পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বিভিন্ন ইসলামী দল গতকাল পৃথক পৃথক আলোচনা অনুষ্ঠান করেছে। আলোচনায় নেতৃবৃন্দ বলেছেন, স্বাধীনতা অর্জিত হলেও বৃহৎ শক্তির আজ্ঞাবহ হয়ে দেশ চালানো হচ্ছে। তারা বলেন, স্বাধীনতা যুদ্ধে ওলামায়ে কেরামের ভূমিকা জাতির সামনে তুলে ধরতে হবে।
খেলাফত আন্দোলন
বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের আমীর মাওলানা শাহ আতাউল্লাহ বলেছেন, দেশের স্বাধীনতার সঠিক ইতিহাস সম্পর্কে জাতিকে অবগত করতে হবে। স্বাধীনতা যুদ্ধে ওলামায়ে কেরামের যে ভূমিকা ছিল তা জাতির কাছে তুলে ধরতে হবে। প্রকৃত ইতিহাস আড়াল করে ওলামায়ে কেরামকে ঢালাওভাবে স্বাধীনতাবিরোধী বানানোর অপচেষ্টা চলছে। স্বাধীনতা যুদ্ধে অবদান রেখেছেন মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী, হযরত হাফেজ্জী হুজুর রহ. ও মাওলানা আব্দুর রশিদ তর্কবাগীসসহ অসংখ্য ওলামায়ে কেরাম। ঢালাওভাবে ওলামায়ে কেরামদের স্বাধীনতা বিরোধী আখ্যা দেয়া পাগলের প্রলাপ।
গতকাল বিকেলে রাজধানীর জামিয়া নুরিয়া ইসলামিয়া কামরাঙ্গীরচর মাদরাসায় বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে সভাপতির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। এতে অন্যান্যের মধ্যে আরো বক্তব্য রাখেন দলের নায়েবে আমীর মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী, মাওলানা সাজেদুর রহমান, প্রচার সম্পাদক মাওলানা সুলতান মুহিউদ্দিন, দফতর সম্পাদক মাওলানা সানাউল্লাহ, মুফতী ফখরুল ইসলাম, মুফতী ইলয়াছ প্রমুখ।
ইসলামী ঐক্য আন্দোলন
ইসলামী ঐক্য আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ বলেছেন, ৪৬ বছরেও আমরা প্রকৃত স্বাধীনতা লাভ করতে পারিনি। পাকিস্তানের ভয়াবহ দুঃশাসন থেকে মুক্তি পেলেও ভারতের আজ্ঞাবহ হয়ে দেশ চালিয়ে আসছেন আমাদের শাসকরা। নেতৃবৃন্দ বলেন, ক্ষমতার পালা বদল হলেও দালালরা পালা বদল হয় না। কেউ ক্ষমতায় থাকার জন্য কেউ আসার জন্য ভারত অথবা পদলেহনে ব্যস্ত থাকে। দেশের স্বার্থ বিকিয়ে দিয়ে নিজের আখের গোছানো যাদের মূল লক্ষ্য থাকে তারা কখনও স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি নয়, গোটা জাতিকে গোলাম বানিয়ে লুটেপুটে খেতে চায়। তারা বলেন, সকল তাঁবেদারীর জিঞ্জির ভেঙে কেবল আল্লাহর গোলামী করলেই স্বাধীনভাবে জীবন-যাপন করা যাবে।
গতকাল বিকেলে ইসলামী ঐক্য আন্দোলন ঢাকা মহানগরীর উদ্যোগে স্বাধীনতা দিবসে আলোচনায় নেতৃবৃন্দ এসব কথা বলেন, সংগঠনের পুরানা পল্টস্থ কেন্দ্রীয় কার্যালয় মিলনায়তনে মহানগরী আমির মোস্তফা বশীরুল হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, আন্দোলনের কেন্দ্রীয় জয়েন্ট সেক্রেটারি অধ্যাপক মোস্তফা তারেকুল হাসান, সাংগঠনিক সম্পাদক ডা সাখাওয়াত হুসাইন, অফিস সম্পাদক মাওলানা আবুবকর সিদ্দিক, মহানগরী প্রচার সম্পাদক এড. ওমর ফারুক সজিব, পল্টন থানা শাখার সাধারণ সম্পাদক হাফেজ মাওলানা শহীদুল ইসলাম, তালাবার প্রধান সম্পাদক মুহাম্মদ আবদুর রহমান প্রমুখ।
বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস
বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের যুগ্ম-মহাসচিব মাওলানা জালালদ্দীন আহমদ বলেছেন, স্বাধীনতা যুদ্ধ ছিল জালিমের বিরুদ্ধে মজলুমের লড়াই। ইসলাম জালিমের বিরুদ্ধে লড়াই করার নির্দেশ দিয়েছে। অনেক আলেম স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করেছিল। মুক্তিযুদ্ধে আলেম-উলামার অবদানকে অস্বীকার করার কোনো সুযোগ নেই। স্বাধীনতার যুদ্ধকে ইসলামের বিপক্ষে দাঁড় করানোর জন্য একটি কুচক্রীমহল ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। এসব ষড়যন্ত্র বাংলার জমিনে কোনো দিন বাস্তবায়ন করতে দেয়া হবে না। তিনি আরো বলেন, স্বাধীনতা অর্জিত হলে ও প্রকৃতপক্ষে আমরা স্বাধীনতার সুফল পাচ্ছি না। প্রকৃত স্বাধীনতা পেতে হলে মানুষের মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। আর এটা একমাত্র কুরআনের শাসন ব্যবস্থা দ্বারাই সম্ভব। গতকাল বিকেলে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস ঢাকা মহানগরীর স্বাধীনতা দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মহানগর সভাপতি মাওলানা এনামুল হক মূসার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মাওলানা রুহুল আমীনের পরিচালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা কোরবান আলী, অফিস ও বায়তুলমাল সম্পাদক মাওলানা আজিজুর রহমান হেলাল, সহ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মাওলানা হারুনুর রশীদ ভূইয়া, মহানগর সহ-সভাপতি মাওলানা কারামাত আলী, সহ-সাধারণ সম্পাদক মাওলানা ছানা উল্লাহ, মাওলানা আতিক উল্লাহ, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা কামালুদ্দীন ফারুকী, ছাত্র মজলিসের সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ রহমত আলী প্রমুখ
ইশা ছাত্র আন্দোলন
পাকিস্তানিরা বাংলাদেশীদের ওপর অর্থনৈতিক, সামাজিক ও রাজনৈতিকভাবে বৈষম্য, জুলুম ও নির্যাতন করার কারণেই ৭১-এ বাংলার আবাল, বৃদ্ধা-বণিতা ও যুব সমাজ ফুঁসে উঠেছিল। মানবতাকে জুলুমের হাত থেকে রক্ষা করতেই মুক্তিসেনারা জীবন উৎসর্গ করেছিলেন। এসকল নব্য জুলুম থেকে জাতিকে মুক্ত করতে আজ ছাত্র-জনতার ঐক্যবদ্ধ হওয়া প্রয়োজন।
ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন-এর কেন্দ্রীয় সভাপতি জি.এম. রুহুল আমীন-এর সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি জেনারেল শেখ মুহাম্মাদ সাইফুল ইসলাম-এর সঞ্চালনায় আয়োজিত আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে কেন্দ্রীয় সভাপতি উপরোক্ত কথা বলেন।
আলোচনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন-এর কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি শাইখ ফজলুল করীম মারুফ, জয়েন্ট সেক্রেটারি জেনারেল মুহা. হাছিবুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক এস.এম এমদাদুল্লাহ ফাহাদ, প্রশিক্ষণ সম্পাদক নোমান আহমাদ প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।