Inqilab Logo

মঙ্গলবার ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৬ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ফিরে দেখা স্বাধীনতার মাস

| প্রকাশের সময় : ২৪ মার্চ, ২০১৭, ১২:০০ এএম

ফারুক হোসাইন : আজ রক্তঝরা মার্চের ২৪তম দিন। ১৯৭১-এর ২৬ মার্চ বাংলাদেশের ইতিহাস পরিবর্তনের দিন। এ দিন পাকিস্তানি বর্বর হানাদার বাহিনী দেশজুড়েই গণহত্যা চালিয়েছিল। আর এরই প্রেক্ষিতে শুরু হয় দীর্ঘ ৯ মাসের মুক্তিযুদ্ধ। যে যুদ্ধে লাখো বাঙালি জনতার রক্তে¯œাত বাংলা স্বাধীনতা অর্জন করে। তবে পুরো মার্চ মাসজুড়েই তীব্র উত্তেজনা বিরাজ করছিল পূর্ব বাংলায়। বিশেষ করে ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণের পর থেকেই বাঙালি মুক্তিকামী মানুষ মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি নিতে থাকে। আর ২৬ মার্চ যতই ঘনিয়ে আসছিল উত্তেজনা ততই বাড়তে থাকে। আজ সেই ঐতিহাসিক মার্চের ২৪তম দিন। লাগাতার চলা অসহযোগ আন্দোলনের এই দিনে বাংলার প্রতি ঘরে ঘরে স্বাধীনতার সোনালি পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে সমগ্র বাঙালি জাতি আজ ঐক্যবদ্ধ। একটি জাতির শ্রেণী-পেশা, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে জাতীয় মুক্তির লক্ষ্যে সকল মানুষের এমন অভূতপূর্ব ঐক্য নজিরবিহীন। প্রতিবাদে প্রতিরোধে ভাস্বর বাঙালি আজ স্বাধীনতা অর্জনে যে কোন পরিস্থিতিতে বন্দুকের নলের সামনে বুক পেতে দিতে প্রস্তুত।
অন্যান্য দিনের মতো আজও মুক্তির দাবিতে ছাত্র-জনতার ঢল নামে রাজপথে। দুপুরের আগেই মিছিলের শহরে পরিণত হয় ঢাকা শহর। আন্দোলন প্রতিহত করার লক্ষ্যে অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে এই দিন রাস্তায় নামে পাকিস্তানি সামরিক বাহিনী। চট্টগ্রাম, রংপুর, ঢাকার মিরপুর ও  সৈয়দপুরে পাকিস্তানি সেনাদের সঙ্গে রাজপথে নামে বাঙালি বিহারিরাও। এরা সাধারণ মানুষের সঙ্গে লিপ্ত হয় সংঘর্ষে। বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে আজকের দিনে সব সরকারি অফিস-আদালত ও শিক্ষাঙ্গনে পালিত হয় পূর্ণদিবস হরতাল। টেলিভিশন কেন্দ্রে পাহারারত সৈনিকরা টেলিভিশনের কর্মীদের সঙ্গে চরম দুর্ব্যবহার করে। এ ঘটনার প্রতিবাদে সন্ধ্যা থেকে ঢাকা টেলিভিশনের অনুষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়। এছাড়া দেশের বিভিন্ন স্থানে পাকিস্তানি বাহিনীর সাথে বাঙালিদের সংঘর্ষ হয়। পশ্চিম পাকিস্তানের  নেতৃবৃন্দ বিকেলে পিআইএর একটি ফ্লাইটে পাকিস্তানের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেন। জুলফিকার আলী ভুট্টো দুপুরে প্রেসিডেন্ট হাউসে ইয়াহিয়া ও তার উপদেষ্টাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠক শেষে উপস্থিত সাংবাদিকদের কোন কিছু না বলে তিনি চলে যান। অপরদিকে সন্ধ্যায় আওয়ামী লীগ ও পাকিস্তান সরকারের মধ্যে উপদেষ্টা পর্যায়ে এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। প্রেসিডেন্ট হাউসের ওই বৈঠকে আওয়ামী লীগের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ এবং ড. কামাল হোসেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ