পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : সুপ্রিম কোর্টের সামনে গ্রিক দেবীমূর্তি প্রতীক ইতিহাসের আলোকে এক আল্লাহ বিশ্বাসীদের নৃশংস হত্যাকাÐে উল্লাসের ইতিহাস। হক্বানী ত্বরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান কাজী আহমদুর রহমান ‘দ্য কনভারসেশন. কম’ এবং ‘উইকিপিডিয়া. অর্গ’ এর বরাতে এই কথা বলেছেন।
গতকাল প্রদত্ত বিবৃতিতে তিনি বলেন, স¤প্রতি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সামনে রোমান প্যাগানদের (মূর্তিপূজক) বিচার ব্যবস্থার প্রতীক গ্রিক দেবী জাস্টিসিয়ার (গ্রিক দেবী থেমিস) মূর্তি স্থাপন করা হয়েছে। হঠাৎ করে বাংলাদেশে এ ধরনের একটি মূর্তি স্থাপন বিচারব্যবস্থায় বিশেষ কোনো চক্রান্তের ইঙ্গিত বহন করে। ইতিহাস বলে- রোমান প্যাগানদের (মূর্তিপূজক) বিচারব্যবস্থায় কেউ যদি একেশ্বরবাদী ধর্ম (ঐ সময় ঈসা নবী ইঞ্জিল গ্রন্থ নিয়ে ধর্মপ্রচার করতেন) গ্রহণ করত কিংবা প্রচার করত তবে তাকে বা তাদেরকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হতো। ঐতিহাসিক গ্রন্থ সমূহ থেকে, অনলাইন এর নির্ভরযোগ্য ওয়েবসাইট সমূহে লিংক- (দ্য কনভার্সেশন.কম),যঃঃঢ়://ঃযবপড়হাবৎংধঃরড়হ.পড়স/সুঃযনঁংঃরহম-ধহপরবহঃ-ৎড়সব-ঃযৎড়রিহম-পযৎরংঃরধহং-ঃড়-ঃযব-ষরড়হং-৬৭৩৬৫], (উইকিপিডিয়া.অর্গ) [যঃঃঢ়ং://বহ.রিশরঢ়বফরধ.ড়ৎম/রিশর/অহঃর-ঈযৎরংঃরধহথঢ়ড়ষরপরবংথরহথঃযবথজড়সধহথঊসঢ়রৎব ]
ওই সময়কার ইতিহাসের কিছু অংশ বর্ণনা এবং লিপিবদ্ধ করা হয়েছে। বর্ণনায় আছে ঐ সময় কেউ এক আল্লাহ বিশ্বাসীদের ধর্ম প্রচার করলে তাকে হিংস্র পশু দিয়ে খাওয়াতো ক্ষমতাসীন রোমান প্যাগানরা (মূর্তিপূজক)। শুধু তাই নয়, ক্ষমতাসীন মূর্তিপূজক প্যাগানদের (মূর্তিপূজক) বিনোদন ছিল এক আল্লাহ বিশ্বাসীদের হত্যার দৃশ্য অবলোকন করে উল্লাস করা। সেই প্রেক্ষাপটে বর্তমানে রোমান মূর্তিপূজকদের স্থানে এসেছে উগ্র হিন্দু মৌলবাদীরা, আর একেশ্বরবাদী ধর্মাবলম্বীদের স্থানে আছে মুসলমানরা। তাহলে কি, বাংলাদেশে রিসালতে (এক আল্লাহতে বিশ্বাসী) মুসলমানদের রোমান জামানার মতোই হত্যা করে উল্লাস প্রকাশ করার চক্রান্ত শুরু করা হয়েছে? আর এ চক্রান্ত হিসেবেই কী ডগ্রকদেবীর মূর্তি বসানো হলো?
সুপ্রিম কোর্টের সামনে রোমান প্যাগানদের দেবী মূর্তি এ ধারণাই দিচ্ছে যে এখন থেকে বিচারব্যবস্থা মূর্তিপূজকদের হাতে থাকবে, আর বাংলাদেশের মুসলমানরা কেউ ইসলামের কথা বললেই তার উপর নির্যাতনের খড়গ নামানো হবে এবং তাকে বা তাদেরকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হবে সেই রোমানদের কায়দায়। বাংলাদেশের মুসলমানদেরকে এই বিষয়টি গভীরভাবে চিন্তায় আনতে হবে। আর দেবীমূর্তি অপসারণের বিষয়ে তাদেরকে আরো শক্ত ভূমিকা রেখে ঈমান রক্ষার জিহাদে নামতে হবে সকল প্রতিরোধের মুখেও।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।