Inqilab Logo

বুধবার, ২৬ জুন ২০২৪, ১২ আষাঢ় ১৪৩১, ১৯ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

যোগী আদিত্যনাথ ও রামদেব বিজেপির নয়া উন্নয়ন মডেল

| প্রকাশের সময় : ২৬ মার্চ, ২০১৭, ১২:০০ এএম

শিব বিশ্বনাথন, স্ক্রল.ইন : যোগী আদিত্যনাথ উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী নিযুক্ত হয়েছেন- প্রাথমিকভাবে এ খবরটি প্রচারিত হওয়ার পর লক্ষেী শহরে কলরোল শুরু হয়েছিল, কারণ এ ছিল এক ঐতিহাসিক ঘটনা। মুহূর্তের মধ্যেই তা সর্বত্র আলোচনার বিষয়ে পরিণত হয়। অনেকের জন্য এটা ছিল এক আঘাত, আমরা এর যুক্তি ও অনিবার্যতা অনুভব করলাম। তার বিরুদ্ধে প্রচন্ড সমালোচনা শুরু হল, হতাশ কেউ কেউ তার মধ্যে স্থানীয় ট্রাম্পের অস্তিত্ব আবিষ্কার করলেন। তারা যুক্তি খুঁজলেন যে ট্রাম্প যদি প্লেবয় হয়ে থাকেন তাহলে আদিত্য একজন যোগী। উভয়েই শক্তি প্রয়োগ করতে চান, যা দীর্ঘদিন ধরেই তাদের সমাজে গোপনে থাকে।
সঙ্কেত ও লক্ষণ : কিন্তু একবার যদি আমরা উপরের আবরণের বাইরে যাই এবং স্পষ্ট সাদৃশ্যের প্রতি দৃষ্টি দেয়া বন্ধ করি, তাহলে আদিত্যনাথকে আলোচনার অংশ হিসেবে দেখা যাবে। তিনি একটি সমাজের সংকেত ও লক্ষণ, ভারতীয় জনতা পার্টির  (বিজেপি) শাসন বিষয়ে আলোচনার অংশ যা অবশ্যই পাঠ ও ব্যাখ্যা করতে হবে।
আর এক বন্ধু আমার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন যে রাজনীতিকরা যখন ধর্মীয় ব্যক্তি ও জ্যোতিষীদের ঘনিষ্ঠ হয় তখন গুরু, স্বামীদের প্রতি ভক্তি সম্পন্ন বিজেপি তাদের শুধু পরামর্শ হিসেবে চাইবে না, প্রশাসনেরও অংশ করতে চাইবে। আমরা স্বামী নারায়ণ আন্দোলনের প্রতি মোদির ভক্তি এবং শ্রী শ্রী রবিশংকর ও সদগুরু যজ্ঞি বাসুদেবের প্রতি তার স্বীকৃতি থেকে এটা অনুধাবন করতে পারি। তারা মনে করেন, তারা তার শাসনকে বৈধতা দিচ্ছেন। কিন্তু ইউপিতে বিজেপি প্রশাসনের কেন্দ্রীয় ব্যক্তি হিসেবে যোগী আদিত্যনাথের নিয়োগ ভিন্ন ধরনের প্রশ্ন সৃষ্টি করেছে। আমাদের জিজ্ঞেস করতে হবে বিজেপি’র জন্য ধর্ম ও শাসনের মধ্যে বা সংস্কৃতি ও উন্নয়নের মধ্যে সম্পর্ক কি।
এর জবাব দিতে হল আমাদেরকে স্বামী বিবেকানন্দের প্রতি মোদির ভক্তির কথা স্মরণ করতে হবে। ধর্মের ব্যাপারে এ যোগী সন্ন্যাসীর কথাবার্তা কোনো অরণ্য আশ্রমবাসীর মত নয়, বরং তা এ জটিল পৃথিবীর গৃহীর মতই। রামকৃষ্ণ মিশন হচ্ছে জাগতিক, তারা বিশে^ পরিবর্তন আনতে চায়। মঠ হচ্ছে আসলে প্রায় পুরোটাই খ্রিস্টিয় আদলের, তাদের রয়েছে যোগ্যতা। রামকৃষ্ণ মিশনের মঠগুলো বিপর্যয়কালীন সেবাকর্মের জন্য সেরা, আর বাংলার দুর্ভিক্ষ ও অন্যান্য বিপর্যয় মোকাবেলায় মিশনের ভূমিকা কিংবদন্তিতুল্য।  
মোদির জন্য ক্যাডার হিসেবে শাখা এবং ধর্মীয় সংস্থা হিসেবে মঠ হচ্ছে বিজেপি কৌশলের দু’টি সুস্পষ্ট অংশ। আমরা গুজরাটে হাজার হাজার স্কুল গ্রহণের ভিতর দিয়ে শিক্ষাক্ষেত্রে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ ও স্বামী নারায়ণের মধ্যে এ সহযোগিতা দেখেছি। পরিবর্তন আনার উদ্দেশ্যে মঠ ও শাখা হচ্ছে  সাংগঠনিক ও আদর্শিক সত্তা। আমাদের জিজ্ঞেস করতে হবে যে এ সব উদ্যোগের পিছনে মনোভাব ও মানসিকতা কী?
সুস্পষ্ট দারিদ্র্য
একটি সুস্পষ্ট ধারণা রয়েছে যে কোনো পরিবর্তনের ক্ষেত্রে আধ্যাত্মিক জ্ঞান কাজ করে। প্রথম ও স্পষ্ট কথা যে সন্ন্যাস হচ্ছে ব্যক্তিগত সততার ন্যূনতম নিশ্চয়তা। সাধারণত একজন যোগী বা সাধু আর্থিক সততার পরিচয় বহন করেন। এমন এক প্রতিবেশে যেখানে দুর্নীতি শাসনকে কলুষিত করে সেখানে তাদের উপস্থিতিকে অনেকে সংস্কার পদক্ষেপ বলে মনে করতে পারেন। এ ধরনের লোকের ‘দুর্নীতিমুক্ত স্বভাব তাদের ব্র্যান্ড স্বীকৃতির অংশ’ বিজেপি’র জন্য তাদের বিশ^াসযোগ্যতা। তা সত্তে¡ও আমরা শব্দার্থিক এক্তিয়ার সংকীর্ণ হয়ে আসা অনুভব করছি। দুর্নীতিকে এখানে সংকীর্ণ অর্থে চিত্রিত করা হয়েছে, অর্থ ও যৌনতার ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত নিয়ন্ত্রণের পর্যায়ে নামিয়ে আনা হয়েছে। যাহোক, সন্ন্যাসীদের দারিদ্র্যকে সহিংসতার পরিপ্রেক্ষিতে দুর্নীতির সাথে সংযুক্ত করা যেতে পারে যা বহুত্ববাদী সমাজের প্রতি এক হুমকি। আধ্যাত্মিকতার এ রকম অনুভূতি অসহিষ্ণুতার শৈলীকে গোপন করতে পারে যা ভীষণভাবে কর্তৃত্বপরায়ণ। আসলে, এ ধরনের আধ্যাত্মিক বোধ কর্তৃত্বপরায়ণদের বৈধতা দেয়।
আমরা পরিহাসের আভাস পাই, যখন দেখি যে আদিত্যনাথ যিনি দীর্ঘদিন ধরে আইন-শৃঙ্খলা সমস্যার স্রষ্টা তিনিই উত্তর প্রদেশের আইন-শৃঙ্খলাকে অগ্রাধিকার দিয়ে কথা বলছেন। তিনি একটি অংশগ্রহণভিত্তিক প্রশাসনের কথাও বলছেন যখন তার বিশেষ বৈশিষ্ট্যই হচ্ছে নির্দিষ্টতা ও বর্জনমূলক। যদি এমন হয় যে, আদিত্যনাথ এ মতবাদের অংশ যেখানে সংখ্যাগরিষ্ঠতা মূলক সুবিধা হচ্ছে মানুষের মঙ্গলের মূল বিষয়, তাকে নীতিভ্রষ্টতা হিসেবে সংখ্যালঘুদের তদারকি বা স্বাভাবিকের সাথে আবেগপূর্ণ বিচ্যুতি হিসেবে সংযুক্ত করা হচ্ছে সংখ্যাগরিষ্ঠতা। উদাহরণ স্বরূপ, লাভ জিহাদ থেকে ঘর ওয়াপসি পর্যন্ত বিভিন্ন প্রকল্প ও প্রচারণা হচ্ছে আমাদের বহুত্ববাদী সমাজ থেকে মুসলমানদের বিলুপ্ত বা হীনবল করার চেষ্টা। এ পরিস্থিতিতে আমরা প্রথম যে বৈপরীত্যমূলক পরিস্থিতির সম্মুখীন হই তা হচ্ছে আধ্যাত্মিকতা যেখানে তা হিন্দুত্ব হিসেবে অসহিষ্ণুতার রূপ গ্রহণ করে যা হিন্দুবাদের সরলতাকে পচিয়ে ফেলে।
পুলিশি সংস্কৃতি
দ্বিতীয়ত, আদিত্যনাথ ও অন্যান্য বিজেপি কর্মীদের ফোকাস শুধু ধর্মান্তর গ্রহণের দিকেই নয়, তাদের পুলিশি সংস্কৃতির একটি কর্মসূচিও রয়েছে। মহিলাদের প্রতি আদিত্যনাথের মনোভাব হচ্ছে তাদের শ্রদ্ধা জ্ঞাপনের বেদিস্তম্ভে রাখা, তিনি তাদের পিতৃতন্ত্রের সুরক্ষামূলক খাঁচায় আবদ্ধ রাখতে চান যা মহিলাদের চারপাশে নিষিদ্ধকরণের এক আবরণ তৈরি করে। আরো গভীরে তিনি একটি পুলিশি সংস্কৃতি, একটি কারাগার তৈরি করতে চান যা সংখ্যাগুরুদের সংস্কৃতিকে সুরক্ষা দেয়ার সাথে তাকে মৌলবাদমূলক করে। শক্তি, সহিংসতা, হুমকি, সজাগ দৃষ্টি একটি লৌহ খাঁচা সৃষ্টি করতে অবাধে ব্যবহৃত হয় যা লোকে মেনে নেয় বলে মনে হয়। সহিংসতা এখানে অগ্রহণীয়। অসহিষ্ণুতা ও সহিংসতার সাথে কথিত আধ্যাত্মিকতা বোধের সম্পৃক্ততা হচ্ছে হিন্দুত্ব যা হিন্দুবাদ থেকে পৃথক।
কয়েক বছর আগে, ২০০২ সালে গুজরাট দাঙ্গার পর গুজরাট রাজ্য পুলিশের মহাপরিচালক একজন বিশ^াসী হিন্দু আর বি শ্রীকুমার মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে অভিযোগ আনেন। শ্রীকুমার মোদিকে দ্বিগুণ বিপদ হিসেবে দেখতে পান, একাধারে সংবিধানের প্রতি হুমকি এবং তার হিন্দুবাদী মনোভাবের জন্য। নির্বাচন সত্তে¡ও অনুরূপভাবে আদিত্যনাথ শুধু ধর্মনিরপেক্ষতা-বিরোধীই নন, তিনি হিন্দু বিরোধীও, সেই লোক যে আইন ভাঙে ও যাকে সংবিধান অবজ্ঞাকারী মনে করা হয়। আদিত্যনাথের উপস্থিতি বিজেপির আধ্যাত্মিকতার ধারণার ব্যাপারে এবং নতুন জাতিরাষ্ট্র সৃষ্টি করতে হিন্দুত্ব ও উন্নয়নের সমন্বয় প্রকল্প সম্পর্কে প্রশ্ন সৃষ্টি করছে। আমাদেরকে অনিবার্য প্রশ্ন জিজ্ঞেস করতে হবে: প্রথমত, এ প্রক্রিয়ায় গণতন্ত্র কি হীনবল হয়ে পড়ছে না এবং তার বহুত্ববাদী চেতনা হারাচ্ছে না? দ্বিতীয়ত, আমাদের আধ্যাত্মিকতার এই ভাষা সম্পর্কে প্রশ্ন করতে হবে যা হুমকির ভাষা বলে কিন্তু সহানুভূতি ও দুর্দশার কথা বলে না।  
বিজেপি মনে হয় বুঝতে পারছে যে অমিত শাহ ও মোদির সাথে রামদেব ও আদিত্যনাথের পছন্দ মূল্যবোধ ও উন্নয়নের সমন্বয়ে একটি নতুন মডেল প্রদান করতে যাচ্ছে। এ এমন এক মডেল যা চ্যালেঞ্জ করা প্রয়োজন।   
আদিত্যনাথের মানসিকতায় কিছু ছোট সুইচ রয়েছে যা নিয়ে আমাদের কোনো প্রশ্ন নেই। মঠের মূল লক্ষ্যের সাথে অঙ্গীভূত ভক্তি আন্দোলনের প্রেরণা। আমাদের জিজ্ঞেস করতে হবে কবিরের চেতনা, হিন্দু-মুসলিম ঐক্যের প্রেরণা হিন্দু মহাসভার রসকষহীন মেলোড্রামার মধ্যে কিভাবে হারিয়ে গেল? আধ্যাত্মিকতা কি নীতিবাদের ভক্তিপ্রতিমা তৈরি করতে পারে? নীতি কি কিছু সংকীর্ণ আর্থিক ক্ষেত্রে শুধু হিসাব ব্যবস্থা অথবা বাজেট প্রণয়নে জবাবদিহিতা কি জবাবদিহিতা বা দায়িত্বশীলতাকেও ছাড়িয়ে যাবে? বিজেপি’র আলোচনায় পরের দু’টি বিষয় সম্পর্কে সামান্যই জ্ঞান বা তারতম্য বোধ রয়েছে। মঠের সাথে শাখার সমন্বয়ের প্রেক্ষিতে আমরা বিবেকানন্দের একটি প্যারোডির কথা বলতে পারি যা আমাদের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সংস্কারবাদীদের প্রজ্ঞার মিথ্যা প্যারোডিকরণ এক পুনরাবৃত্তিতে পরিণত হচ্ছে যা ধর্মীয় প্রেক্ষিতে সামান্যই নাগরিক বোধ বা সভ্যতার পরিচয় বহন করে।
হাঁটু কাঁপানো ধর্মনিরপেক্ষতার বাইরে
আজ মহা ট্র্যাজেডি হচ্ছে বিজেপি’র সেই পন্থা যাতে আধুনিক বিশে^ তাদের টিউটোরিয়াল-কলেজ সমাধানের মধ্য দিয়ে আমাদের ভাষা, আমাদের আত্মবিশ^াস, এমনকি আমাদের নৈতিকতাকে ধ্বংস করছে। আমরা প্রায় সর্বাংশে বিজেপির ভাষ্য মোকাবেলা করতে সংশয়গ্রস্ত যা স্থূলভাবে কোদালকে বেলচা বলে যেখানে আমরা অদ্ভুত টেবিল ম্যানার্সের মাধ্যমে সত্যের অপলাপ করি। একই সময়ে আমাদেরকে বাম-উদার মার্ক হাঁটু কাঁপানো ধর্মনিরপেক্ষতাকে পরিহার করতে হবে যা আদিত্যনাথকে তার ভুল করে তার পছন্দ প্রবেশ করানোর সুযোগ দেয়। আমাদেরকে অধিকতর সৃষ্টিশীলতা ও গুরুত্বের সাথে ধর্মকে বুঝতে হবে। আদিত্যনাথ ও মোদিকে আমাদের কেসস্টাডি হিসেবে দেখতে হবে, আমাদের পরিস্থিতির বিশ্লেষক হিসেবে আর নয়। সাংস্কৃতিক নিপীড়নের কাজ চালাতে গিয়ে তারা আমাদের নিপীড়ন করতে চায়, আমরা যে পৃথিবীর স্বপ্ন দেখি সে পৃথিবী সম্পর্কে সংশয় ও কান্নার অনুভূতি সৃষ্টি করতে চায়। এখনি সময় মেধার এই মাইকোবেরিজম শেষ পর্যায়ে আত্মপ্রকাশের অপেক্ষায় আছে এবং আমরা আমাদের বহুত্ববাদী আস্থা ফিরে পাচ্ছি।
ধর্মনিরপেক্ষ উদারমনারা ভুল করছে। আমরা ধর্মের ভুল ব্যাখ্যা করি, বিজ্ঞানে আমাদের অত্যধিক ইতিবাচক বিশ^াস রাখি, কিন্তু এটা আমাদের দুর্বলতা যা আত্মসমালোচনার শক্তি যোগায়। আজ মোদি ও আদিত্যনাথকে চ্যালেঞ্জ করার জন্য আমাদের সে আত্মবিশ^াস পুনরায় ফিরে পেতে হবে।  নির্বাচনী বিজয়ের চেয়ে আরো কিছুর আমরা মোকাবেলা করছি। আমরা আমাদের ভবিষ্যতকে সংতোয়িত করার চেষ্টার সম্মুখীন। আমাদের এটা চ্যালেঞ্জ করা দরকার।
মোদি-আদিত্যনাথ উপসর্গকে নৈতিকভাবে, নান্দনিকভাবে ও ধারণাগতভাবে মোকাবেলা করা প্রয়োজন। আমাদের মধ্যে বিরোধী দল সৃষ্টি করে তা একটি ব্যাপক রূপ ধারণ না করা পর্যন্ত কাজ করে যেতে হবে। এটা হচ্ছে ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জ, এর গণতন্ত্র ও আত্মিকতার প্রেক্ষাপটে মিডিয়ার কাছে ফিরে আসা এবং আজ সমাধানের মধ্যপন্থাকে প্রকাশ করা। মঠ ও শাখার কাছে আমাদেরকে অবশ্যই মনের নতুন পরীক্ষা হিসেবে বিশ^বিদ্যালয় ও আশ্রমের প্রস্তাব দিতে হবে যা আমাদের কল্পনার ভারতের জন্য নতুন সুযোগ সৃষ্টি করবে।
 
   



 

Show all comments
  • ripan ২৬ মার্চ, ২০১৭, ৮:১১ পিএম says : 0
    politics is only for adithtanath and ramdeb guro not for a Muslim. oh Muslim.
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ