Inqilab Logo

শনিবার ০২ নভেম্বর ২০২৪, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ২৯ রবিউস সানী ১৪৪৬ হিজরি

দু’দেশের সম্পর্ক নতুন যুগে প্রবেশের আশাবাদ

৪৭তম স্বাধীনতা দিবসে বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী সমিতির আলোচনা সভা

| প্রকাশের সময় : ২৬ মার্চ, ২০১৭, ১:২২ এএম


কূটনৈতিক সংবাদদাতা : বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে আঞ্চলিক ইন্ট্রিগেশন ও কানেকটিভিটি শক্তিশালী করে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু। শিল্পমন্ত্রী গত ২৫ মার্চ রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমীর ন্যাশনাল থিয়েটার হলে বাংলাদেশ-ভারতের ৪৭ বছরের বন্ধুত্ব শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ গুরুত্বারোপ করেন। ৪৭তম মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী সমিতি এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. এ কে আজাদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ঢাকাস্থ ভারতীয় হাইকমিশনের কাউন্সেলর অরুন্ধতী দাস ও মৈত্রী সমিতির সাধারণ সম্পাদক সুবীর কুশারী বক্তব্য রাখেন। বঙ্গভবনে একটি অনুষ্ঠানে অংশ নেয়ায় হাইকমিশনার হর্ষ বর্ধন শ্রীংলা অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকতে পারেননি।
শিল্পমন্ত্রী বলেন, আজ গণহত্যা দিবস। বিশ্ববাসীর সামনে পাকিস্তানীদের বর্বর ইতিহাস তুলে ধরতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার কাজ করছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ইতোমধ্যে বাংলাদেশ সহস্রাব্দের উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ভারত থেকেও কোনো কোনো সূচকে এগিয়ে ছিল। এখন এসডিজি অর্জনে ভারতের সাথে সহযোগিতার সম্পর্কের মাধ্যমে দুদেশ এগিয়ে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ভারতের সাথে সীমান্ত সমস্যাসহ বিরাজমান সব সমস্যার সমাধান হচ্ছে। তিস্তার সমাধানও হবে। আমাদের এখন কানেক্টিভিটি বাড়াতে হবে। ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে স্থানীয়ভাবে নানা কর আরোপ করে আমাদের পণ্য প্রবেশে বাধা দেয়ার চেষ্টা করা হয় বলে ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করেন। এ বিষয়টি ভারত সমাধান করবে বলে আমি আশাবাদী।
ভারতের সাথে বন্ধুত্ব নিয়ে আমু বলেন, ভারতের সব দল ঐক্যবদ্ধভাবে ৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে আমাদের সহায়তা করে এবং এক কোটি বাঙালীকে আশ্রয় দেয়। মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে ভারতীয় সেনারাও জীবন দেয়। এটা ভুলার নয়। আমরা তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ।
ভারতীয়দের বিনিয়োগের আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, মাঝারী ও ভারী শিল্পে আমরা ভারতের বিনিয়োগ চাই। দুদেশের মধ্যে বিদ্যমান ঐতিহাসিক সম্পর্কের ভিত্তিতে দ্বিপাক্ষিক ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির মাধ্যমে টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সম্ভব বলে তিনি মন্তব্য করেন।
অরুন্ধতী দাস তার বক্তব্যে বলেন, সারা বিশ্বের মানুষ আজকের গণহত্যা দিবসে বাঙালীর সাথে শোকাভিভূত। বাংলাদেশের স্বাধীনতায় সহায়তা করতে পেরে আমরা গর্বিত। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আসন্ন ভারত সফরের মধ্য দিয়ে দুদেশের সম্পর্ক নতুন যুগে প্রবেশ করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। এ অঞ্চলে শান্তি ও নিরাপত্তাই ভবিষ্যৎ অর্থনীতির মূল ভিত্তি বলে জানান তিনি।
দু’দেশের জাতীয় সঙ্গীত গেয়ে অনুষ্ঠানের শুরু হয়। এরপর মঙ্গল প্রদীপ জ্বালানো হয়। আলোচনা অনুষ্ঠানের পর মহাকবি কালিদাসের নৃত্যনাট্য শকুন্তলা পরিবেশন করা হয়।





 

Show all comments
  • zak ২৬ মার্চ, ২০১৭, ২:২৩ এএম says : 0
    Bangladeshi do appreciate the help India has provided which during our independence war with Pakistan. Which will be remembered by the nation for a day's to come. Also the Indian's need to remember and appreciate that Bangali's have huge contribution to achieve their Independence from the British. Personally I have never seeing the Indian's to acknowledge or remember anything like this yet. I do want good relationship with all of our neighbouring countrys. We are Muslims and our core value is showing gratitude to our neighbours, we should ensure they are safe and secure while living with us side by side. We should respect them and they should do the same. Our politicians need to be more matured when they are on the driving sit and they managing our daily affaires. Making wrong decision has long time consequences for our nation. Some of them seem to me behave like a jokers or film corrector, they have no academic knowledge of the politics because of that as a nation we are paying huge price for that. I would request the government please open an institution where those people are interested in politics they can go and get the education, before they become politicians. My humble request to our politicians, please don't let our country down any more because of your personnel gain and lack of your political knowledge. If you can't consider that then please step a side and let us find the right people for the job.
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ