পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল হক শামীম কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী আঞ্জুম সুলতানা সীমাকে ভোট দেয়ার আহŸান জানিয়ে বলেছেন, স্বাধীনতার মাস মার্চে স্বাধীনতার প্রতীক নৌকা মার্কাকে বিজয়ী করুন। তিনি বলেন, উন্নয়নের ধারাবাহিকতার জন্য তৃণমূলে সরকার দল সমর্থিত জনপ্রতিনিধি প্রয়োজন। তাহলে জবাবদিহিতা নিশ্চিতের পাশাপাশি সুষম উন্নয়নও হয়। অন্য দলের জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হলে সরকারের বরাদ্দ ঠিকই নেবে-মুখে বলবে সরকার উন্নয়ন বরাদ্দ দিচ্ছে না। সেই অর্থ লুটপাট করে খাবে। জনগণের ভোট নিয়ে সেবা দেবে না।
গতকাল শুক্রবার বিকালে কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের ২৫, ২৬ ও ২৭ নম্বর ওয়ার্ডে দলীয় মেয়র প্রার্থী আঞ্জুম সুলতানা সীমার সঙ্গে নির্বাচনী গণসংযোগকালে তিনি এসব কথা বলেন।
এনামুল হক শামীম বলেন, কুমিল্লার উন্নয়নের জন্য সরকার দল সমর্থিত প্রার্থীকে বিজয়ী করুন। আওয়ামী লীগ সরকার সারাদেশে উন্নয়ন করে যাচ্ছে। আসন্ন কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী আঞ্জুম সুলতানা সীমাকে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে বিজয়ী করুন।
তিনি বলেন, কুমিল্লায় নৌকার প্রার্থী আঞ্জুম সুলতানা সীমা ক্লিন ইমেজের ব্যক্তি। সীমা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। অপরদিকে বিএনপি প্রার্থী রাজাকারের সন্তান। বিগত দিনে দুর্নীতির জন্য দুদক তার বিরুদ্ধে মামলাও করেছে। এছাড়া, ভোটারদের কাছেও সীমার ব্যাপক গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে। বিশেষ করে তরুণ ও নারী ভোটারদেও মধ্যে ব্যাপক সাড়া পড়েছে। কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ২৭টি ওয়ার্ডেই নৌকার পক্ষে গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে। জননেত্রী শেখ হাসিনার অধীনে সবসময় নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয়। নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনে সুষ্ঠু নির্বাচন হওয়ায় জনগণ নৌকার পক্ষে রায় দিয়েছে। ইনশা আল্লাহ ৩০ মার্চ কুমিল্লা সিটি করপোরেশনে নৌকার প্রার্থী বিপুল ভোটে বিজয়ী হবেন।
এর আগে দুপুরে কুমিল্লা জেলা পূজা উদযাপন কমিটির নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় শামীম বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসলে দেশে সব ধর্মের মানুষ নিরাপদ থাকে। শান্তিতে বসবাস করে। অন্য দিকে বিএনপি-জামায়াতের হাতে কোনো ধর্মের মানুষ নিরাপদ নয়। এদের থেকে সবাইকে সর্তক থাকতে হবে। এসময় পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি চন্দ রায়ের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক অজয় কর খোকন, কৃষক লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সমীর চন্দ্র চন্দ, নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক খোকন সাহা, ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক নূর এ আলম আশিক প্রমুখ। এর আগে পেশাজীবী সংগঠনের সঙ্গে মতবিনিময় করেন কুমিল্লা সিটি নির্বাচনে সদস্য সচিবের দায়িত্ব পালনকারী এই নেতা। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি অধ্যাপক প্রাণ গোপালের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান, আইইবির সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আবদুস সবুর, স্বাচিপের মহাসচিব আবদুল আজিজ প্রমুখ। এসময় তার সঙ্গে আরো উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেত্রী মারুফা আক্তার পপি, ছাত্রলীগের সাবেক নেতা অজয় কর খোকন, ছাত্রলীগের সহসভাপতি সাবিনা আক্তার শিউলী, স্থানীয় নেতাদের মধ্যে আবদুল হাই বাবলু, মোস্তফা হোসেন বাচ্চু, অধ্যক্ষ শহিদুল্লাহ, নূর আহমেদ মাস্টার প্রমুখ।
আওয়ামী লীগ নেতাদের অবিরাম প্রচারণা : এদিকে কুসিক নির্বাচনকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা নির্বাচনী মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন। মূল টিম সমন্বয় করছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী জাফরউল্লাহ, সদস্য সচিবের দায়িত্বে রয়েছেন বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক একেএম এনামুল হক শামীম। গতকাল দিনভর নগরীর বিভিন্নস্থানে আওয়ামী লীগ প্রার্থী আঞ্জুম সুলতানা সীমার পক্ষে প্রচার চালান রাজশাহীর সাবেক মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন, আওয়মাী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা সুজিত কুমার নন্দী, এসএম কামাল হোসেন, ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি লিয়াকত সিকদার, সাবেক ছাত্রনেতা অ্যাডভোকেট বলরাম পোদ্দার, সৈয়দ হেমায়েত উদ্দিন, ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুল হায়দার চৌধুরী রোটন, সাবেক ভারপ্রপাপ্ত সভাপতি জয়দেব নন্দী, যুবলীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের গণসংযোগ করেন প্রেডিয়াম সদস্য আতাউর রহমান আতা, ইঞ্জিনিয়ার নিখিল গুহ, অধ্যাপক এবিএম আমজাদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দীন মহি, সাংগঠনিক মিজানুর রহমান মিজান, আজহার উদ্দীন, সহ-সম্পাদক তারিক আল আহসান লিউ ও মজিবুর রহমান। এদিকে নগরীর টমছম ব্রিজের উঠান বৈঠকে বক্তব্য রাখেন রেলমন্ত্রীর স্ত্রী হনুফা আক্তার রিক্তা, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক জাহাঙ্গীর আলম রতন, দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আ ফ ম আহসান উদ্দিন টুটুল প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।