেখ হাসিনা পাবেন অনন্য সম্মান। তিনি বলেন, সম্মান একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। একে অপরের জন্য সম্মান দেখাবে এটাই বন্ধুত্বের সম্পর্কের অন্যতম দিক। গতকাল সোমবার বিকেলে রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার ইস্ট-ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রæপের কনফারেন্স রুমে এক মতবিনিময় সভায় প্রধানমন্ত্রীর আসন্ন ভারত সফর নিয়ে আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। বসুন্ধরা গ্রæপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান, ঢাকাস্থ ভারতীয় হাইকমিশনের কাউন্সিলর অরুন্ধতী দাশ, ফার্স্ট সেক্রেটারি (পলিটিক্যাল) রাজেশ উইকে ও অ্যাটাশে (প্রেস) রঞ্জন মন্ডলসহ ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রæপের সংবাদ মাধ্যমগুলোর সংবাদকর্মীরাও উপস্থিত ছিলেন এ আলোচনা সভায়।
হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্ককে একটিমাত্র মানদÐে মাপা ঠিক হবে না। আমাদের দ্ইু দেশের সম্পর্ক ঐতিহাসিক ও সভ্যতাভিত্তিক। সংস্কৃতি ও ভাষার মিলের সঙ্গে এ সম্পর্ক ওৎপ্রোতভাবে জড়িত। কিন্তু সব কিছুকে ছাপিয়ে সবচেয়ে বড় কথা হলো আমাদের পারস্পরিক বন্ধুত্ব। ২৫ মার্চকে বাংলাদেশ গণহত্যা দিবস হিসেবে ঘোষণা করেছে। এটা শুধু বাংলাদেশের জন্য নয়, ভারতের জন্যও খুবই গুরুত্ববহ।
তিনি বলেন, সাধারণত কোনো রাষ্ট্র বা সরকার প্রধান ভারত সফরে গেলে হোটেলে অবস্থান করেন। শেখ হাসিনাকে দেয়া হচ্ছে বিরল সম্মান। তিনি থাকবেন রাষ্ট্রপতি ভবনে। দুই দেশের মধ্যে বন্ধুত্বের অর্থ হলো পরস্পরকে সম্মান করা। দুই দেশের মানুষের সম্পর্কে মূলমন্ত্র কী হবে তাও এই পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও সহমর্মিতা। ভারতের জনগণ কখনোই বাংলাদেশেকে আইসোলেট করে, পাশ কাটিয়ে এগিয়ে যেতে চায় না। আমাদের অর্থনৈতিক উন্নয়ন পরস্পরের উন্নয়নের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত।
উদাহরণ টেনে শ্রিংলা বলেন, উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলো যেমন বাংলাদেশের পণ্য নিয়ে থাকে তেমনি বাংলাদেশ ভারতীয় পণ্য নিয়ে থাকে। এভাবেই তো বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি ৭ শতাংশের কাছাকাছি চলে গেছে। বাংলাদেশ যে পরিমাণ পণ্য ভারত থেকে আমদানি করে থাকে, তার ৪০ শতাংশই তুলা জাতীয়। আবার বাংলাদেশ এই তুলা থেকে পণ্য তৈরি করে তা বিদেশে রফতানি করে।
হাইকমিশনার শ্রিংলা দুই দেশের মধ্যে বিরাজমান বাণিজ্য বৈষম্য কমিয়ে আনার উপায় হিসেবে বসুন্ধরাসহ বাংলাদেশের বৃহৎ ব্যবসায়ী গ্রæপগুলোকে ভারতে বিনিয়োগের পরামর্শ দেন।
হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা আরও বলেন, আমাকে অনেকে প্রশ্ন করে থাকেন, বাংলাদেশে থাকার সময় আপনার ঘরের কথা মনে পড়ে না? উত্তরে আমি বলি, বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের বাংলাবান্ধা সীমান্ত থেকে মাত্র কিছু দূরেই দার্জিলিং-এ আমার বাড়ি। আমরা যখন পাহাড় থেকে নেমে আসতাম তখন জানতাম সামনের ওই সমতল ভূমিটাই বাংলাদেশ। তাই বাংলাদেশে যখন আমি থাকি তখন মনে হয় নিজের বাড়িতেই আছি।
তিনি বলেন, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ভারতের অবদানের কথায় আপনারা যে আবেগপ্রবণ হয়ে ওঠেন সেটাকে আমরা মূল্য দেই।
ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক উন্নয়নে ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রæপের সংবাদ মাধ্যমগুলোর ভূমিকার প্রশংসা করেন ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাই কমিশনার। তিনি বলেন, আমি বাংলাদেশে আসার আগে থেকেই বসুন্ধরা গ্রæপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহানকে চিনি। বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক নিয়ে সঠিক ও আকর্ষণীয় খবর দিচ্ছে এই গ্রæপের সংবাদমাধ্যমগুলো।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ