Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

দামুড়হুদায় ১৩ যাত্রীর মর্মান্তিক মৃত্যু, আহত ১০

সড়কে মুখোমুখি সংঘর্ষে

| প্রকাশের সময় : ২৭ মার্চ, ২০১৭, ১২:০০ এএম

দামুড়হুদা (চুয়াডাঙ্গা) উপজেলা সংবাদদাতা : চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার জয়রামপুর স্কুল বটতলা নামক স্থানে বালি বোঝাই ট্রাক ও আলমসাধুর মুখোমুখি সংঘর্ষে আলমসাধুর ১৩ জন যাত্রী নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে ১০ জন। আহতদের উদ্ধার করে দামুড়হুদা ও চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গতকাল রোববার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী, পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস সূত্র জানায়, দামুড়হুদা উপজেলার দর্শনা থেকে একটি আলমসাধু (স্যালো ইঞ্জিন চালিত অবৈধ যান) যোগে ২৩ জন শ্রমিক চুয়াডাঙ্গার দিকে যাচ্ছিল। যাত্রী বোঝাই আলম সাধুটি দর্শনা-চুয়াডাঙ্গা সড়কের জয়রামপুর স্কুল বটতলা নামক স্থানে পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে দ্রæতগতিতে আসা একটি বালুভর্তি ট্রাক (চুয়াডাঙ্গা-ট-১১-০৫৮৮) এর সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই নিহত হয় আলমসাধুর ৮ জন যাত্রী ও চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেয়ার পথে আহত যাত্রীদের মধ্যে আরো ৫ জন মারা যায়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা স্থানীয়দের সহায়তায় নিহত ও আহতদের উদ্ধার করে দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে পাঠায়। নিহতরা হলেন, দামুড়হুদা উপজেলার বড়বলদিয়া গ্রামের গোলাম রহমানের ছেলে ইজ্জত আলী (৪৫), রমজান আলীর ছেলে রফিকুল ইসলাম (৪২), লিয়াকত আলীর ছেলে শাহিন (২০), গাজীর ছেলে শান্ত (১৯), ঠান্ডু মড়লের ছেলে বিল্লাল হোসেন (৪৭), হাসা পালের ছেলে আব্দার আলী পাল (৩৫), ফকির চাঁদ মন্ডলের ছেলে লাল চাঁদ (৩০), খোদা বক্সের ছেলে জজ মিয়া (৩২), ঘেতা খাঁ ওরফে কিতাব আলীর ছেলে নজীর আহম্মদ (৫৬), ফরজ আলীর ছেলে কটা মিয়া (২৬), ইন্নাল মিয়ার ছেলে আব ুবকর (৫০), বাবুল মিয়ার ছেলে হাফিজুল ইসলাম (৩২), ভুলা মন্ডলের ছেলে বিল্লাল হোসেন (৩৭)।
আহতরা হলেন, একই গ্রামের অব্দুল জলিলের ছেলে আতিকুল ইসলাম (৩৫), নাসির উদ্দিনের ছেলে কালু (১৫), শফিউদ্দিন (১৮), সুলতান পুর গ্রামের আব্বাস আলীর ছেলে শফিউদ্দিন (৩৬), লুৎফর রহমানের ছেলে গাজী (৩৫), আব্দুল জলিলের ছেলে আতিকুল (৩৫), আনোয়ার হোসেনের ছেলে মজিবর রহমান (৩৭), মিনাজ উদ্দিনের ছেলে আলী হোসেন (৩৭), আশু ঘরামীর ছেলে নুর ইসলাম (৩৬), কিতাব আলীর ছেলে সোহরাব হোসেন (৩৮)। আহতদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কজনক হওয়ায় তাদেরকে ঢাকায় প্রেরণ করা হয়েছে। দুর্ঘটনার পরপরই চালক ঘটনাস্থলে ট্রাকটি ফেলে পালিয়ে যায়। পুলিশ ট্রাকটি উদ্ধার করে থানা হেফাজতে নিয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ১৯ জানুয়ারি এ সড়কের নানা অনিয়ম নিয়ে দৈনিক ইনকিলাব পত্রিকায় ‘চুয়াডাঙ্গা-দর্শনার ১৮ কিলোমিটার সড়ক এখন মরণফাঁদ’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন ছাপা হলেও অনিয়ম দূর করতে সংশ্লিষ্টদের পক্ষ থেকে কোনো পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি। ফলে থামছে না এ সড়কে সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুর মিছিল।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ