পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দুপচাঁচিয়া (বগুড়া) উপজেলা সংবাদদাতা : দুপচাঁচিয়া উপজেলার চৌমুহনী বাসস্ট্যান্ডের অদূরে গতকাল (২৫ মার্চ) বিকেলে কোচের নিচে চাপা পড়েও স্থানীয় জনগণ অক্ষত অবস্থায় ৫ সিএনজি যাত্রীকে উদ্ধার করেছে।
জানা গেছে, ঘটনার দিন জয়পুরহাট জেলার কালাই উপজেলার পুনট গ্রামের সুধাম কর্মকারের মেয়ে বন্ধনী কর্মকার (২৫), তার স্বামী কমল কর্মকার (২৮), তাদের শিশু মেয়ে কাকন (৬) ও ২ বোন অঞ্জলী কর্মকার (১৮), লাবণী কর্মকার (১৫) কে নিয়ে সিএনজি চালিত অটোরিকশায় করে দুপচাঁচিয়ার আমষট্ট গ্রামে বিয়ের বাড়ি যাচ্ছিল। গতকাল বিকেল ৩টায় যাত্রিবাহী সিএনজিটি বগুড়া-নওগাঁ মহাসড়কের উপজেলার চৌমুহনী বাসস্ট্যান্ডের পশ্চিমে পৌঁছালে সামনের দিক থেকে আসা একটি মিনি ট্রাককে পাশ কাটানোর সময় একই দিক থেকে আসা ঢাকাগামী শাহ্ ফতেহ আলী কোচের সাথে মুখোমুখি ধাক্কা খায়।
এ সময় কোচ, মিনি ট্রাক ও অটোরিকশার ত্রি-মুখী সংঘর্ষ হয়। চালক লাফিয়ে পড়লেও অটোরিকশা কোচের নিচে চাপা পড়ে। অটোরিকশাসহ কোচটি রাস্তার পার্শ্বে গাছের সাথে ধাক্কা খায়। মিনি ট্রাক ও কোচের সামনের অংশ চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে যায়। এ সময় স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এসে কোচের নিচে আটকে পড়া অটো রিকশা যাত্রীদের অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করে। পরে তাদেরকে দুপচাঁচিয়া হাসপাতালে জরুরি বিভাগে ভর্তি করে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাৎক্ষণিক তাদের বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। এদের মধ্যে কমল কর্মকারের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
ত্রি-মুখী সংঘর্ষের এ দৃশ্য দেখে এবং অক্ষত অবস্থায় ৫ অটোরিকশার যাত্রী কোচের নিচ থেকে উদ্ধার হওয়ায় ভিড় জমানো শত শত লোকজন বলতে থাকেন “রাখে আল্লাহ মারে কে”। খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহেদ পারভেজ, মেয়র মোঃ বেলাল হোসেন, থানার ওসি মোঃ নজরুল ইসলাম ফোর্সসহ ঘটনাস্থলে যান। পরে তারা হাসপাতালে আহতদের দেখতে আসেন এবং চিকিৎসার খোঁজ-খবর নেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।