Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার, ০৪ জুলাই ২০২৪, ২০ আষাঢ় ১৪৩১, ২৭ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

চিঠিপত্র : গ্যাসের দাম কেন বাড়বে?

প্রকাশের সময় : ২৬ মার্চ, ২০১৭, ১২:০০ এএম | আপডেট : ৯:৪২ পিএম, ২৫ মার্চ, ২০১৭

‘সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগ আবারও গ্যাসের মূল্য বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে’-এমন সংবাদ মিডিয়ায় শুনে আমরা হতাশ হয়েছি। এদিকে সংশ্লিষ্ট বিভাগ গ্যাস সাপ্লাই ঠিকভাবে দিতে পারছে না অর্থাৎ সকালে পানি গরম করতে গিয়ে দেখা যায় গ্যাস জ্বলে না। কারো কারো বাড়িতে গ্যাস আসে বিকাল ৩টার পরে। গ্যাসের অবস্থা এতই নিম্নমুখী যে চুলা জ্বলে নিভু নিভুভাবে। ভাত হতে যেখানে ২০ মিনিট সময় লাগার কথা, সেখানে দেড় ঘণ্টাতেও ভাত হয় না। যেখানে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ঠিকভাবে গ্যাস সাপ্লাই দিতে পারে না সেখানে চুলাপ্রতি দাম বাড়ানো কেন? অথচ চুলাপ্রতি গ্যাসের দাম বাড়ানো হয়েছে। এটা ভোক্তাদের সঙ্গে কি রসিকতা নয়? বরং যারা চুরি করে গ্যাস কিংবা বিদ্যুৎ লাইন দিয়েছে বা নিয়েছে তাদেরকে হাতেনাতে ধরা হোক। তা না হলে কোটি কোটি টাকার গ্যাস ও বিদ্যুৎ সাশ্রয় করা সম্ভব হবে না। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট বিভাগ ভেবে দেখুন।
লিয়াকত হোসেন খোকন
রূপনগর, ঢাকা

নরসিংদীতে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় চাই
রাজধানী ঢাকার অদূরে অবস্থিত নরসিংদী। শিল্পসমৃদ্ধ এই জেলা জন্ম দিয়েছে ভাই গিরীশ চন্দ্র সেন, বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান, কবি শামসুর রাহমানসহ আরো অনেক কৃতী সন্তান। বাঙালি সভ্যতার আদিভূমি নরসিংদীর বেলাব থানার উয়ারী বটেশ্বর। প্রতিবছর অর্থনীতির চাকার ৭.৮% (প্রায়) আসছে নরসিংদী জেলার অন্যতম শিল্প বস্ত্র কারখানা ও কাঁচা সবজির বাজার থেকে। নরসিংদী জেলার প্রায় ৩৫০টি কলেজ ও কারিগরি প্রতিষ্ঠান থেকে প্রতিবছর প্রায় পাঁচ হাজার শিক্ষার্থী এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হচ্ছে। বিপুল সংখ্যক এই শিক্ষার্থীর মধ্যে খুব অল্প শিক্ষার্থীই সুযোগ পাচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের আঙিনায় পা রাখার। আর্থিক দুরবস্থা, পারিবারিক প্রতিক‚লতা, বাসস্থানের অভাব প্রভৃতি কারণে অকালেই ঝরে যাচ্ছে অনেক প্রতিভা। রাজধানী ঢাকার ভিড় আর যানজট পার হয়ে প্রতিদিন নরসিংদীতে ঘরে ফিরতে অর্ধেক রাত হয়ে যাচ্ছে অনেক শিক্ষার্থীর। নরসিংদীতে অনার্স কোর্স সম্পন্ন করার মতো উৎকৃষ্ট মানের কলেজ রয়েছে মাত্র দুটি। বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে এমন একটি জায়গা যেখানে চর্চা করা হয় বিশ্বমানের বিদ্যা [সংস্কৃতি, শিল্প, সভ্যতা যার অন্যতম অঙ্গ]। এ অবস্থায় নরসিংদী জেলায় আন্তর্জাতিকমানের একটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের জন্য সরকারের কাছে বিনীত আবেদন জানাচ্ছি।
কাজী আসমানী
ডক্টর অব ভেটেরিনারি মেডিসিন অনুষদ,
চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি অ্যান্ড অ্যানিম্যাল সায়েন্স বিশ্ববিদ্যালয়


আরো মহিলা ক্যাডেট কলেজ চাই
বর্তমান সরকারের গঠনমূলক পরিকল্পনার সুবাদে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রতি স্তরে ছাত্রীদের লেখাপড়ার মান ও মানসিকতার উৎকর্ষ সাধিত হয়েছে। সরকারপ্রধান, জাতীয় সংসদে স্পিকার, বিরোধীদলীয় নেতা, নারী ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রীসহ সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ের অনেক গুরুত্বপূর্ণ পদে নারীদের দক্ষতা প্রশংসিত হচ্ছে। এ অবস্থায়, তুলনামূলক বিচারে দেশে মহিলা স্কুল-কলেজের সংখ্যা নগণ্য। বিশেষ করে মহিলা ক্যাডেট কলেজের কথা বলা যায়। দেশে মোট জনসংখ্যার অর্ধেক নারী। কিন্তু বাংলাদেশে মোট ১২টি ক্যাডেট কলেজের মধ্যে ৯টিই ছেলেদের জন্য (মির্জাপুর, বরিশাল, রাজশাহী, পাবনা, সিলেট, ঝিনাইদহ, রংপুর, ফৌজদারহাট, কুমিল্লা)।
পক্ষান্তরে মেয়েদের জন্য মাত্র ৩টি ক্যাডেট কলেজ (ময়মনসিংহ, জয়পুরহাট, ফেনী) চালু রয়েছে। সঙ্গত কারণেই দেশে আনুপাতিক হারে নতুন মহিলা ক্যাডেট কলেজ প্রতিষ্ঠা করা প্রয়োজন। এ ব্যাপারে সরকারের সদয় দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
যারীন শাইমা তানিশা
ষষ্ঠ শ্রেণি, ফরহাদ ক্যাডেট একাডেমি,
বিশ্বাস বেতকা, টাঙ্গাইল

ডাক বিভাগের উন্নয়ন চাই
মুন্সীগঞ্জ জেলার গজারিয়া উপজেলায় রয়েছে ভবেরচর ডাকঘর। কিন্তু এই ডাকঘরের বিল্ডিংটা দেখলে মনে হয় একশ বছর ধরে এখানে মানুষ থাকে না। উপজেলার খাতা-কলমে মধ্য ভাটেরচর ডাকঘরের নাম থাকলেও বাস্তবে কোনো অবকাঠামো নেই, যাকে মধ্য ভাটেরচর ডাকঘর বলতে পারি। ডাক বিভাগের সেবা উন্নয়নের লক্ষ্যে কিছু সুপারিশÑ
ক) অবিভাগীয় কর্মচারীদের পূর্ণ সরকারি করা।
খ) সমস্ত চিঠি ও পার্সেলের বিপরীতে রশিদ দেওয়া।
গ) চাকরির নিয়োগ সংক্রান্ত চিঠিগুলো গুরুত্বসহকারে বিলি করা।
ঘ) গ্রাম অঞ্চলের ডাকঘরগুলো ইউনিয়ন পরিষদের যে কোনো একটি কক্ষে রাখা।
মো. নাহল ইমরোজ
ভবেরচর, গজারিয়া, মুন্সীগঞ্জ



পল্লীবিদ্যুতের লাইন সম্প্রসারণ নীতিমালা
পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের (আরইবি) অধীন পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি দেশের গ্রামাঞ্চলে বিদ্যুৎ লাইন সম্প্রসারণ করছে। কিন্তু লাইন কোথা দিয়ে যাবে তার কি কোনো নীতিমালা নেই? আমরা সাধারণ বুদ্ধিতে বুঝি যে, লাইন রাস্তা, নয় মাঠ দিয়ে যাবে। কিন্তু তা না করে গ্রামের মানুষের অসচেতনতার সুযোগে বাড়িঘরের ওপর দিয়ে লাইন সম্প্রসারণ করা হচ্ছে। ফলে ভবিষ্যতে এসব জায়গায় ঘরদোর তোলা বা বিদ্যমান ঘরদোর উপড়ে সম্প্রসারণ করা অসম্ভব হয়ে পড়বে। পটুয়াখালীর বাজারঘোনা গ্রামে আমাদের বাড়িতে বিদ্যুতের খুঁটি স্থাপন ও বাড়ির ওপর দিয়ে লাইন নেওয়া হলে প্রায় পাঁচ মাস আগে আপত্তি জানানো হয়। কিন্তু বিষয়টি সুরাহা না করে এলাকায় দলাদলি উসকে দিয়ে ভীতি প্রদর্শন ও বিব্রতকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করা হয়েছে। আমরা বিদ্যুৎ লাইন কোন স্থান দিয়ে যেতে পারবে বা পারবে না তার নীতিমালা চাই। যত্রতত্র দিয়ে লাইন নয়। বিষয়টির প্রতি সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
ফেরদৌসি সুলতানা
খান বাড়ি, উত্তর বাজারঘোনা
মরিচবুনিয়া, পটুয়াখালী।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন