পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ঈশ্বরদী (পাবনা) উপজেলা সংবাদদাতা : ঈশ্বরদীতে পূর্বশত্রæতার জের ধরে শাহজাহান মন্ডল (৪২) নামে এক যুবলীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষরা। এ ঘটনায় নিহতের বিক্ষুদ্ধ স্বজনেরা প্রতিপক্ষের বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। সে সময় ওই বাড়িগুলো থেকে নগদ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার লুট করা হয় বলেও অভিযোগ করা হয়। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে ঈশ্বরদী উপজেলার পাকশী ইউনিয়নের নতুন রূপপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
এলাকাবাসী জানায়, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে শাজাহান ও নবীর মধ্যে দীর্ঘ দিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। সেই বিরোধের জের ধরে এই হত্যাকাÐের ঘটনা ঘটেছে।
নিহত শাহজাহান মন্ডল পাকশী ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সহ-সভাপতি ছিলেন। শাহজাহানের ওপর হামলার সময় তাঁর ফুপাতো বোনের স্বামী আবুল হোসেন (৫৫) ও পাকশী ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি আশরাফুল বিশ্বাস (৩২) আহত হন। এর মধ্যে আবুল হোসেনকে ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
হত্যার খবর প্রচারের পর বৃহস্পতিবার রাতেই নতুন রূপপুরে নিহত শাহজাহানের সমর্থকেরা নবীর সমর্থক সুজার বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয় ও বিপ্লব ও তানভির আহমেদ সুমনের বাড়ি ভাঙচুর করে। এছাড়াও সুমনের ডিস লাইন অফিসে আগুন ধরিয়ে দিলে ডিশ-সংযোগের সব সরঞ্জাম পুড়ে যায়।
ঈশ্বরদী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবদুল হাই তালুকদার বলেন, এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন যাবত নতুন রূপপুর গ্রামে মুছা হোসেনের ছেলে নবী’র সাথে যুবলীগের নেতা শাহজাহানের দ্ব›দ্ব চলে আসছিল। ওই দ্ব›েদ্বর জের ধরেই এই ঘটনা ঘটে থাকতে পারে।
ডিশ ব্যবসায়ী সুমনের বরাত দিয়ে তার চাচা বীরমুক্তিযোদ্ধা আজাদুল হক জানান, এই ঘটনার সাথে তার ভাতিজা তানভির আহমেদ সুমন, বিপ্লব ও সুজা কোন ভাবেই জড়িত নয়। নবী সুমনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে কাজ করে সে জন্যই আক্রোশের বশবর্তী হয়ে প্রতিপক্ষের লোকজন এই হামলা চালিয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।